এখনকার বাথরুমে কমোড আর গোসলখানা সব এক‌ই রুমে।আবার অন্যরা পাক নাপাক নিয়ে তেমন সচেতন না।তো তারা কীভাবে বাথরুম ইউজ করে তা তো জানি না। তাই এখানে পাক নাপাক নিয়ে একটু সমস্যা হয়। বিশেষত পানির ছিটেফোঁটা নিয়ে, সুঁই এর আগার চেয়েও এসব ছিটে ফোঁটার আকার সাধারণত কিছুটা বড় হয়+ কয়েক ফোঁটা মিলে মিলে তো এক দিরহামও হয়ে যেতে পারে বলে মনে হয়। এই ছিটাগুলোর হুকুম যদি নাপাক হয়,তাহলে তো তা পবিত্র করা জরুরি... কিন্তু আমি বুঝি না কী করতে হয়..
টয়লেটের প্যান ইউজ করার সময় ট্যাপ ছেড়ে বদনায় পানি ভর্তি করার সময় বদনাসহ আশপাশে পানি ছিটে যায়,কিছু এসে গায়েও পরে। কখনো সরাসরি বদনা থেকে গায়ে আসে,আবার কখনো বদনার পাশে কমোডের পাশের ফ্লোরে পরার পর আমার গায়ে এসেছে বলে মনে হয়, এই পানি কি নাপাক বলে বিবেচিত হবে বা যেখানে লেগেছে সেই স্থান কি ধুয়ে নিতে হবে?
আবার টয়লেট শেষ করার পর বাথরুমে পা ধুতে গেল অথবা ওযুর পর পা ধোয়া পানির ছিটা,ফ্লোর থেকে ছিটা আসে। মানে এক পা ধোয়ার সময় সেই পায়ের পানি ফ্লোরে পরে আরেক পায়ে এসে লাগে বা সরাসরি সেই পা থেকেই ছিটে গিয়ে আরেক পা তে আসে। অনেক সময় ভালোই অনেক খানি পানি ছিটে আসে।আমি চেষ্টা করি যাতে আরেক পায়ে না লাগে, কিন্তু তবুও লেগে যায়।এখন আরেক পায়ে লাগা পানি বা পানির ছিটাগুলা কি নাপাক হবে? ওই পা কি আরেকবার ধুতে হবে?
আচ্ছা, অন্যের ব্যবহারের কারণে অদৃশ্য নাপাকিতে কী আমার সমস্যা হবে? যেমন টয়লেটে অন্যরা বদনা ট্যাপ, দরজার হাতল ইউজের পর অন্যরা কোনোভাবে নাপাকীর স্পর্শ সেখানে লেগে থাকতে পারে। এছাড়া টয়লেট থেকে বের হয়ে বেসিনে হাত ধোয় অনেকে,তবে কেমন জানি একবার খালি পানি ঢালে কোনো রকমে। আমার এটা কেমন জানি লাগে, তো আমার মনে হয় বেসিনেও ওদের হাত বা পানির ছিটা থেকে নাপাক লেগে থাকতে পারে। তো এগুলো কি আদৌ যৌক্তিক বা ধর্তব্য? অর্থাৎ এইযে এমন স্পর্শ,ছিটাজনিত নাপাকী যা আমি নিশ্চিত না তবে আসলেও থাকতে পারে, হয়তো টুকটাক থাকেও। এসব বিষয়ের হুকুম কী? সর্বোচ্চ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনিসগুলোতে(হাতল/সিটকিনি,ট্যাপ, বদনা,বেসিনের সিন্ক) পানি ঢেলে বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিবো যখন আমি ব্যবহার করি? নাকি এসব পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই?