আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
১।  সরকারি  অফিস থেকে  বিভিন্ন ধরণের লাইসেন্স/ সনদপ্ত্র  প্রদান করা হয়ে থাকে।   এসব লাইসেন্স/ সনদপত্রে এমন কিছু শর্ত লেখা  বা ছাপানো থাকে যার কিছু কিছু অংশ ইসলামের বিপরীত।  যেমন- ধরুণ, ট্রৈড লাইসেন্স -এ   উল্লেখ আছে:  ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত সকল আইন/বিধি-বিধান অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আবার ওয়ারিশ সনদপত্রে লেখা আছে-  উত্তরাধিকার   সংক্রান্ত সকল আইন/বিধি-বিধান অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

কিন্তু  ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত   কিছু কিছু  আইন/বিধি-বিধান (যেমন: সুদের ব্যবসা),  উত্তরাধিকার সংক্রান্ত   কিছু   আইন (যেমন: দাদার আগে পিতা মারা গেলেও দাদার সম্পতিতে নাতীর অধিকার) ইসলাম
বিরোধী । কাজেই যে  কর্মকর্তা ব্যবসা-বাণিজ্য /  উত্তরাধিকার   সংক্রান্ত সকল আইন/বিধি-বিধান   অবশ্যই মেনে চলতে হবে শর্তযুক্ত  ট্রৈড লাইসেন্স /ওয়ারিশ সনদপত্র অনুমোদন এবং এসব সনদপত্রে স্বাক্ষর
করবেন-তার কি কোন বড় গুণাহ হবে? সে কর্মকর্তা কি করবেন?

২। স্বামী, স্ত্রী কে বলেছে: "তোমাদের(স্ত্রী,  স্ত্রীর মা(অর্থাৎ আমার শাশুরী), স্ত্রীর বোন(অর্থাৎ আমার শ্যালিকা)-   নিতম্ব/পাছা বড়"।
 এতে কি যিহার হবে। শাশুরী, শ্যালিকা কি  স্থায়ী মাহরাম ।
 অনেক বছর  আগের ঘটনা (বিয়ের প্রথম দিকের )। আমার খুবই প্রবল বিশ্বাস-এমনটি বলেছি।  এখন আমার সন্তান আছে। কিভাবে তওবা করতে হবে-পরামর্শ চাই।-1

1 Answer

0 votes
by (713,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু এখানে সম্পূর্ণ ইসলামি আইন বাস্তবায়ন একা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নয় বরং সবার দায়িত্ব। তাছাড়া সিংহভাগ বিধি-বিধান যেহেতু ইসলামের মূলনীতির আলোকে সমর্থনযোগ্য তাই দস্তখত দেওয়ার রুখসত থাকবে। হ্যা, দস্তখত দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলে, তখন দস্তখত না দেয়াই উত্তম হবে।


(২)
الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ كِتَابِيَّةً
স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা,বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম।মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক। এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক।জিহার হবে।ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/60982


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললে যে, "তোমাদের(স্ত্রী,  স্ত্রীর মা(অর্থাৎ আমার শাশুরী), স্ত্রীর বোন(অর্থাৎ আমার শ্যালিকা)-   নিতম্ব/পাছা বড়"। এদ্বারা জিহার হবে না। নিজের মা বোনের কোনো অঙ্গের সাথে স্ত্রীর তুলনা করলে কেবল তখনই জিহার হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...