আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার ছেলেকে খতনা করানো হয়েছে ৩ দিন যাবত। এখন ছেলের পুরুষাঙ্গ দেখতে খুবই  স্যাঁতসেঁতে ও বিশ্রী লাগছে। আমার বিবি আমাকে বলে ছেলের এটা (পুরুষাঙ্গ)  কেমন হয়ে গেছে। আমি বললাম সব ঠিক হয়ে যাবে। বিবি বলল আপনারটার মত । আমি বললাম হ্যাঁ।
আমার পড়ে মনে পড়ল - এই কথার দারা  কোন যিহার, কাফফারা  বা অন্য কোণ সমস্যা হল কিনা তাই জানতে চাই।
by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম 
হটাত বিপদে পড়ে আবার লেখতে হল 
গতকাল আমি কম্পিউটার এ ব্যস্ত ছিলাম। হটাত আমার বিবি আমাকে বলল বিসমিল্লাহ বিসমিল্লাহ গজল ডাউনলোড করে দিতে। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম - কিসের বিসমিল্লাহ। 
আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি লজ্জিত । 
এরপর বিষয়টি আমি বার বার চিন্তা করতে থাকি একবার মনে হয় বিড়বিড় করে বলি  কিসের আল্লাহ  (যতদূর মনে পড়ে) 
আমি একবার বলেছি - টাকা দিয়ে দাওয়াত খাওয়া প্রচলনটি উঠানো দরকার। এই কথা বলার দরুন কোণ সমস্যা হবে কি 

উপরুক্ত  ঘটনার পর থেকে  আমি বড়  অস্বস্তি বধ করছি । এতে কি  আমার কি ঈমানে কোণ সমস্যা হয়েছে? 
এই লেখার দরুন কোণ সমস্যা হবে? 
by (10 points)
please give fatwa.

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/60982/?show=60982#q60982  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ كِتَابِيَّةً

স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা, বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম। মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক। জিহার হবে। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)

 

মোটকথাঃ-

জিহার হবার জন্য স্ত্রীকে বা তার এমন কোন অঙ্গ যা তার পূর্ণ সত্তাকে বুঝায় সেটিকে মাহরাম আত্মীয় কারো সাথে বা এমন কোন অঙ্গের সাথে উপমা দেয়া জরুরী, যে অঙ্গ দেখা হারাম।

(قَوْلُهُ: بِمُحَرَّمٍ عَلَيْهِ) أَيْ بِعُضْوٍ يَحْرُمُ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ أَعْضَاءِ مُحَرَّمَةٍ عَلَيْهِ نَسَبًا، أَوْ صِهْرِيَّةً أَوْ رَضَاعًا كَمَا فِي الْبَحْرِ، أَوْ بِجُمْلَتِهَا كَأَنْتِ عَلَيَّ كَأُمِّي فَإِنَّهُ تَشْبِيهٌ بِالظَّهْرِ وَزِيَادَةٌ كَمَا يَأْتِي، لَكِنَّ هَذَا كِنَايَةٌ لَا بُدَّ لَهُ مِنْ النِّيَّةِ كَمَا سَيَأْتِي، وَعُلِمَ أَنَّهُ لَا بُدَّ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ مِنْ كَوْنِ الْجُزْءِ يَحْرُمُ النَّظَرُ إلَيْهِ، وَإِلَّا فَلَا يَصِحُّ وَإِنْ كَانَ يُعَبَّرُ بِهِ عَنْ الْكُلِّ كَرَأْسِ أُمِّي، أَوْ وَجْهِهَا، بِخِلَافِ الزَّوْجَةِ الْمُشَبَّهَةِ فَإِنَّهُ يَكْفِي ذِكْرُ الْجُزْءِ الَّذِي يُعَبَّرُ بِهِ عَنْ الْكُلِّ مِنْهَا وَإِنْ لَمْ يَحْرُمْ النَّظَرُ إلَيْهِ كَرَأْسِكِ فَتَنَبَّهْ، (رد المحتار، كتاب الطلاق،باب الظهار-5\126)

 

فان ذكر عضوا يحل النّظر اليه لَا يكون ظِهَارًا مثل الرَّأْس والعنق وَالْوَجْه وَغَيرهَا (النتف فى الفتاوى للسغدى-1\373)

 

وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ عُضْوًا لَا يَحِلُّ لَهُ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الظَّهْرِ وَالْبَطْنِ وَالْفَخِذِ وَالْفَرْجِ حَتَّى لَوْ شَبَّهَهَا بِرَأْسِ أُمِّهِ أَوْ بِوَجْهِهَا أَوْ يَدِهَا أَوْ رِجْلِهَا لَا يَصِيرُ مُظَاهِرًا؛ لِأَنَّ هَذِهِ الْأَعْضَاءَ مِنْ أُمِّهِ يَحِلُّ لَهُ النَّظَرُ إلَيْهَا. (بدائع الصنائع، كتاب الظهار، فَصْلٌ فِي بَيَان الشَّرَائِط الَّتِي تُرْجَعُ إلَى الْمُظَاهَرِ بِهِ-3\233، دار الكتب العلمية)

 

যিহারের কাফফারা হল:

كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة

রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই। তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক। যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে। {ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/102    

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত কথাগুলোর দ্বারা যিহার হবে না। তাই এতে পেরেশানীর কোনো কারণ নেই। কারণ

শরীয়তের পরিভাষায় যিহার’বলা হয় নিজের স্ত্রীর কোনো অঙ্গ কে ‘মা’ অথবা ‘স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম’ এমন কোন মহিলার এমন কোনো অঙ্গ যেটা দেখা হারাম,এমন অঙ্গের সমতুল্য বলে আখ্যায়িত করে  (যেমনঃপৃষ্ঠদেশের সমতুল্যবলে আখ্যায়িত করে) তাহাকে আরবীতে ‘যিহার’ বলা হয়। এতে তার নিয়ত যাই থাকুক না কেনো,

যিহার হয়ে যাবে। আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/57883/?show=57883#q57883


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম 
হটাত বিপদে পড়ে আবার লেখতে হল 
গতকাল আমি কম্পিউটার এ ব্যস্ত ছিলাম। হটাত আমার বিবি আমাকে বলল বিসমিল্লাহ বিসমিল্লাহ গজল ডাউনলোড করে দিতে। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম - কিসের বিসমিল্লাহ। 
আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি লজ্জিত । 
এরপর বিষয়টি আমি বার বার চিন্তা করতে থাকি একবার মনে হয় বিড়বিড় করে বলি  কিসের আল্লাহ  (যতদূর মনে পড়ে) 
আমি একবার বলেছি - টাকা দিয়ে দাওয়াত খাওয়া প্রচলনটি উঠানো দরকার। এই কথা বলার দরুন কোণ সমস্যা হবে কি 

উপরুক্ত  ঘটনার পর থেকে  আমি বড়  অস্বস্তি বধ করছি । এতে কি  আমার কি ঈমানে কোণ সমস্যা হয়েছে? 
এই লেখার দরুন কোণ সমস্যা হবে? 
by (10 points)
please give fatwa.

by (62,670 points)
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
না,,,প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না। 
তবে তওবা করবেন এবং এজাতীয় কথা থেকে বেঁচে থাকবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...