বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মীযান বিন হারুনের অনুবাদ পড়তে পারেন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন সাহেবের অনুবাদ পড়তে পারেন।
(০২)
স্পিড বাড়িয়ে শুনলে যদি সব কথা আপনি পুরোপুরি বুঝতে পারেন,তাহলে এটি জায়েজ হবে,নতুবা এটি জায়েজ হবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ, পারবে।
আইওএম আলিম কোর্স শেষ করে কোনো কওমি মাদ্রাসায় গিয়ে নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সেখানের কোনো উস্তাদের পরামর্শ মোতাবেক কোনো এক জামাতে ভর্তি হবে। অতঃপর নিয়মমাফিক দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত পড়ে কোনো এক ইফতা বিভাগে ভর্তি মুফতি হওয়ার জন্য পড়াশুনা করতে পারবে।
(০৪)
মাসয়ালা ও তার রেফারেন্স উল্লেখ করলে ভালো হতো।
(০৫)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নন মাহরাম স্টুডেন্ট পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করলে সেক্ষেত্রে দৃষ্টি নত রেখে তাদেরকে ইসলামি বই উপহার দেওয়া যাবে।
তবে ফিতনার যেনো কোনো আশংকা না থাকে।
(০৬)
হ্যাঁ, সকল বই পড়া যাবে।
তবে তাবিজ সংক্রান্ত বইয়ের ব্যপারে কিছু উলামায়ে কেরামদের আপত্তি আছে বলে জানা যায়।
(০৭)
ফাসেকদের গুনাহের বিষয় আলোচনা করে মানুষকে তাদের থেকে বেঁচে থাকার জন্য বললে গুনাহ হবেনা
বান্দার হক নষ্ট হবেনা।
মানুষ কে গুনাহ থেকে দূরে সড়িয়ে রাখার জন্য ফাসেক তারকাদের গীবত করা জায়েজ আছে।