আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
অতিরিক্ত প্রশ্ন করার জন্য মাফ করবেন।

১)কারো যদি অনেক কাযা নামায থাকে।ওই কাযা নামাজ গুলো কি ধারাবাহিক ভাবে আদায় করতে হবে?যেমন একদম প্রথম যে নামাজ কাযা হয়েছিল সেখান থেকেই আদায় করতে হবে?

২)আগের অনেক দিনের কাযা নামাজ রেখে কেউ যদি নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করে। নিয়মিত নামাজ পড়া অবস্থায় যদি কোনো কারণবশত এক-দুই ওয়াক্তের নামাজ আবার কাযা হয়।তাহলে কি ওই নামাজ আগের কাযা নামাজের সাথে যোগ হবে?নতুন কাযা হওয়া নামাজ না পরে কি ওয়াক্তের নামাজ পড়তে পারবে যেহেতু তার আগে ৬ওয়াক্তের ও অনেক বেশি নামাজ কাযা বাকি আছে?

৩)আমি একসময় আহলে হাদীস মতাদর্শ অনুসরণ করতাম।তখন আমি ৫-৬ বছরের মত বিতরের নামাজ ১রাকাত পড়েছি।এখন ওই নামাজগুলোর বিধান কি?আমি কি সাহেবে তারতিব হবো নাকি না?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1609

জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।

তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কারো যদি অনেক কাযা নামায থাকে। ঐ কাযা নামাজ গুলোকে কাযা করার সময় নির্দিষ্ট করে কাযা করা জরুরী। অর্থাৎ এভাবে নিয়ত করতে হবে যে, জীবনে যত ফজরের নামায কা'যা হয়েছে, এর মধ্য থেকে সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ নামায এখন পড়তেছি।এভাবে নিয়ত করতে হবে।

(২)আগের অনেক দিনের কাযা নামাজ রেখে কেউ যদি নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করে। নিয়মিত নামাজ পড়া অবস্থায় যদি কোনো কারণবশত এক-দুই ওয়াক্তের নামাজ আবার কাযা হয়।তাহলে এই নামাজ আগের কাযা নামাজের সাথে যোগ হবে।নতুন কাযা হওয়া নামাজ না পরে ওয়াক্তের নামাজ পড়া যাবে। যেহেতু তার আগে ৬ওয়াক্তেরও অনেক বেশি নামাজ কাযা বাকি আছে।

(৩) আহলে হাদীস মতাদর্শ অনুসরণ করা অবস্থায় বিতিরের যে সব নামায ১রাকাত হিসেবে পড়া হয়েছে,এখন ঐ নামাজগুলোকে আবার দোহড়াতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...