আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
183 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
  1. ১।ওজুর ৪--৫মিনিট পর,মুখ ও পা কয়েক জায়গা হালকা ভেজা ছিল।বাকিটা প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে।এ সময় যদি নতুন করে একটা শুকনো জায়গা ধোয়া হয়,সেটা কি ওজুতে গণ্যহবে?নাকি পুরো ওজু আবার করা লাগবে?ইমাম এর জায়গায় দাড়িয়ে কেও সংকোচের কারণে  একেবারে শুদ্ধ বাবে তিলাওশাত করতে পারলো না।হরফ গুলো আলাদা করে উচ্চারনের চেস্টা করেছে,কিন্তু আইন,'হা।।এসব সবসময় আলাদা ভাবে শুনতে পাওয়া যাই নি,যদিও সে চেস্টা করেছিলো।কিন্তু সেই সংকোচের কারণে এসব ঠিক মতো জোড় দিতে পারে নি।পিরো তিলাওয়াতএা অনেকটা জড়তা গ্রস্ত ছিল।এ নামাজ কি শুদ্ধ কিনা।
  2. ২। মেয়েদের জনহ চোখের পর্দা কি?ছেলেদের দিকে তাকাতে পারবে? তাদের ছবি দেখতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (710,920 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো অঙ্গ ধুতে বিলম্ব হলেও আপনার অযু হয়ে গেছে। তবে অযুর ক্ষেত্রে সুন্নত হল, এক অঙ্গ শোকানোর আগেই পরবর্তী অঙ্গ ধৌত করা। তাই বিনা ওজরে এমনটি করা যাবে না। ওজর বশত এমনটি হলে কোনো সমস্যা নেই।(বাদায়েউস সানায়ে ১/১১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার অজু হয়ে যাবে।দ্বিতয়বার আবার শুকিয়ে যাওয়া অঙ্গকে ধৌত করা জরুরী নয়।তবে ধৌত করাই উত্তম হবে।

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করেছি,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১১২৬


তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

একবার উচ্ছারিত হয়ে গেলেই নামায ফাসিদ হয়ে যায়।দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলেও আর নামায বিশুদ্ধ থাকবে না।

ভূল উচ্ছারণের সময়ে আপনার নামায বিশুদ্ধ থাকছে কি না? সেই উচ্ছারণ কোনো মুফতির নিকট উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন যে,আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না?


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোল্লিত ব্যক্তির পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।


মেয়েদের চোখের পর্দা হল,তারা ছেলেদের দিকে তাকাতে পারবে না।কমাভাব নিয়ে তাকানো সুস্পষ্ট হারাম।কামভাব ছাড়া তাকানো সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে,তবে সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত হল,কামভাব ছাড়াও মেয়েরা ছেলেদের দিকে তাকাতে পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...