বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো অঙ্গ ধুতে বিলম্ব হলেও আপনার অযু হয়ে গেছে। তবে অযুর ক্ষেত্রে সুন্নত হল, এক অঙ্গ শোকানোর আগেই পরবর্তী অঙ্গ ধৌত করা। তাই বিনা ওজরে এমনটি করা যাবে না। ওজর বশত এমনটি হলে কোনো সমস্যা নেই।(বাদায়েউস সানায়ে ১/১১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার অজু হয়ে যাবে।দ্বিতয়বার আবার শুকিয়ে যাওয়া অঙ্গকে ধৌত করা জরুরী নয়।তবে ধৌত করাই উত্তম হবে।
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১১২৬
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
একবার উচ্ছারিত হয়ে গেলেই নামায ফাসিদ হয়ে যায়।দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলেও আর নামায বিশুদ্ধ থাকবে না।
ভূল উচ্ছারণের সময়ে আপনার নামায বিশুদ্ধ থাকছে কি না? সেই উচ্ছারণ কোনো মুফতির নিকট উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন যে,আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না?
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোল্লিত ব্যক্তির পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।
মেয়েদের চোখের পর্দা হল,তারা ছেলেদের দিকে তাকাতে পারবে না।কমাভাব নিয়ে তাকানো সুস্পষ্ট হারাম।কামভাব ছাড়া তাকানো সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে,তবে সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত হল,কামভাব ছাড়াও মেয়েরা ছেলেদের দিকে তাকাতে পারবে না।