আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
350 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আল্লাহ সুবহানাওয়া'তায়ালা কে আল্লাহর কোনো নবী কিংবা রাসুল আল্লাহকে সরাসরি দেখেছেন?

এই প্রশ্নটা পূর্বে করেছিলাম আর উত্তর ও পেয়েছিলাম আর এখন এই প্রশ্নটির আলোকে জানতে চাচ্ছি যে একজন ব্যক্তি যদি যেকোনো কারণেই মুখ দিয়ে কিংবা ফেসবুকে স্টাটাস দেয়ার মাধ্যমে এইসব কথা বলে তাহলে তাকে কি নাস্তিক ভাববো বা কাফের ভাববো? মনে করেন যে রাগ করে কেউ এসব বলসে কিন্তু অন্তরের খবর জানিনা তাহলে তাকে কাফের নাস্তিক ভাববো নাকি মুসলিম ভাববো?নাকি বলবো যে লোকটির এই কাজটা নাস্তিক্য বা কুফুরী প্রশ্নটি ছিলো।.কেউ যদি বলে (নাউজুবিল্লাহ)আল্লাহ(নাউজুবিল্লাহ) বলতে কিছু নাই।(নাউজুবিল্লাহ)আল্লাহকে(নাউজুবিল্লাহ)আমি বলিনাই আমাকে সৃষ্টি করো।(নাউজুবিল্লাহ)এই ধরণের কথা কেউ বললে সে কি কাফের হয়ে যাবে?

আমি বাংলাদেশ স্টাডিজ নামে একটি বিষয়ে
অধ্যয়নরত। এই ডিপার্টমেন্ট এ বিভিন্ন সাব্জেক্ট পড়ানো হয়।যেমন, ইতিহাস(যেখানে বাংলাদেশের প্রাচীন,মধ্যযুগ, আধুনিক যুগের ইতিহাস পড়ানো হয় এবং বিভিন্ন হিন্দু,বৌদ্ব,খ্রিষ্টান রাজা বা শাসকদের বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে পড়ানো হয়),দর্শন(যেখানে বিভিন্ন নাস্তিক,আস্তিক দার্শনিকদের মতবাদ পড়ানো হয়),সমাজবিজ্ঞান(এখানেও অনুরূপ বিভিন্ন নাস্তিক, আস্তিক সমাজবিজ্ঞানীর মতবাদ পড়ানো হয়,বাংলা সাহিত্য(এখানে বিভিন্ন হিন্দু,বৌদ্ব,বা বিধর্মীদের থিয়োরি, সাহিত্য পড়ানো হয়,আর্কিওলোজি(বিভিন্ন মন্দিরের স্থাপত্যকর্ম সম্পর্কে পড়ানো হয়)।প্রশ্ন হলে এই ডিপার্টমেন্ট এ পড়া জায়েজ হবে কিনা?আর এই ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা জায়েজ হবে কিনা এবং সেই টাকা হালাল হবে কিনা?

আমাদের দেশের ১০ টাকার নোটে বায়তুল মোকাররম এর ছবি দেওয়া আছে এবং বায়তুল মোকাররম এর প্রধান গেইটে আল্লহু আকবার লেখা আছে।১০ টাকার নোট যে আমরা ব্যবহার করছি এতে আল্লাহ মাফ করুন অসম্মান হচ্ছেনা আল্লাহর?

মোবাইলের রিংটোনে যে মিউজিক সম্পৃক্ত এতে কি আমাদের গুনাহ হচ্ছেনা যখন তা বেজে উঠছে?

1 Answer

0 votes
by (709,960 points)
আপনি কয়েকটি প্রশ্ন এক সাথে করেছেন,ধারাবাহিক আমরা উত্তর দিচ্ছি..........
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-

আপনি কয়েকটি প্রশ্ন এক সাথে করেছেন,ধারাবাহিক আমরা উত্তর দিচ্ছি..........

(১)
আল্লাহবলতে কিছু নাই।আল্লাহকে আমি বলি নাই যে, আমাকে সৃষ্টি করো।এই ধরণের কথা কেউ বললে সে অবশ্যই কাফের হবে।

(২)
বাংলাদেশ স্টাডিজ নামের যে শিক্ষার কথা আপনি বলছেন,সেই শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্য যদি ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা হয়,তাহলে এমন শিক্ষা অর্জনের রুখসত অবশ্যই রয়েছে।আর যদি এই শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্য হয় দুনিয়া অর্জন, তাহলে এমন শিক্ষা গ্রহণের অনুমোদন শরীয়তে নেই।

(৩)

আমাদের দেশের ১০ টাকার নোটে বায়তুল মোকাররম এর ছবি দেওয়া আছে এবং বায়তুল মোকাররম এর প্রধান গেইটে আল্লহু আকবার লেখা আছে।
টাকায় মুদ্রায় কি আল্লাহু আকবার লিখা যাবে?

উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,টাকাকে যেহেতু লোকজন মহব্বত করে,এবং মহব্বত করেই টাকাকে হেফাজত করে থাকে এবং নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে রাখে,যাতেকরে চোর ডাকাত টাকাকে নিয়ে যেতে না পারে,সে হিসেবে ফুকাহায়ে কেরাম বলে থাকেন,টাকা বা মুদ্রায় আল্লাহর নাম লিখা নিষেধ নয়।
বর্ণিত রয়েছে,সর্বপ্রথম হযরত উমর রাযি কিছু মুদ্রায় আলহামদুলিল্লাহ এবং কিছু মুদ্রায় মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ এবং কিছু মুদ্রায় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লিখেছিলেন।

যখন হযরত উসমান খলিফা হলেন,তখন তিনি দিরহামে আল্লাহু আকবার লিখেন।অতপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ দিরহামের এক অংশে কুল হুয়াল্লাহু আহাদ এবং অপর অংশে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু লিখেন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুদ্রায় আল্লাহ শব্দ লিখা এজন্য জায়েয যে, যেহেতু মুদ্রাকে মানুষ সম্মানার্থে ব্যবহার করে থাকে।তাই উক্ত মুদ্রা যার হাতে থাকবে,তার উপর ওয়াজিব যে,তিনি মুদ্রাকে কখনো অসম্মান করবেন না।এবং মুদ্রার অপবিত্র স্থানে ফেলে দিবেন না।অসম্মান করলে বা অনুপোযুক্ত স্থানে মুদ্রাকে রাখলে মুদ্রা বাহনকারীরই গোনাহ হবে।


(৪)
1265 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,ঘন্টা সম্বলিত হাদীস হচ্ছে নিম্নরূপ।
ﺑﺎﺏ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺠﺮﺱ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﻔﺮ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺼﺤﺐ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺭﻓﻘﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﻛﻠﺐ ﻭﻻ ﺟﺮﺱ
তরজমাঃহযরত আবু-হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ ঐ দলের সাথে (রহমতের)ফেরেস্তারা সহযাত্রী হন না, যাদের মধ্যে কুকুর বা ঘন্টা বা তার আওয়াজ রয়েছে।(সহীহ মুসলিম-২১১৩)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদিসের আলোকে ফেকহী আলোচনার এক প্রর্যায়ে বলেনঃ
[ ﺹ : 278 ﺃﻣﺎ ﻓﻘﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻓﻔﻴﻪ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﺳﺘﺼﺤﺎﺏ ﺍﻟﻜﻠﺐ ﻭﺍﻟﺠﺮﺱ ﻓﻲ ﺍﻷﺳﻔﺎﺭ ، ﻭﺃﻥ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻻ ﺗﺼﺤﺐ ﺭﻓﻘﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﺃﺣﺪﻫﻤﺎ ، ﻭﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﺎﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﺍﻻﺳﺘﻐﻔﺎﺭ ، ﻻ ﺍﻟﺤﻔﻈﺔ ، ﻭﻗﺪ ﺳﺒﻖ ﺑﻴﺎﻥ ﻫﺬﺍ ﻗﺮﻳﺒﺎ ، ﻭﺳﺒﻖ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﺤﻜﻤﺔ ﻓﻲ ﻣﺠﺎﻧﺒﺔ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺑﻴﺘﺎ ﻓﻴﻪ ﻛﻠﺐ . ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﺠﺮﺱ ﻓﻘﻴﻞ : ﺳﺒﺐ ﻣﻨﺎﻓﺮﺓ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻟﻪ ﺃﻧﻪ ﺷﺒﻴﻪ ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﻗﻴﺲ ، ﺃﻭ ﻷﻧﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻌﺎﻟﻴﻖ ﺍﻟﻤﻨﻬﻲ ﻋﻨﻬﺎ ، ﻭﻗﻴﻞ : ﺳﺒﺒﻪ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺻﻮﺗﻬﺎ ، ﻭﺗﺆﻳﺪﻩ ﺭﻭﺍﻳﺔ ( ﻣﺰﺍﻣﻴﺮ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ) ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﺬﻱ ﺫﻛﺮﻧﺎﻩ ﻣﻦ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﻟﺠﺮﺱ ﻋﻠﻰ ﺍﻹﻃﻼﻕ ﻫﻮ ﻣﺬﻫﺒﻨﺎ ، ﻭﻣﺬﻫﺐ ﻣﺎﻟﻚ ﻭﺁﺧﺮﻳﻦ ﻭﻫﻲ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺗﻨﺰﻳﻪ ، ﻭﻗﺎﻝ ﺟﻤﺎﻋﺔ ﻣﻦ ﻣﺘﻘﺪﻣﻲ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﺸﺎﻡ : ﻳﻜﺮﻩ ﺍﻟﺠﺮﺱ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﺼﻐﻴﺮ
তরজমাঃউক্ত হাদীস থেকে নিম্নোক্ত কথাগুলো অনায়াসেই বুঝা যায় যে,কুকুর(পাহারাদার বা শিকারি কুকুর ব্যতীত) বা ঘন্টাকে সফরে সাথে রাখা মাকরুহে তাহরীমি।এবং ফেরেস্তাগণ ঐ সব দলের সহযাত্রী হন না, যাদের সাথে এ দুয়ের যেকোনো একটি থাকে।ফেরেস্তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল,রহমত বা ইস্তেগফারের ফেরেস্তা,হেফাযতকারী ফেরেস্তাগণ নয়।এর আলোচনা ইতিপূর্বে হয়েছে,এবং ফেরেস্তাগণ কুকুর থেকে কেন দূরে থাকেন তারও বিশদ আলোচনা হয়েছে।
এখন ঘন্টা বাজনার বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ।এত্থেকে ফেরেস্তাগণ দূরে থাকার কারণ হল,ঘন্টার আওয়াজ ইহুদিদের নিষিদ্ধ শিংগার আওয়াজ সদৃশ।অথবা তা নিষিদ্ধ তাবিজ সদৃশ।কেউ কেউ তা অপছন্দ হওয়ার কারণ শ্রুতিকটু আওয়াজ ও উল্লেখ করেছেন।এই ব্যখ্যাকে ঐ হাদীস সমর্থন প্রদান করে যেথায় নবীজী সাঃ ঘন্টাকে শয়তানের বাশী বলে উল্লেখ করেছেন।এই ব্যখ্যা অনুসারেই স্বাভাবিকত ঘন্টাকে মাকরুহে তাহরীমি  হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়।এবং এটাই আমাদের শাফেয়ী মাযহাবের অভিমত।ইমাম মালিক সহ অন্যান্যদের মন্তব্য হল ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহে তানযিহি।
শামের প্রাচীন উলামায়ে কেরামদের বক্তব্য হল,বড় ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহ, ছোট ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহ নয়।


