আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর প্লিজ আমার প্রশ্নটা একটু ভালো করে দেখবেন এবং এর উত্তর ইমেইলে দিবেন কোন সংখ্যায় না।

একদিন আমি আমার বাসায় একটা গাছ লাগাচ্ছিলাম তখন আমার স্বামী আমাকে জিজ্ঞাসা করে এখানে এই গাছ কেন লাগাচ্ছ? এর আগে সকালে তার সাথে রাগারাগি হয়েছিল তাই অভিমান করে বলি আমি যখন মরে যাবো তখন এটা বড় হয়ে আমার কথা মনে পড়বে,তখন আমার স্বামী বলে কি বলো এসব?এরকম কথা বলে না। এখন আমি মরে যাবো বা থাকবো না কোনটা বলেছি ঠিক মনেও করতে পারছি না। কিন্তু ও এই কথাই বলেছিল এসব কথা বলে না। তার উপর রেগে থাকার কারনে আমার মনে হয়তো অন্য কিছু ছিল । কিন্তু সেই মনের বিষয়টা ও দৃঢ় ছিল না। আর আমি মুখে কথাটা এমন ভাবেই বলি।থাকবো না যদি বলেও থাকি  সেটা এমনভাবে যে মৃত্যুর মতই শোনায় বা মৃত্যুর কথাই বলেছিলাম।
আমার প্রশ্ন
১৮ নং কলামের আলোকে আমার এই ধরনের কথার দ্বারা আমাদের সম্পর্কে কি কোন সমস্যা হয়েছে? আমি তো কিছু চাইনি মনে যাই থাকুক যেখানে মনের বিষয়ে দ্বন্দ ছিল।এখানে কিছু বলা দরকার।
আমার বিয়ের সময় ১৮ নং কলামের বিষয় অর্থাৎ স্ত্রীর নিজের উপর অধিকারের বিষয় আমার জানা ছিল না। বিয়ের কয়েক বছর পর এই বিষয়টা যখন জানতে পারি এবং আমার কাবিন নামায় ওখানে রাইট চিনহ দেখি তখন আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে সে ভেবেছিল আমি হয়তো দিতে বলেছি এজন্য সে ওখানে আর কিছু বলেনি। পরে যেটা বুঝলাম কাজি সাহেব থেকে এই বিষয়টা দিছিল। আমি তখন আমার স্বামিকে বলি আমি এই অধিকার চাই না এবং সে ও রাজি হয়ে তাকে দিয়েই আমাদের কাছে থাকা কাবিন নামায় ওই ঘরে কেটে দেই এবং লেখাও কেটে দেই।
আর এরপরে আমি জানলাম কিভাবে মহিলারা এই অধিকার নিজের উপর প্রয়োগ করবে। আমি কখনো রেগে গেলে বা তার সাথে রাগারাগির সময় আমি কটু কথা বললেও মুখে কখনো সম্পর্ক নস্ট হওয়ার কথা কখনো বলিনি আর যখন থেকে এই বিষয়টা জানছি তখন তো আরই না। আর স্বামীও আলহামদুলিল্লাহ্‌ জানে কিভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শরীয়াহভাবে নস্ট হয়। সে কখনো এমন কথা বলে না আলহামদুলিল্লাহ্‌
আল্লাহর কসম! আল্লাহর কসম! আল্লাহর কসম করে বলছি হুজুর স্ত্রী হিসেবে রাগের মাথায় হয়তো কটু কথা বলছি অভিমানে অন্য কথা বলছি কিন্তু আমার জবান দিয়ে আমি কখনো এমন কথা বলিনি বা চাইনি যা সম্পর্ক ছেদ করে এবং আমার স্বামীর কাছ থেকেও কখনো এমন কথা শুনিনি আলহামদুলিল্লাহ্‌।
কিন্তু হঠাৎ করে  আমার এই ঘটনার কথা মনে আসে। আমি পরে গাছটা তুলেও ফেলি হুজুর আমি টেনশনে আছি আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমার স্বামি এগুলার কিছুই জানে না। তাকে প্রশ্ন ও করতে পারছিনা সেদিন আমি আসলে কি বলেছিলাম। কারন এটা অনেকদিন আগের ঘটনা। তবে সে এই কথাই বলেছিল এটা মনে আছে। আর ইদানিং আমি রাগ কন্ট্রোলের খুব চেস্টা করছি, থেকে থেকে এমন কিছু ঘটনা মনে চলে আসে, আমার তখন প্রচন্ড টেনশনে শরীর খারাপ হতে থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে আমি ওয়াসওয়াসায় পড়ে যাচ্ছি আমি আর পারছি না। আল্লাহ তো রহমান তিনি তো রহিম।
হুজুর আল্লাহ তো বলছেন বান্দার মনের বিষয়ে হিসাব নেবেন না যতক্ষন এটা মুখে বা কাজে না আসে।
প্লিজ হুজুর আমাকে বলেন আমাদের কিছু হয়নি। আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাবো।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মরে যাবো বা থাকবো না, এসব কথা স্ত্রী বললে তালাক হবে না। তাছাড়া স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী হলে, সরাসরি তালাক বললেও তালাক হবে না।

আপনার প্রশ্নকে আমি গভীর মনযোগ সহকারে পড়েছি, আপনার বিবরণমতে আপনাদের সংসারে কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...