আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ উস্তাদ।

আমার একটি বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলেটি যথেষ্ট দ্বীনদার, খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হয়েছে তার আচার-আচরণ এবং চরিত্রও বেশ ভালো। জীবনটা সুন্নতিভাবে আল্লাহর রাস্তায় পার করতে চান, যেটা আমার ইচ্ছার সাথেও মিলে যায়।

কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা বেশ চিন্তিত। তাদের ফিনানশিয়াল অবস্থা আমাদের থেকে বেশ নিচে। উনি একটা ছোটখাটো জব করেন, যার ইনকামের হাফ বাসায় দিয়ে দেওয়া লাগে বাবা মার দেখভাল আর বাসা ভাড়ার জন্য। বাসায় দেওয়ার পর তার হাতে যেই পরিমাণ টাকা থাকে তা খুবই নগন্য। উনি আমাকে ডিটেইলসেই সব বলেছেন। যাতে আমি সব বুঝে শুনে ডিসিশন নিতে পারি। উনি আমাকে সরাসরি এভাবেও বলেছেন যে, আমার বাবা আমাকে যেভাবে রেখেছেন উনি ওইভাবে রাখতে পারবেন না। দুনিয়াবি ইচ্ছা চাহিদা পুরণ করতে পারবেন না, কারণ উনার সেরকম এবিলিটি নেই। আমি যেন উনার থেকে হাই এক্সপেকটেশন না রাখি।

উস্তাদ, আমি নিজেও খুব লাক্সারিতে বড় হইনি, কিন্তু আল্লাহর রহমতে কখনো অভাবের মুখও দেখতে হয়নি আমাকে আলহামদুলিল্লাহ। দরকারি জিনিসপত্র যা লাগে কমবেশি সবকিছুর চাহিদাই বাবা মা পুরণ করার চেষ্টা করেছেন সবসময়। এমতো অবস্থায় আমার কি করা উচিত আমি বুঝতে পারছি না। আজকাল এমনিতেই প্রকৃত দ্বীনদার ছেলে পাওয়া যায় না। উনার সবকিছু আমার ভালো লাগলেও ফিনানশিয়াল ব্যাপারটা মিলছে না। আমার ফ্যামিলিও এই কারণে আগাতে চাচ্ছে না এখানে। তারা একদমই নারাজ। আমি শুধুমাত্র দ্বীনের কথা ভেবে জোর করলে হয়তো ফ্যামিলি না চাইতেও বিয়ে দিবে। তবে এক্ষেত্রে আমার কি জোর করা উচিত?

এই প্রসঙ্গে আমার একটি হাদিসের কথা মাথায় আসে, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যে লোকের দীনদারী ও নৈতিক চরিত্র দ্বারা সন্তুষ্ট আছ, তোমাদের নিকট যদি সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তবে তার সাথে (তোমাদের পাত্রীর) বিয়ে দাও। তা না করলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে।" আবার সুরা কাহাফের ওই আয়াতটার কথাও মাথায় আসে, "আর আপনি নিজেকে ধৈর্যের সাথে রাখবেন তাদেরই সংসর্গে যারা সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাদের রবকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে এবং আপনি দুনিয়ার জীবনের শোভা কামনা করে তাদের থেকে আপনার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবেন না।" [১৮:২৮]

কিন্তু আবার কুফু মিলানোর ব্যাপারেও অনেক লিখা দেখেছি। আমি বিভিন্ন ইসলামিক গ্রুপে কিছু আপুর পোস্টও দেখেছি, শুধুমাত্র দ্বীনদার দেখে বিয়ে করেছেন, কিন্তু বিয়ের পর খাপ খাওয়াতে পারছেন না। এসব দেখে খুব চিন্তায় আছি, ইস্তেখারাও করছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না কি ডিসিশন নেওয়া উচিত। প্রচন্ড সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। আমাকে এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমে অভাবের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য ঈমানের পরিপক্বতা অর্জন করে নিতে হবে। নেককার ও দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করে,নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। অতঃপর গরীব হলেও দ্বীনদার পত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াই কল্যাণকর হিসেবে বিবেচিত হবে। যদি নিজের উপর কনফিডেন্স বা পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাসের অভাব আপনার আচ হয়, তাহলে আপনি আরো অপেক্ষা করবেন, যে পর্যন্ত না উক্ত প্রস্তাবকারী আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়, বা আরো উন্নত অবস্থার কারো থেকে প্রস্তাব আসে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...