আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
335 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (67 points)
reshown by

১. মেয়েদের ক্ষেত্রে কেনায়া বাক্য কিরকম হয়? কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাবে কি মুফতি সাহেব, বুঝতে সুবিধা হতো।

২. আজকে আমার বউ এবং আমাকে একসাথে একটা এলাকায় হাটতে দেখে ফেলে একজনে। আসলে আমরা দুজনে দেখা করার পর এইদিকে হেটে তার বাসা পযন্ত দিয়ে আসি।  কিন্তু ওই লোক আমাদের একসাথে দেখলে কিছু সমস্যা হবে। এই জন্য আমার বউ রাগ করে আমার উপর। কারণ ওকে আগেও চিনিয়েছিলো, আমি ভুলে গিয়েছিলাম।তখন বউ রাগ করে একটু বকাযজা করে, যে খেয়াল রাখি না,  তাকে দেখার পরেও দূরে যাই নাই, এইরকম বলার মাঝে দুটি কথা এমন ও ছিলো, "আমি আর তোমারে লইয়া নাই কোনোখানো",  "আর জীবনেও আমার লাগি আইওনা" এর পর বললো " দেখা করার পর তুমি তোমার পথে যাইবা আমি আমার পথে".।  (হয়তো বলতে চেয়েছে আমার লগে আইয়ো না, ভুলে হয়ে গেছে আমার লাগি আইয়ো না, যদিও এই বিষয়ে কথা বলা হয় নি সে রাগ করেছে দেখে)

এই গুলো কি মেয়েদের ক্ষেত্রে কেনায়া বাক্য, এই কথা গুলো বলার সময় তার নিয়ত ছিলো কি না জানতে হবে? আমার কি করণীয়?

(যদি তার অধিকার থাকে)

৩. আরেকটা বিষয়,আমি যেখানে থাকি সেখানে অনেক হিন্দু থাকে, তারা আমাকে শুজোর শুভেচ্ছা জানায়, তখন আমি তার কথা ঘুরিয়ে অন্য কথায় চলে যাই, যেমন, আজকে কতো ননং দিন,  গ্রামের বাড়ি যবেন কি না ইত্যাদি। এটা ঠিক আছে? ঠিক না হলে আর কি করবো বলে দিবেন?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/39698/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পেয়ে থাকলে কেনায়া তালাক দিতে পারবে।
তবে সেটি নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান/গ্রহন জাতীয় অর্থ বিশিষ্ট হতে হবে,এবং তালাকের নিয়ত থাকতে হবে।  

যেমন স্বামী যদি বলে যে তুমি তালাক গ্রহন করো,স্ত্রী যদি বলে যে আমি তাহা গ্রহন করিলাম,তাহলে তালাক হয়ে যাবে। 
অথবা স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পেয়ে তালাকের নিয়তে আমি মুক্ত,আমি স্বাধীন,তোমার সাথে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন করলাম ইত্যাদি বাক্য বললে তালাক হবে।

رجل قال لامرأتہ خذي طلاقک، فقالت: أخذت، یقع الطلاق۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الطلاق / الفصل الثاني في إیقاع الطلاق ۱؍۳۵۹)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে বলেছে তুমি তালাক গ্রহন করো,স্ত্রী যদি বলে যে আমি তাহা গ্রহন করিলাম,তাহলে তালাক হয়ে যাবে। 

(০২)
এগুলোর কোনোটাই তালাকের কেনায়া বাক্য নয়।
তাই নিয়ত সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, এটা ঠিক আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ঝগড়ার এ বাক্য গুলো স্ত্রী বললে কি তালাক পতিত হবে?
by (671,200 points)
না,এক্ষেত্রেও তালাক পতিত হবেনা। 
by (25 points)
আর স্ত্রী যদি বলে সম্পর্ক শেষ তাহলে কও তালাক পতিত হবে?
by (671,200 points)
এক্ষেত্রেও তালাক পতিত হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...