আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
edited by
১. আর রাহিকুল মাখতুম কিতাবের কোন অনুবাদটি নির্ভরযোগ্য হবে?

২. আইওএম এর ক্লাসগুলো দ্বীগুন স্পীডে দেখলে কি গুনাহ হবে? সেখানে তো কোরআনের আয়াতও থাকে। সময় সুযোগ কম থাকে অনেক সময় তাই স্পিড বাড়িয়ে শুনা যাবে? ইউটিউব এ 1.25, 1.50 স্পীডেও শুনা যায়।

৩. জেনেরেল লাইনে পড়া কোন ছেলে আইওএম আলিম কোর্স শেষ করে কি মুফতি হওয়ার জন্য পড়াশুনা করতে পারবে? যদি পারে তাহলে কয় বছর লাগবে?

৪. ইদানীং আহলে হাদিস ভাইয়েরা একটি মাসআলা নিয়ে প্রচুর প্রচার দিচ্ছে সেটি হচ্ছে ফতোয়ায়ে আলমগীরিতে একটি মাসআলা নাপাকি চেটে পরিষ্কার করার ব্যাপারে। এ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন।

৫. নন মাহরাম স্টুডেন্টদের কি ইসলামি বই উপহার দেওয়া যাবে?

৬. হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) এর সকল বই কি নির্ধিধায় পড়তে পারবো? বেহেশতি জেওর বই নিয়ে অনেক আপত্তি দেখা যায়। বইটি কি পড়া উচিত?

৭. বিভিন্ন তারকাদের নিয়ে ঠাট্টা করলেও কি বান্দার হক নষ্ট হয়? এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে কিভাবে ক্ষমা পাবো?

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
মীযান বিন হারুনের অনুবাদ পড়তে পারেন। 
মাওলানা মুহিউদ্দিন সাহেবের অনুবাদ পড়তে পারেন। 

আরো জানুনঃ- 

(০২)
স্পিড বাড়িয়ে শুনলে যদি সব কথা আপনি পুরোপুরি বুঝতে পারেন,তাহলে এটি জায়েজ হবে,নতুবা এটি জায়েজ হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, পারবে।
আইওএম আলিম কোর্স শেষ করে কোনো কওমি মাদ্রাসায় গিয়ে নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সেখানের কোনো উস্তাদের পরামর্শ মোতাবেক কোনো এক জামাতে ভর্তি হবে। অতঃপর নিয়মমাফিক দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত পড়ে কোনো এক ইফতা বিভাগে ভর্তি   মুফতি হওয়ার জন্য পড়াশুনা করতে পারবে।

(০৪)
মাসয়ালা ও তার রেফারেন্স উল্লেখ করলে ভালো হতো।

(০৫)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ   
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ


রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নন মাহরাম স্টুডেন্ট পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করলে সেক্ষেত্রে দৃষ্টি নত রেখে তাদেরকে ইসলামি বই উপহার দেওয়া যাবে।
তবে ফিতনার যেনো কোনো আশংকা না থাকে।

(০৬)
হ্যাঁ, সকল বই পড়া যাবে।
তবে তাবিজ সংক্রান্ত বইয়ের ব্যপারে কিছু উলামায়ে কেরামদের আপত্তি আছে বলে জানা যায়।

(০৭)
ফাসেকদের গুনাহের বিষয় আলোচনা করে মানুষকে তাদের থেকে বেঁচে থাকার জন্য বললে গুনাহ হবেনা 
বান্দার হক নষ্ট হবেনা।
মানুষ কে গুনাহ থেকে দূরে সড়িয়ে রাখার জন্য ফাসেক তারকাদের গীবত করা জায়েজ আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...