ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/60982/?show=60982#q60982
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে
যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ
مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ
إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ
صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً
أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ
كِتَابِيَّةً
স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা, বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন
কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম। মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের
কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা
মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক। জিহার হবে। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)
মোটকথাঃ-
জিহার হবার জন্য স্ত্রীকে বা তার এমন কোন অঙ্গ যা তার পূর্ণ সত্তাকে
বুঝায় সেটিকে মাহরাম আত্মীয় কারো সাথে বা এমন কোন অঙ্গের সাথে উপমা দেয়া জরুরী, যে অঙ্গ দেখা হারাম।
(قَوْلُهُ: بِمُحَرَّمٍ عَلَيْهِ) أَيْ
بِعُضْوٍ يَحْرُمُ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ أَعْضَاءِ مُحَرَّمَةٍ عَلَيْهِ
نَسَبًا، أَوْ صِهْرِيَّةً أَوْ رَضَاعًا كَمَا فِي الْبَحْرِ، أَوْ بِجُمْلَتِهَا
كَأَنْتِ عَلَيَّ كَأُمِّي فَإِنَّهُ تَشْبِيهٌ بِالظَّهْرِ وَزِيَادَةٌ كَمَا
يَأْتِي، لَكِنَّ هَذَا كِنَايَةٌ لَا بُدَّ لَهُ مِنْ النِّيَّةِ كَمَا
سَيَأْتِي، وَعُلِمَ أَنَّهُ لَا بُدَّ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ مِنْ كَوْنِ
الْجُزْءِ يَحْرُمُ النَّظَرُ إلَيْهِ، وَإِلَّا فَلَا يَصِحُّ وَإِنْ كَانَ
يُعَبَّرُ بِهِ عَنْ الْكُلِّ كَرَأْسِ أُمِّي، أَوْ وَجْهِهَا، بِخِلَافِ
الزَّوْجَةِ الْمُشَبَّهَةِ فَإِنَّهُ يَكْفِي ذِكْرُ الْجُزْءِ الَّذِي يُعَبَّرُ
بِهِ عَنْ الْكُلِّ مِنْهَا وَإِنْ لَمْ يَحْرُمْ النَّظَرُ إلَيْهِ كَرَأْسِكِ
فَتَنَبَّهْ، (رد المحتار، كتاب الطلاق،باب الظهار-5\126)
فان ذكر عضوا يحل النّظر اليه لَا يكون ظِهَارًا مثل
الرَّأْس والعنق وَالْوَجْه وَغَيرهَا (النتف فى الفتاوى للسغدى-1\373)
وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ عُضْوًا لَا يَحِلُّ لَهُ
النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الظَّهْرِ وَالْبَطْنِ وَالْفَخِذِ وَالْفَرْجِ حَتَّى
لَوْ شَبَّهَهَا بِرَأْسِ أُمِّهِ أَوْ بِوَجْهِهَا أَوْ يَدِهَا أَوْ رِجْلِهَا
لَا يَصِيرُ مُظَاهِرًا؛ لِأَنَّ هَذِهِ الْأَعْضَاءَ مِنْ أُمِّهِ يَحِلُّ لَهُ
النَّظَرُ إلَيْهَا. (بدائع الصنائع، كتاب الظهار، فَصْلٌ فِي بَيَان الشَّرَائِط
الَّتِي تُرْجَعُ إلَى الْمُظَاهَرِ بِهِ-3\233، دار الكتب العلمية)
যিহারের কাফফারা হল:
كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة
أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه
إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই। তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক। যদি
গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে।
যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক
মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে। {ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/102
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত কথাগুলোর দ্বারা
যিহার হবে না। তাই এতে পেরেশানীর কোনো কারণ নেই। কারণ
শরীয়তের পরিভাষায় যিহার’বলা হয় নিজের স্ত্রীর কোনো অঙ্গ কে ‘মা’
অথবা ‘স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম’ এমন কোন মহিলার এমন কোনো অঙ্গ যেটা দেখা হারাম,এমন অঙ্গের সমতুল্য বলে আখ্যায়িত করে (যেমনঃপৃষ্ঠদেশের সমতুল্যবলে আখ্যায়িত করে) তাহাকে
আরবীতে ‘যিহার’ বলা হয়। এতে তার নিয়ত যাই থাকুক না কেনো,
যিহার হয়ে যাবে। আরো বিস্তারিত
জানুন- https://ifatwa.info/57883/?show=57883#q57883