আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
১.একজন নারীর প্রশ্ন-

[আমার স্বামীর অন্য স্ত্রীর মেয়ের স্বামী আমার মাহরাম হবে কি? আমি কি তার সাথে দেখা দিতে পারব?]

২. যখন ইক্বামাত দেওয়া হয়, তখন ইমামের করণীয় কী? সে কি মুসল্লীদের দিকে ফিরে ইক্বামাত শেষ হওয়া পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকবে?

৩. কোনো ইমাম যদি ক্বীরাতের শেষ পর্যায়ে শেষ হওয়ার আগে এক হাত ছেড়ে দেয় এবং শেষ হওয়ার পর অন্যহাত ছাড়ে, তাহলে কি এতে তার সালাতের কোনো সমস্যা হবে??

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নারীদের মাহরাম পুরুষ।
১-বাপ, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
২-সহোদর ভাই, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
৩-শ্বশুর, আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর এবং তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
৪-আপন ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে এবং তাদের ঔরষজাত পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তানদের স্বামী।
৫-স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র।
৬-ভাতিজা, ভাগিনা তথা সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই ও বোনের ছেলে ও তাদের অধঃস্থন কোন ছেলে।
৭-আপন চাচা অর্থাৎ বাপের সহোদর, বৈপিত্রেয় ও বৈমাত্রেয় ভাই।
৮-আপন মামা তথা মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
৯-দুধ সম্পর্কীয় ছেলে, উক্ত ছেলের ছেলে, দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান এবং দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের স্বামী।
১০-দুধ সম্পর্কীয় বাপ, চাচা, মামা, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন ক্রমানু পুরুষগণ।
১১-দুধ সম্পর্কীয় ভাই, দুধ ভাইয়ের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং তাদের ঔরষজাত যে কোন পুত্র সন্তান।
১২-শরীয়ত অনুমোদিত বৈধ স্বামী।
১৩-যৌন শক্তিহীন এমন বৃদ্ধ, যার মাঝে মহিলাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই আবার মহিলাদেরও তার প্রতি কোন আকর্ষণ নেই।
১৪-অপ্রাপ্ত বয়স্ক এমন বালক যার মাঝে এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2722



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনার স্বামীর অন্য স্ত্রীর মেয়ের স্বামী আপনার জন্য গায়রে মাহরাম।সুতরাং আপনি তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। 

(২)ইমাম সাহেবের দায়িত্ব হল, মুকতাদিদের সফকে সোজা করানো। চায় ইমাম সাহেব ইকামতের পূর্বে সোজা করিয়ে নিবেন অথবা কাদকামাতিস-সালাত বলার পূর্বে সোজা করিয়ে নিবেন। এক্ষেত্রে নামায শুরুর পূর্ব পর্যন্ত মুক্তাদিদের দিকে মুখ করে দাড়ানো বা না দাড়ানোর কোনো কিছুকেই সুন্নত বলা যাবে না।বরং সুন্নত শুধু এতটুকু যে, ইমাম সাহেব মুক্তাদিদের সফকে সোজা করিয়ে নিবেন।



صحيح البخاري: (رقم الحدیث: 719، ط: طوق النجاة)
حدثنا أنس قال أقيمت الصلاة فأقبل علينا رسول الله صلی اللہ علیہ وسلم بوجهه فقال أقيموا صفوفكم وتراصوا فإني أراكم من وراء ظهري.

و فيه ایضاً: (رقم الحدیث: 723، ط: طوق النجاۃ)
عن قتادة عن أنس عن النبي صلی اللہ علیہ وسلم قال: "سووا صفوفكم فإن تسوية الصفوف من إقامة الصلاة".

سنن أبى داود: (رقم الحديث: 662، ط: دار الكتاب العربي)
عن أبى القاسم الجدلى قال سمعت النعمان بن بشير يقول أقبل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- على الناس بوجهه فقال « أقيموا صفوفكم ». ثلاثا « والله لتقيمن صفوفكم أو ليخالفن الله بين قلوبكم ». قال فرأيت الرجل يلزق منكبه بمنكب صاحبه وركبته بركبة صاحبه وكعبه بكعبه.

سنن الترمذي: (رقم الحديث: 227، ط: دار الغرب الإسلامي)
عن النعمان بن بشير، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يسوي صفوفنا، فخرج يوما فرأى رجلا خارجا صدره عن القوم، فقال: لتسون صفوفكم أو ليخالفن الله بين وجوهكم….حديث النعمان بن بشير حديث حسن صحيح….
وروي عن عمر: أنه كان يوكل رجالا بإقامة الصفوف، ولا يكبر حتى يخبر أن الصفوف قد استوت.
وروي عن علي، وعثمان، أنهما كانا يتعاهدان ذلك، ويقولان: استووا.
وكان علي يقول: تقدم يا فلان، تأخر يا فلان.

إعلاء السنن: (360/4، ط: إدارة القرآن و العلوم الإسلامية)
قوله: " أخبرنا مالك مرتين" إلخ، قلت: دلالتهما على الاعتناء بتسوية الصفوف، وعلى أن لايكبر الإمام حتى يعلم باستوائهما ظاهرة،…السنة للإمام أن يسوي الصفوف ثم يكبر، كذا في المرقاة…وإذا لم تستو عند إقامة المؤذن، فالسنة أن يسوي الصفوف ثم يكبر.

مرقاة المفاتيح: (849/3، ط: دار الفكر)
قال الطيبي: في الحديث بيان أن الإمام يقبل على الناس فيأمرهم بتسوية الناس. اه. يعني إذا رأى خللا في الصف ; وإلا فلا فائدة في الأمر.

فتح الباري لابن حجر: (208/2، ط: دار المعرفة)
قوله وتراصوا بتشديد الصاد المهملة أي تلاصقوا بغير خلل ويحتمل أن يكون تأكيدا لقوله أقيموا والمراد بأقيموا سووا كما وقع في رواية معمر عن حميد عند الإسماعيلي بدل أقيموا واعتدلوا وفيه جواز الكلام بين الإقامة والدخول في الصلاة وقد تقدم في باب مفرد وفيه مراعاة الإمام لرعيته والشفقة عليهم وتحذيرهم من المخالفة.

البحر الرائق: (375/1، ط: دارالكتاب الاسلامي)
وينبغي للقوم إذا قاموا إلى الصلاة أن يتراصوا ويسدوا الخلل ويسووا بين مناكبهم في الصفوف ولا بأس أن يأمرهم الإمام بذلك.

(৩) কোনো ইমাম যদি ক্বীরাতের শেষ পর্যায়ে শেষ হওয়ার আগে এক হাত ছেড়ে দেয় এবং শেষ হওয়ার পর অন্যহাত ছাড়ে, তাহলে এতে তার সালাতের কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...