মিথ্যা বলে নেওয়া টাকা ফেরত প্রসঙ্গে

Question

১. আমরা মেসে থাকাকালীন আমাদের পাশের রুমে আমাদেরই এক বন্ধুকে উঠাই। কিন্তু সে কিছুদিন পর না বলে চলে যায় এবং মালামাল রেখে যায়। এরপর লোক উঠাতে না পারলে ওই রুমের ভাড়া আমাদেরই দিতে হতো। কিন্তু সৌভাগ্যবসত আমরা অন্য লোক পেয়ে যাই। কিন্তু ওই বন্ধু যেহেতু না বলে গেছে এবং ভাড়া আমাদেরই দেয়া লাগতো তাই রাগ করে ওর বাবাকে যখন মালামাল নিতে পাঠায় তখন আমি আমার আরেক বন্ধু ওর বাবাকে বলি যে আমরা লোক পাইনাই। এই বলে তার থেকে ভাড়াবাবদ কিছু টাকা রেখে দেই যা নিজেরা ভাগ করে নেই। এখন আমরা টাকাটা যে নিয়েছিলাম সেটা ফেরত দিতে চাই।আমার ওই বন্ধুর নিকট আমাদের ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দিলেই হবে নাকি তার বাবার নিকটই ক্ষমা চেয়ে টাকাটা দিতে হবে? আর বন্ধু যদি টাকা ফেরত না নিতে চেয়ে ক্ষমা করে দেয় তাহলেও কি টাকা দিতে হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

ঐ বন্ধুর নিকট ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দিলেই হবে তার বাবার নিকট ক্ষমা চাইতে হবে না। আর বন্ধু যদি টাকা ফেরত না নিতে চেয়ে ক্ষমা করে দেয়, তাহলেও  হবে।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।