ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কারো যদি অনেক কাযা নামায থাকে। ঐ কাযা নামাজ গুলোকে কাযা করার সময় নির্দিষ্ট করে কাযা করা জরুরী। অর্থাৎ এভাবে নিয়ত করতে হবে যে, জীবনে যত ফজরের নামায কা'যা হয়েছে, এর মধ্য থেকে সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ নামায এখন পড়তেছি।এভাবে নিয়ত করতে হবে।
(২)আগের অনেক দিনের কাযা নামাজ রেখে কেউ যদি নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করে। নিয়মিত নামাজ পড়া অবস্থায় যদি কোনো কারণবশত এক-দুই ওয়াক্তের নামাজ আবার কাযা হয়।তাহলে এই নামাজ আগের কাযা নামাজের সাথে যোগ হবে।নতুন কাযা হওয়া নামাজ না পরে ওয়াক্তের নামাজ পড়া যাবে। যেহেতু তার আগে ৬ওয়াক্তেরও অনেক বেশি নামাজ কাযা বাকি আছে।
(৩) আহলে হাদীস মতাদর্শ অনুসরণ করা অবস্থায় বিতিরের যে সব নামায ১রাকাত হিসেবে পড়া হয়েছে,এখন ঐ নামাজগুলোকে আবার দোহড়াতে হবে না।