আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
371 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
edited by
"লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ"

১০০ বার পড়লে পূর্ব জীবনের সগীরা গুনাহ মাফ হবার কথা বলা আছে হাদিসে। এইখানে কি কবিরা গুনাহ না করা একটি শর্ত হিসেবে আছে? নাকি নরমালিই এমন?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো নেক আমল করার দ্বারা ছগীরাহ গুনাহ মাফ হয়েছে যায়,আর কবীরা গুনাহ তওবা করা ছাড়া মাফ হয়না।
আর বান্দার হকের সাথে সম্পৃক্ত গুনাহ তার হক আদায় বা তার কাছ থেকে মাফ পাওয়ার সাথে সাথে আল্লাহর কাছেও তওবা করতে হবে।
,
কিছু হাদীস আছে,যেখানে বলা আছে যে অমুক আমল করলে সব গুনাহ মাফ  হয়ে যাবে,,,ইত্যাদি। 
মুহাদ্দিসিনের কেরামগন বলেছেন যে এগুলো দ্বারা উদ্দেশ্য হলো গুনাহে ছগীরা মাফ হওয়া,তাই কেহ যদি সব গুনাহ মাফ করে নিতে চায়,তাহলে উক্ত নেক আমলের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে তওবা করে নিতে হবে।
তাহলেই আল্লাহ চাহেন তো সব  গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
,
সুতরাং সেই হাদিস গুলো দ্বারা যেহেতু অনেকে পূর্ণ গুনাহ মাফের আশা করে,তাই উলামায়ে কেরামগন বিলে থাকেন যে এক্ষেত্রে পূর্ণ গুনাহ মাফ হওয়ার শর্ত হলো কবিরা গুনাহ না থাকা।
তবে কবিরা গুনাহ থাকলে উক্ত আমলের মাধ্যমে ছগিরা গুনাহ মাফ হয়না,বিষয় টি এমন নয়। 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কবিরা গুনাহ ছগিরা গুনাহ মাফ হওয়ার শর্ত নয়।   

কিছু হাদীস উল্লেখ করছিঃ 
 عن أبي موسى رضي الله عنه قال: كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فكنا إذا علونا كبرنا، فقال النبي صلى الله عليه وسلم أيها الناس أربعوا على أنفسكم فإنكم لا تدعون أصم ولا غائبا ولكن تدعون سميعا بصيرا، ثم أتى علي وأنا أقول في نفسي لا حول ولا قوة إلا بالله، فقال: يا عبد الله بن قيس قل: لا حول ولا قوة إلا بالله فإنها كنز من كنوز الجنة، أو قال: ألا أدلك على كلمة هي كنز من كنوز الجنة: لا حول ولا قوة إلا بالله. رواه البخاري ومسلم.
হজরত আবু মুসা আল আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা (বর্ণনাকারী বলেন) একটি চুড়া হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি এর উপর ওঠে জোরে জোরে বলল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’
হজরত আবু মুসা বলেন, তখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর খচ্চরে আরোহী ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা তো কোনো বধির কিংবা কোনো অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। অতঃপর তিনি বললেন-‘হে আবু মুসা! বা হে আবদুল্লাহ! আমি কি তোমাকে জান্নাতের ধনাগার লাভের একটি বাক্য বলে দেব না? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’, বলে দিন। তিনি বললেন, তা হলো-

‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ (বুখারি)


 عن حازم بن حرملة قال: مررت بالنبي صلى الله عليه وسلم فقال لي يا حازم أكثر من قول لا حول ولا قوة إلا بالله، فإنها من كنوز الجنة.

  عن أبي ذر قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم ألا أدلك على كنز من كنوز الجنة، قلت بلى يا رسول الله، قال لا حول ولا قوة إلا بالله. رواه أحمد وابن ماجه وقال البوصيري في مصباح الزجاجة: هذا إسناد صحيح رجاله ثقات.

  عن قيس بن سعد بن عبادة: أن أباه دفعه إلى النبي صلى الله عليه وسلم يخدمه، قال فمر بي النبي صلى الله عليه وسلم وقد صليت فضربني برجله وقال: ألا أدلك على باب من أبواب الجنة قلت: بلى قال: لا حول ولا قوة إلا بالله. رواه الترمذي وصححه هو .

  عن عبادة بن الصامت عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: من تعار من الليل فقال لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، الحمد الله وسبحان الله ولا إله إلا الله والله أكبر ولا حول ولا قوة إلا بالله، ثم قال اللهم اغفر لي أو دعا استجيب له فإن توضأ وصلى قبلت صلاته. رواه البخاري.

  عن سعد قال جاء أعرابي إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: علمني كلاما أقوله، قال قل لا إله إلا الله وحده لا شريك له، الله أكبر كبيرا والحمد الله كثيرا وسبحان الله رب العالمين، لا حول ولا قوة إلا بالله العزيز الحكيم ، قال فهؤلاء لربي، فما لي،  قال قل اللهم اغفر لي وارحمني واهدني وارزقني. رواه مسلم.

 ـ عن أنس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من قال يعني إذا خرج من بيته بسم الله توكلت على الله ولا حول ولا قوة إلا بالله، يقال له كفيت ووقيت وتنحى عنه الشيطان. رواه الترمذي وصححه هو .

  عن عبد الله بن عمرو قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما على الأرض أحد يقول لا إله إلا الله والله أكبر ولا حول ولا قوة إلا بالله إلا كفرت عنه خطاياه ولو كانت مثل زبد البحر. رواه الترمذي وحسنه

সব গুলো হাদীসের সারমর্ম হলোঃ লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’-এর পাঠে জান্নাতে ধনাগার লাভ হয়। যাতে রয়েছে বান্দার যাবতীয় কল্যাণ।


হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর বুকে যে ব্যক্তি বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তার অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির মতো (বেশি পরিমাণ) হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...