আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (90 points)
আমার পরিবার এর একজনের চিকেন পক্স বা জলবসন্ত রোগ হয়েছে। যার ফলে সবাই তাকে পানি না লাগানোর কথা বলছে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানলাম পানি লাগালে,ওযু গোসলে কোনো সমস্যা হয় না, তবে পানি মোছার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেনো না ফাটে..

১. এই অবস্থায় মেজরিটি মানুষ বলছে যে পানি লাগালে সমস্যা হবে, তাই কি সে তায়মুম করে নামাজ পরতে পারে?
২. সে এমতাবস্থায় যদি তায়মুম করে নামাজ পরে আর মনে করে তার নামাজ হয়ে যাচ্ছে তবে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

৩. আমি যদি তাকে বলি যে ডাক্তারকে বলেছি যে তোমার ওযু করাতে সমস্যা হবে না, তার পরেও যদি সে অন্য সবার কথা শুনে ওযু না করে, তায়মুম করে করে নামাজ আদায় করে, আর ভাবে তার নামাজ হয়ে যাচ্ছে এতে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

৪. এই তথ্য গুলো জানার আগে সে যে তায়মুম করে নামাজ গুলো পরেছে পানি ক্ষতিকারক এটা ভেবে, এবং ভেবছে তার নামাজ হয়েছে এর ফলে।কি সে কুফর হবে?

৫. কেও যদি মনে মনে ভাবে যে, নামাজ না পরার থেকে এইভাবে সে তায়মুম করে করেই নামাজ পরুক, এতে কি সে কাফের হবে? (ভাবার খানিক পরেই স্মরনে আসে, ওযু ছাড়া নামাজ আদায় যে অনেক সময় কুফরী পর্যায়ে চলে যায় সেই বিষয়)

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/63706/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান মতে অপবিত্র অবস্থায় অথবা অযু বিহিন নামাজ পড়া,সেজদাহ করা জায়েজ নেই।
যদি কেহ এমনটি করে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
তাকে তওবা করতে হবে।
 
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া বা অপবিত্র অবস্থায় নামাজ পড়ে,বা অযু ছাড়া/অপবিত্র অবস্থায় সেজদাহ করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।        

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ

ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না। হান্নাদ 'বিগাইরি তুহুর' এর স্থলে ইল্লা বিতুহূর’ উল্লেখ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭২) তিরমিজি ০১)

আবু ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে এ হাদীসটিই সবচাইতে সহীহ এবং উত্তম।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   
"قلت: وبه ظهر أن تعمد الصلاة بلا طهر غير مكفر كصلاته لغير القبلة أو مع ثوب نجس، وهو ظاهر المذهب، كما في الخانية.
(قوله: غير مكفر) أشار به إلى الرد على بعض المشايخ، حيث قال: المختار أنه يكفر بالصلاة بغير طهارة لا بالصلاة بالثوب النجس وإلى غير القبلة لجواز الأخيرتين حالة العذر بخلاف الأولى فإنه لايؤتى بها بحال فيكفر. قال الصدر الشهيد: وبه نأخذ، ذكره في الخلاصة والذخيرة، وبحث فيه في الحلية بوجهين: أحدهما ما أشار إليه الشارح. ثانيهما أن الجواز بعذر لايؤثر في عدم الإكفار بلا عذر؛ لأن الموجب للإكفار في هذه المسائل هو الاستهانة، فحيث ثبتت الاستهانة في الكل تساوى الكل في الإكفار، وحيث انتفت منها تساوت في عدمه، وذلك لأنه ليس حكم الفرض لزوم الكفر بتركه، وإلا كان كل تارك لفرض كافراً، وإنما حكمه لزوم الكفر بجحده بلا شبهة دارئة اهـ ملخصاً: أي والاستخفاف في حكم الجحود.
(قوله: كما في الخانية) حيث قال بعد ذكره الخلاف في مسألة الصلاة بلا طهارة: وأن الإكفار رواية النوادر. وفي ظاهر الرواية: لايكون كفراً، وإنما اختلفوا إذا صلى لا على وجه الاستخفاف بالدين، فإن كان وجه الاستخفاف ينبغي أن يكون كفراً عند الكل. اهـ.
أقول: وهذا مؤيد لما بحثه في الحلية لكن بعد اعتبار كونه مستخفا ومستهينا بالدين كما علمت من كلام الخانية، وهو بمعنى الاستهزاء والسخرية به، أما لو كان بمعنى عد ذلك الفعل خفيفا وهينا من غير استهزاء ولا سخرية، بل لمجرد الكسل أو الجهل فينبغي أن لايكون كفرا عند الكل، تأمل". (1/81، کتاب الطہارۃ، ط:سعید) 
সারমর্মঃ-
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,ইস্তেহযা,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া নামাজ পড়ে, সেজদাহ করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।    
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে সে দুইজন বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শ নিবে।
তারা যদি বলে যে অযুর অঙ্গ গুলিতে পানি লাগানো যাবেনা,সেক্ষেত্রে সে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করবে।

আর দুইজন বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার যদি বলে যে,পানি লাগালে,ওযু গোসলে কোনো সমস্যা হয় না।
তাহলে তাকে অযুই করতে হবে।
তায়াম্মুম করা জায়েজ হবেনা।

(০২)
না,এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
এমতাবস্থায় তার কবিরা গুনাহ হবে।
উক্ত নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৩)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
এমতাবস্থায় তার কবিরা গুনাহ হবে।
উক্ত নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৪)
কুফর হবেনা।

(০৫)
এতে সে কাফের হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মুফতি সাহেব,
এখন সে যদি আজকে সকালে তায়মুম করে নামাজ পরে থাকে ২;১ ওয়াক্তো তা কি, কাজা করতে হবে?
তা কি কাজা করতে বলবো?
by (682,440 points)
২জন বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শ  মতে পানি লাগানো ক্ষতিকর না হলে তাকে সেই নামাজ গুলির কাজা করতে বলতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...