আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,

১.আমি টিউশনি করি।  সপ্তাহই চারদিন পড়ায়। বেতন ১৭০০ টাকা। কোনো একদিন যদি আমার সমস্যার কারণে পড়াতে না পারি ওটা এক্সট্রা পড়িয়ে দি। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন হয় যে স্টুডেন্ট নিজেই আসে না। যেহেতু আমি পড়াতাম কিন্তু ও আসে নি তাই আমিও আর ওইদিনের জন্য এক্সট্রা পড়ায় না। মাস শেষে অভিভাবক পুরো বেতনটাই দিয়ে দেন। আমি পুরাটা নিলে কি গুনাহ হবে নাকি স্টুডেন্ট নিজে থেকেই যেদিন যেদিন আসে না সেদিনের টাকাগুলো নেওয়া উচিত না? আমার মা বলেন ও তো নিজে থেকেই আসে নাই তাহলে আমার তো পুরো বেতনটা নিতে সমস্যা নাই,স্কুলে স্টুডেন্ট কয়েকদিন কম গেলে কি স্কুলের বেতন কম দেয়??

২.কখনো কখনো এমন হয়েছে আমার কাছে কারো কলম,পেন্সিল ইত্যাদি চলে এসেছে কোচিং বা অন্য কোথাও পরে কার এগুলো তাও আমি শনাক্ত করতে পারি নি,দিতেও পারি নি,কেউ খুঁজেও নি। এখন হয়তো তাদের এসব লাগবেও না যেহেতু আহামরি দামি জিনিস না।  কিন্তু যাই হোক এগুলো তো তাদেরই হক। হক যাতে আদায় হয় সেজন্য আমি কি জিনিসগুলোর মূল্য যাদের জিনিস তাদেরকে নিয়তে রেখে দান করে দিয়ে নিজে সেগুলো ব্যবহার করতে পারব?? যদি না পারি তাহলে এগুলোর হক কিভাবে আদায় করতে পারি??

1 Answer

0 votes
by (721,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু তারা নিজের ইচ্ছাতেই আসছে না, তাই আপনি ঐ দিন সমূহের বেতন নিতে পারবেন।

(২)
আপনি প্রথমে ঐ সমস্ত জিনিষের মালিককে খুজে বের করে তাদেরকে পৌছিয়ে দিবেন।যদি শতচেষ্টার পরও তাদেরকে খুজে না পান, তাহলে ঐ সব মাল সদকাহ করে দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (721,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...