আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
ফ্যাশন ডিজাইনিং সাবজেক্টটা নিয়ে পড়া কি জায়েজ হবে কি না জানতে চাচ্ছি। যেহেতু ইলম উপকারি আর অপকারি দুইরকম হয়। আর ফ্যাশন ডিজাইনিং সাবজেক্টটার মূল থিমই হলো কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তোলা। বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ কাপড় মেয়েদের হয়। কেউ যদি স্লীভ্লেস, অফ-শোল্ডার এমন কাপড়ের ডিজাইন না করে বোরকার ডিজাইন করতে চায় তবুও তো সেটা শরীয়ত পারমিট করবে না। এমতাবস্থায় একজন মুসলিম মেয়ের কি ফ্যাশন ডিজাইনিং সাবজেক্টে পড়া জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,350 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


https://ifatwa.info/242/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়, তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ- 

প্রথম অবস্থাঃ- 

 বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই।

 দ্বিতীয় অবস্থাঃ-

 বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।

একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।(সূরা মায়েদা-০২)  

অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

 عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا» 

উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

তৃতীয় অবস্থাঃ-
যদি বিক্রেতা সন্দেহ করে এবং দিধাবোধ করে যে, এই কাপড়গুলো হারামে ব্যবহৃত হবে? না হারামে ব্যবহৃত হবে? এবং কাপড়ও এমন যে, ইহা উভয় ত্বরিকায়ই ব্যবহৃত হয়।এবং হলাল-হারাম পরিধানের কোনো একটিকে অগ্রাধিকার দেয়ার কোনোও ইঙ্গিত আপাতত সামনে নেই,তাহলে এমতাবস্থায় এই কাপড় গুলোকে বিক্রি করতে কোনো অসুবিধা নেই।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মহিলাদের কোনো কাপড় ডিজাইন করলেই সেটি নাজায়েজ কাজ হয়ে যায়না।
বিষয়টি ব্যখ্যা স্বাপেক্ষ।

আর এই সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করলেই সে যে ডিজাইন করবেই,এমন কথা তো পুরোপুরি সকলের ক্ষেত্রে নিশ্চিত নয়।
সুতরাং সার্বিক দিক বিবেচনা করে মুসলিম মেয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং সাবজেক্টে পড়া জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...