আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,

সন্তান বড় হয়ে কি করবে, এই ব্যাপারে বাবার এক ইচ্ছা এবং সন্তানের অন্য ইচ্ছা। বাবা চায় সন্তান এক ধরণের চাকরি করুক এবং সন্তান অন্য ধরণের চাকরি করতে চায়। উভয় চাকরিই হালাল। এখন সন্তানের করণীয় কি?

আমাদের সমাজে এই সমস্যাটি অনেক বেশি পরিমাণে দেখা যায়। বাবা-মায়েরা সন্তানের উপর জোর করে কোন একটা চাকরি ( পেশা ) চাপিয়ে দিতে চায়, যেটা সন্তানের অপছন্দ। সারা জীবন এমন একটা চাকরি করা যেটা সন্তানের অপছন্দ, সেটা সত্যিই অনেক কষ্টকর।

সন্তান যদি নিজের পছন্দের হালাল চাকরি করে অথবা হালাল পথে অর্থ উপার্জন করে, তাহলে কি এটা পিতা-মাতার অবাধ্যতা করা হবে? অথবা, এর কারণে কি জাহান্নামের শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার উচিৎ সন্তানের খেয়ালখুশির তোয়াক্কা করে সন্তানের জন্য উত্তম জিনিষকে বাচাই করা। যদি সন্তানের চাহিদার কোনো তোয়াক্কা না করেই মাতাপিতা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, তাহলে সন্তানেরও উচিৎ মাতাপিতাকে নিঃস্বার্থ কল্যাণকামী ভেবে তাদের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে নেওয়া। হ্যা, সন্তান যদি নিজের জন্য কষ্টকর ভাবে, তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার কথাকে অগ্রাহ্য করারও তাদের রুখসত থাকবে।নতুবা মাতাপিতার কথাকেই মানতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...