আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম,
জেনারেল পড়াশোনা একজন মেয়ের জন্য কতটুকু জরুরি?  আমি কি বিবিএ কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে পারি? আমার ইচ্ছা আমি শিক্ষকতা করবো। কিন্তু ভার্সিটির কো এডুকেশন এর জন্য সেখানে ভর্তি হইনি,একটা মহিলা কলেজে বাংলায় ভর্তি হই। কিন্তু বাসা থেকে দূর হওয়ায় সেখানে ক্লাস করা হয়না,শুধু পরিক্ষা দেই। আমি যদি ঢাকায় হোস্টেলে থেকে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করি তবে এই সাবজেক্ট পড়ে কিভাবে দ্বীনের খেদমত করতে পারি? আমার কি উচিত হবে ফার্মেসি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করা? ফার্মেসি পড়ে হাসপাতালে চাকরির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমি চাকরি তে তেমন আগ্রহী নই। তবে পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমার পরিবার চায় আমি চাকরি করি। তাই যে সেক্টরে চাকরির সুবিধা বেশি সে বিষয় নিয়ে আমাকে পড়াশোনা করতে বলে। এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত?  আমি ইস্তেখারা করেছি কিন্তু তারপরও বুঝতে পারছি না। আমি অনেক বার ইস্তেখারা করেছি কিন্তু কিছু দিন পর পর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবো কি হবো না এসব নিয়ে দ্বিধা দন্দে ভুগতে থাকি। আমি বাসায় বলেছিলাম আমি ইংরেজি তে পড়তে চাই এবং কিন্ডারগার্টেন কিংবা গার্লস স্কুলে অথবা মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতে চাই কিন্তু তারা চায় আমি ফার্মেসি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়ি।আমাদের বাসা থেকে ঢাকা যেতে প্রায় ৮/৯ ঘন্টা লাগে।আমি তাই এটাও বলেছি যদি আমার বাবা আমাকে হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া আসা করতে পারেন তবেই আমি ভর্তি হবো তাছাড়া হবো না।যদি পড়তেই হয় সেক্ষেত্রে কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারি আর দ্বীনের খেদমতে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি? মেডিকেলে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।

1 Answer

0 votes
by (587,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে এমন কোনো বিষয় বাচাই করতে হবে, যে বিষয়ে পড়াশোনা করে পর্দাসম্মত চাকুরীর ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কোনে বিষয় খুজে না পান, তাহলে আপনি পড়াশোনা করতে পারবেন, তবে চাকুরী করতে পারবেন না। কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা করলে পর্দাসম্মত চাকুরীর ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলো জানতে সরকারি চাকুরী প্রাপ্ত কারো সাথে পরামর্শ করে সামনে অগ্রসর হবেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (587,250 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...