ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।(সূরা গাফির-১৯)
তাফসীরে ইবনে কাসীরে বলা হয়,
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {يَعْلَمُ خَائِنَةَ الأعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ} وَهُوَ الرَّجُلُ يَدْخُلُ عَلَى أَهْلِ الْبَيْتِ بَيْتَهُمْ، وَفِيهِمُ الْمَرْأَةُ الْحَسْنَاءُ، أَوْ تَمُرُّ بِهِ وَبِهِمُ الْمَرْأَةُ الْحَسْنَاءُ، فَإِذَا غَفَلُوا لَحَظَ إِلَيْهَا، فَإِذَا فَطِنُوا غَضّ، فَإِذَا غَفَلُوا لَحَظَ، فَإِذَا فَطِنُوا غَضَّ [بَصَرَهُ عَنْهَا] (٣) وَقَدِ اطَّلَعَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِهِ أَنَّهُ وَدّ أَنْ لَوِ اطَّلَعَ عَلَى فَرْجِهَا. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ.
وَقَالَ الضَّحَّاكُ: {خَائِنَةَ الأعْيُنِ} هُوَ الْغَمْزُ، وَقَوْلُ الرَّجُلِ: رَأَيْتُ، وَلَمْ يَرَ؛ أَوْ: لَمْ أَرَ، وَقَدْ رَأَى.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: يَعْلَمُ [اللَّهُ] (٤) تَعَالَى مِنَ الْعَيْنِ فِي نَظَرِهَا، هَلْ تُرِيدُ الْخِيَانَةَ أَمْ لَا؟ وَكَذَا قَالَ مُجَاهِدٌ، وَقَتَادَةُ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ} يَعْلَمُ إِذَا أَنْتَ قَدَرْتَ عَلَيْهَا هَلْ تَزْنِي بِهَا أَمْ لَا؟.
وَقَالَ السُّدِّيُّ: {وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ} أي: من الوسوسة
মর্মার্থ- চোখের চুরিকৃত গোনাহ এবং অন্তরের লুকায়িত গোনাহ, সবকিছুই আল্লাহ তা'আলা বেশ ভলই জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো প্রতি ঘৃণা, হিংসা, রাগ, ক্ষোভ সবকিছুই এই গোপন গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এত্থেকে বেচে থাকতে হবে।এজন্য শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেই হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।