মোল্লা আলী কারী হানাফী রাহ এ আলোচনাকে বর্ধিতাকারে উল্লেখ করে বলেনঃ
ﻭﻗﺎﻝ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ : ﺟﺮﺱ ﺍﻟﺪﻭﺍﺏ ﻣﻨﻬﻲ ﻋﻨﻪ ﺇﺫﺍ ﺍﺗﺨﺬ ﻟﻠﻬﻮ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻓﻴﻪ ﻣﻨﻔﻌﺔ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ
ﻣﺮﻗﺎﺓ ﺍﻟﻤﻔﺎﺗﻴﺢ ﺷﺮﺡ ﻣﺸﻜﺎﺓ ﺍﻟﻤﺼﺎﺑﻴﺢ;٣٨٩٤?
পশুর সাথে বেহুদা রং-তামাশার জন্য বাধা ঘন্টা নিষিদ্ধ-হারাম।কিন্তু যদি তাতে কোনো প্রকার ফায়দা থাকে তাহলে তা নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না।মিরক্বাতুল মাফাতিহ-৩৮৯৪হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য।

ইবনে হাজর আসক্বালানী রাহ বলেনঃ
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺎﻓﻆ ﺍﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ : ﻭَﺍﻟْﺤَﺎﺻِﻞ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻮْﺕ ﻟَﻪُ ﺟِﻬَﺘَﺎﻥِ : ﺟِﻬَﺔ ﻗُﻮَّﺓ ﻭَﺟِﻬَﺔ ﻃَﻨِﻴﻦ , ... ﻭَﻣِﻦْ ﺣَﻴْﺚُ ﺍﻟﻄَّﺮَﺏ ﻭَﻗَﻊَ ﺍﻟﺘَّﻨْﻔِﻴﺮ ﻋَﻨْﻪُ ﻭَﻋُﻠِّﻞَ ﺑِﻜَﻮْﻧِﻪِ ﻣِﺰْﻣَﺎﺭ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥ . ﺍﻧﺘﻬﻰ
তরজমাঃমোটকথাঃআওয়াজের দু'টি দিক রয়েছে,একটির হচ্ছে শক্তির দিক,অন্যটি সিংগা সদৃশ আওয়াজের দিক।ঘন্টার আওয়াজে চিত্তবিনোদনের দিককে লক্ষ্য করে নিষিদ্ধর আওতাধীন করা হয়েছে।এবং কারণ হিসেবে অন্যান্য হাদীসে তাকে শয়তানের বাশী সাব্যস্ত করা হয়েছে।ফাতহুল বারী-২নং হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে,ঘন্টা হারাম হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তা মিউজিক সাদৃশ হওয়া যার থেকে মানুষ চিত্তবিনোদিত হয়,বা তাদের   ধারণা অনুযায়ী ঐ তাবিজ সাদৃশ হওয়া যেটা পশুকে সমস্ত বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে।অথচ এরকম আক্বিদা-বিশ্বাস ইসলামে নিষিদ্ধ।কেননা সমস্ত কিছুর দানকারী ও মালিক একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।

তাই আমরা এ কথা বলতে পারবো যে,কলিংবেল বা ডোরবেল বা মুবাইল রিংটোন সাধরণত উক্ত নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না।তবে যদি তাতে মিউজিক বা শ্রুতিকঠোর আওয়াজ থাকে তবে তা নিষিদ্ধতার আওতাধীন হয়ে হারাম হবে।
এ জন্য নিষিদ্ধতার ছায়া থেকে বাছতে সতর্কতামূলক এমন আওয়াজ সম্পন্ন বেল ক্রয় করাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ ও কর্তব্য, যাতে কোনোপ্রকার মিউজিক বা শ্রুতিকঠোর আওয়াজ কিংবা কোরআনের আয়াত হবে না।
কোরআনের আয়াত থাকলে কোরআনের অসম্মান প্রশ্নে তাও হারামের আওতাধীন হবে।বাংলা কোনো কথা বা লাগাতার নয় এমন কোনো শ্রুতিমধুর ওয়ান্স রিং সম্বলিত ডোরবেল বা এলারম ঘড়ি বা মোবাইল রিং ব্যবহার করা যাবে।তা হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু দ্বীনি ভাই।আমি যখন বাংলাদেশ স্টাডিজ এ ভর্তি হই তখন আমি অজ্ঞ ছিলাম এবং জানতাম ও না যে এমন ধরণের পড়াশোনা হয় এখানে।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনের পথে আল্লাহ আনার পরে এই জাতীয় পড়াশোনাগুলো নিয়ে কেমন আনইজি ফিল হওয়া শুরু হয়।আগে যখন অজ্ঞ ছিলাম তখন চিন্তা করতাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবো,আলহামদুলিল্লাহ এখন এমন কোনো নিয়ত নেই।এখন শুধু কোনোরকম গ্রেডুয়েশন শেষ করে এই জেনারেল লাইনের পড়াশোনা থেকে বের হতে পারলেই বাচি।যেহেতু এখন চাইলেও পড়াশোনা ছাড়তে পারবোনা তাই অন্তরে নিয়ত করেছি যে ভ্রান্তি বিভ্রান্ত ধারণা থেকে বাচার উদ্দেশ্যে আমি এখন এইসব পড়তাসি যাতে কোনগুলা ভুল তা জানতে পারি।নিয়ত টা যদি এমন হয় এখন তাহলে কি জায়েজ হবে পড়া?এই উদ্দেশ্য কি ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থ অর্জনের উদ্দেশ্যে পড়ার আওতায় পড়বে?দুনিয়া অর্জন এর উদ্দেশ্যে নয়।অর্থাৎ যতোটা এড়িয়ে পড়া যায় ততোটা চেষ্টা করবো এড়িয়ে থাকতে।
by (709,960 points)
সম্ভবত সবগুলো প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে
by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু দ্বীনি ভাই।কমেন্ট টা ইডিট করেছিলাম।যদি আরেকটু জানান ইন শা আল্লাহ ভালো হয়।আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে লাল এবং হলুদ হুন্ডা বা গাড়ি ব্যবহার জায়েজ হবে কিনা?রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাল এবং হলুদ কাপড়ে পড়তে নিষেধ করেছেন।
by (709,960 points)
আপনি যেভাবে বলছেন,এমন নিয়ত থাকলে অবশ্যই জায়েয হবে
by (709,960 points)
লাল ও হলুদ গাড়ী ব্যবহার করা মাকরুহে তানযিহি।সুতরাং ব্যবহার না করাই উত্তম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...