জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনি যদি শুধু বাংলা অনুবাদ পড়েন,সেক্ষেত্রে এটিকে কুরআন খতম বলা হবেনা।
কুরআনের প্রতিটি শব্দ পড়ার দরুন যে দশ নেকি করে হয়,সেটি শুধু অনুবাদ পড়লে হবেনা।
হ্যাঁ, যদি আপনি আরবি কুরআন পড়ার পাশাপাশি বাংলা অনুবাদও পড়েন,সেক্ষেত্রে খতম হবে।
"মহিমান্বিত কুরআন " এখানে যদি পুরো কুরআনের আরবী না থাকে,তাহলে এটি পড়ে খতম হবেনা।
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো, জুনুবি অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই।
,
হায়েজ,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম।
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
,
★তাফসিরের কিতাব যেখানে আয়াতের তুলনায় তাফসীরই বেশি,সেটি পড়া স্পর্শ করা জায়েজ আছে
তবে তাফসীরের যেই স্থানে আয়াত লেখা আছে,সেই আয়াত স্পর্শ করবেনা।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ
وقد جوّز أصحابنا مس كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً''۔(1/177۔دارالفکر)
সারমর্মঃ
জুনুবি ব্যাক্তির জন্য তাফসীরের কিতাব স্পর্শ করা জায়েজ আছে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেই কুরআন পড়ে খতম করতে চাচ্ছেন,সেখানে যদি শুধু আরবী থাকে,বা আরিবির পাশাপাশি অনুবাদও থাকে,তাফসীর না থাকে,সেক্ষেত্রে সেটি ধরতে অযু লাগবে।
আর যদি এমন কুরআন পড়ে,যেখানে আরবীর পাশাপাশি অনুবাদ ও তাফসীর আছে,সেক্ষেত্রে সেখানে আয়াতের তুলনায় তাফসীরই বেশি থাকলে সেটি স্পর্শ করতে অযু আবশ্যক নয়।
তবে সরাসরি আয়াতের উপর স্পর্শ করা যাবেনা।
(০৩)
শুধু কুরআনের অনুবাদের গ্রন্থ হলে সেটি ধরতে অযু করতে হবেনা।