আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১) নামাজরত অবস্থায় কি অন্য কেউ তার সামনে হাত নিয়ে কোন কাজ করতে পারবে? যেমন হেটে যাওয়া ছাড়া এমনিতে চকেটের সুইজ ব্যবহার বা সামনে জায়নামাজ রাখার স্থানে জায়নামাজ রাখা (যেগুলো নামাজরত ব্যক্তির সামনে রয়েছে) এসব করলে কি গুনাহ হবে?
২) দীনদার পাত্রের খোঁজে কি আহলে হাদীস/সালাফি এমন কাউকে নির্বাচন করলে ঈমান-আকীদা নিয়ে সমস্যা হবে?  ওরা কি আহলে সুন্মাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه و سلم ( لو يعلم أحدكم ما له في أن يمر بين يدي أخيه معترضا في الصلاة . كان لأن يقيم مائة عام خير له من الخطوة التي خطاها (سنن ابن ماجه، كتاب الصلاة، باب المرور بين يدى المصلى، رقم الحديث-946)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি কোন নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে যদি জানতো [এর শাস্তি কতটা ভয়াবহ], তাহলে তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো নামাযীর সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪৬, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯২৫২}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজরত অবস্থায় অন্য কেউ তার সামনে হাত নিয়ে কোন কাজ করতে পারবে।
যেমন হেটে যাওয়া ছাড়া এমনিতে ছকেটের সুইজ ব্যবহার বা সামনে জায়নামাজ রাখার স্থানে জায়নামাজ রাখা (যেগুলো নামাজরত ব্যক্তির সামনে রয়েছে) এসব করলে গুনাহ হবেনা।
এসব ক্ষেত্রে তো নামাজীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা হয়না,সুতরাং এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن عائشة . قال الأعمش وحدثني مسلم عن مسروق عن عائشة  : ذكر عندها ما يقطع الصلاة الكلب والحمار والمرأة فقالت شبهتمونا بالحمر والكلاب والله لقد رأيت النبي صلى الله عليه و سلم يصلي وإني على السرير بينه وبين القبلة مضطجعة فتبدو لي الحاجة فأكره أن أجلس فأوذي النبي صلى الله عليه و سلم فأنسل من عند رجليه 
 [ ر 486 ](صحيح البخارى-كتاب الصلاة، أبواب سترة المصلي،باب من قال لا يقطع الصلاة شيء، رقم الحيديث-493، 514)

অনুবাদ-হযরত মাসরুক আয়শা রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন তাকে এই হাদিস শুনানো হল যে, “গাধা ও কুকুর এবং মহিলাদের কারণে নামায ভেঙ্গে যায়” তখন তিনি বললেন যে, “তোমরা আমরা নারী জাতিকে গাধা ও কুকুরের সমতূল্য বানিয়ে দিলে? অথচ আমি নবীজী সা. এর সামনে কিবলার দিকে জানাযার মত শুয়ে থাকতাম। আর নবীজী নামায পড়তেন (তাহাজ্জুদ)। তখন আমার পা ছড়ানো দরকার হলে আমার পা নবীজী সাঃ এর সিজদার স্থানে চলে যেত। (ঘর অন্ধকার থাকার দরুন) যখন তিনি সিজদার জন্য বসতে চাইতেন, তখন আমার পায়ে খোঁচা দিতেন। তখন আমি পা গুটিয়ে নিতাম। (বুখারী শরীফ-হাদিস নং-৪৯২,৫১৪)

আরো জানুনঃ 

(০২)
দ্বীনদার পাত্রের খোঁজে আহলে হাদীস/সালাফি এমন কাউকে নির্বাচন করলে ঈমান-আকীদা নিয়ে সমস্যা হবেনা।
তারাও আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত।

এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 81 views
...