ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।
যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না, যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র।
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি।
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে।
(প্রথম প্রকারের হুকুম)
প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে।
(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)
দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত।
(তৃতীয় প্রকারের হুকুম)
যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারা পবিত্র হবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, তাতে নাজাসত চুষে যায়নি, তাহলে বাহ্যিক নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, তা নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করা হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকানো হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেই তোষককে শরীয়তের বিধি মোতাবেক ধৌত করা হয়নি, সেই তোষককে অন্য তোষক বা জাজিমের সাথে মিলিয়ে নতুন করে বানালেও তার উপর নামায পড়া যাবে না।কেননা সেটাকে নাপাক হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
(২)
স্বর্ণ রুপা ছাড়া ব্যতিত অন্য কোনো ধাতুর আংটি পড়া যাবে না।জায়েয হবে না।
(৩)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট। ফজরের সুন্নাতেও সূরা মিলাতে হবে।
(৪)
কোন ইসলামিক কিতাব বা কোন কাগজে যদি আল্লাহ বা রসুলুল্লাহ (স.)এর নাম লিখা থাকে, এবং সেটাকে যদি খাট বা ফ্লোর এর উপর রাখা থাকে তাই সেই খাট বা ফ্লোরের উপর বসা টা উচিৎ হবে।