ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إذا منعه الكافر عن الوضوء والصلاة يتيمم ويصلى بالإيماء ثم يعيد إذا خرج وكذا الرجل إذا قال لغيره أن توضأت حبستك أو قتلتك فإنه يصلي بالتيمم ثم يعيد كذا في فتاوى قاضي خان المحبوس في السجن يصلي بالتيمم ويعيد بالوضوء لأن العجز إنما تحقق بصنع العباد وصنع العباد لا يؤثر في إسقاط حق الله تعالى ولو حبس في السفر يتيمم ويصلي ولا يعيد لأنه انضم عذر السفر إلى العجز الحقيقي والغالب في السفر عدم الماء فتحقق العدم من كل وجه كذا في محيط السرخسي والأصل انه متى امكنه استعمال الماء من غير لحوق ضرر في نفسه أو ماله وجب استعماله
যদি কোনো কাফির কোনো মুসলমানকে নামায ও অজু থেকে বাধা প্রদান করে, তাহলে সে তায়াম্মুম করে ইশারায় নামায পড়ে নেবে, অতঃপর নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নেবে যখন সে সেখান থেকে বের হবে।ঠিকতেমনি কেউ যদি অন্য কাউকে বলে, যদি তুমি অজু কর তাহলে তোমাকে বন্দী করা হবে বা হত্যা করা হবে! তাহলে এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তি তায়াম্মুম করে নামায পড়ে নেবে অতঃপর নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নেবে। (কাযীখান) জেলবন্ধী ব্যক্তি নামায পড়ে নেবে তারপর অজু সহ উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নেবে।কেননা এখানে বান্দার পক্ষ্য থেকে অপারগতা এসেছে, আর বান্দার পক্ষ্য থেকে অপারগতা আল্লাহর বিধান পালনে কোনো প্রভাক ফেলবে না। সফর অবস্থায় পানি না থাকলে, তায়াম্মুম করে নামায পড়ে নেবে, উক্ত নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না, কেননা এখানে এমন অপারগতা যা আল্লাহর পক্ষ্য থেকে, সুতরাং তা আল্লাহর বিধানে প্রভাব ফেলবে। সফরে পানি না পাওয়া যাওয়াই মূল বিধান। সুতরাং সফর অবস্থায় পানি না পাওয়া গেলে অক্ষমতা সকল দিক থেকেই প্রমাণিত হবে।(মুহিত) মোটকথাঃ- যখনই নিজ জান ও মালের ক্ষতি ব্যতিত পানি ব্যবহার সম্ভব হবে, তখন পানি ব্যবহার করতেই হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করে নামায পড়বেন।অতঃপর যখন পানি আসবে, তখন গোসল করে পূনরায় নামাযকে পূনরায় পড়ে নিবেন।