ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কেউ হানাফী ফিকে মেনে চলে এবং সে হটাৎ তার স্ত্রীকে একসাথে ৩ তালাক দিয়ে দিল,এবং সে আবার স্ত্রী এর সাথে থাকার জন্য আহলে হাদিস এর শায়েখ এর ফতোয়া নিল, যাতে ৩ তালাক ১ তালাক হয়,এক্ষেত্রে সে শুধু নিজের সুযোগ মত ফতোয়া নেওয়ার কারণে গুনাগার হবে,এমন নয় বরং যেহেতু সে হানাফী ফিকহকে অনুসরণ করতো তাই তার এই ফতোয়া তার জন্য প্রযোজ্য হবে না।বরং সংসার করলে যিনা ব্যভিচারের গুনাহ হবে।
(২)
কেউ যদি আহলে হাদিস দের অনুসরণ করে এবং গোপনে ওলি ব্যতিত বিবাহ করে এবং সে ধরে নেয় যে, ওলি বাদেও যেহেতু বিবাহ হয়, তাই তার এ বিবাহ হয়ে গেছে। এখন যদি সে সংসার করে তাইলে তার শুধু সুযোগমত ফতোয়া নেওয়ার কারণে গুনাহ হবে না বরং তার বিবাহটা বাতিল বলে গণ্য হবে।
(৩)
কোনো এক বিষয়ে মাসআলা নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু একজন আলেম ফতোয়া নিলেই হবে। অনেকজনের কাছ থেকে ফাতাওয়ায় নেওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(৪)
"আল্লাহ আমাকে জাহান্নামে দিয়ে একবারে জান্নাতে দিয়ো" এভাবে দু'আ করা যাবে না,বরং এভাবে দু'আ করতে হবে যে, হে আল্লাহ আমাকে বিনা হিসাবে জান্নাত নসিব করো।
(৫)
নিজের অতীতের ভুল শুদ্ধ যাচাইবাচাই করতে যেয়ে যদি ওয়াসওয়াসা হয়, তাহলে এমন ওয়াসওয়াসা মন্দ হয়। এরকম ওয়াসওয়াসা আসার পর সাথে সাথেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে নিতে হবে।
(৬)
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারী ও দাইয়ুস কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না মর্মে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, সেখানে মূলত ধমকি দেয়া হয়েছে। বরং এরাও সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
(৭)
যারা জান্নাতে যাবে,তারা একক ভাবেই জান্নাতে যাবে।হ্যা, কোনো পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয় জান্নাতে গেলে তারা তথায় একই সাথে বসবাস করতে পারবে।
(৮)
ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।