আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি ভালো আছেন।

★কেউ যদি এমন কোনো চাকরি করে যেখানে নির্দিষ্ট বেতন ছাড়াও বারতি ইনকাম হবে,,,,,,তাহলে কি ওই বারতি ইনকাম করাটা জায়েজ হবে?

বিস্তারিত,,,,,,,,,Inport যেখানে করা হয়(অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে মালামাল আনা হয়)সেখানে যদি আমি একটা চাকরি করি এবং নির্ধারিত বেতন দেওয়া হয়, ওই বেতনের পাশা পাশি বারতি টাকা ইনকাম(ট্রাকের ইনপুট থেকে বাইরে বের হওয়ার জন্য যেমন,,কয়েকটা ট্রাক সিরিয়ালে আছে যেগুলো একটা আরেকটার পরে বের হবে, এখন আমি যদি যে ট্রাকটা প্রথমে বের হওয়ার কথা ছিল সে ট্রাককে প্রথমে বের না করে যেটা সবার শেষে বের হওয়ার কথা ছিল সেটা যদি টাকার বিনিময়ে প্রথমে বের করি) জায়েজ হবে নাকি?

সবার শেষে যে ট্রাকটা বের হওয়ার কথা ছিল সেই ট্রাকের ড্রাইভার যদি আমাকে কিছু টাকা দেয় আর বলে যে, আমার ট্রাকটা একটু আগে বের করার ব্যবস্তা করে দাও,তাহলে কি আমি ওই শেষে বের হওয়া ট্রাকটাকে প্রথমে বের করলে কি আমার টাকাটা হালাল হবে নাকি হারাম?

২/ইনপোর্টে বিভিন্ন মালামালের গাড়ি আশে, অনেকেই অনেক মালামাল নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়,এইভাবে মালামাল নেওয়া কি জায়েজ হবে?

৩জদি ইনপোর্টের মেনেজার বা বড় কোনো অফিসারকে বলে আনা হয় তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
কেউ যদি এমন কোনো চাকরি করে, যেখানে নির্দিষ্ট বেতন ছাড়াও বাড়তি ইনকাম হবে।
সেক্ষেত্রে বাড়তি ইনকামের পদ্ধতি যদি বৈধ হয়,আর কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি থাকে,
তাহলে ঐ বাড়তি ইনকাম করাটা জায়েজ হবে।

কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেভাবে বাড়তি ইনকাম করা হচ্ছে,এটি স্পষ্ট সূদ।
যাহা হারাম।
,

ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .

অনুবাদঃ ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১ সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০ 

(০২)
এভাবে মালামাল নেয়া চুরির অন্তর্ভুক্ত। 
বিধায় তাহা হারাম।

(০৩)
তবুও জায়েজ হবেনা।
এটি অন্যের মালামাল।
এটিতো ইনপোর্টের মেনেজার বা বড় কোনো অফিসারের নিজস্ব মালামাল নয়,সুতরাং তার অনুমতিতে কিছু আসে যায়না।
তাই ইনপোর্টের মেনেজার বা বড় কোনো অফিসার অনুমতি দিলেও এটি চুরির অন্তর্ভুক্ত হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...