ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দ্বীনের পথে চলতে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন করা ফরজ।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
مِنْ فَرَائِضِ الْإِسْلَامِ تَعَلُّمُهُ مَا يَحْتَاجُ إلَيْهِ الْعَبْدُ فِي إقَامَةِ دِينِهِ وَإِخْلَاصِ عَمَلِهِ لِلَّهِ تَعَالَى وَمُعَاشَرَةِ عِبَادِهِ.
প্রত্যেক মুসলমানের উপর ইসলামের ফরয বিধানসমূহ থেকে একটি ফরয হচ্ছে, দ্বীন প্রতিষ্টা তথা এখলাছের সাথে দ্বীনের উপর আমল করতে প্রয়োজনীয় সব জ্ঞানার্জন করা এবং মানুষের সাথে সদাচরণের জ্ঞান অর্জন করা(ফরয)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেকোনো ভাবেই হোক ফরয সমপরিমাণ ইলম অর্জন করতে হবে।সর্বোত্তম মাধ্যম হল, সরাসরি উস্তাদের নিকট উপস্থিত হয়ে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করা। যদি সরাসরি উস্তাদের নিকট উপস্থিত হওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে তখন ইউটিউবের মাধ্যমে কুরআন শিখার চেষ্টা করতে হবে। ইউটিউবে ভিডিও দেখতে গিয়ে যদি কখনো কোনো হারাম এ্যড চলে আসে, তাহলে সাথে সাথে চোখকে ফিরিয়ে নিতে হবে।এবং অতিদ্রুত স্কিপ করতে হবে।এই এ্যাড আসার কারণে কুরআন শিখাকে পরিত্যাগ করা যাবে না। কেননা জরুরত অনেক জিনিষে শেষ পর্যন্ত রুখসত নিয়ে আসে।
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
সুতরাং আপনার বর্ণিত কোর্সের দ্বারা কুরআন শিখতে বাধা নেই।