আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম  হুজুর
১।বউ ছাইড়া দেওয়ার কথা বলাই হাসবেন্ড যদি বলে তুমার ভাল না লাগলে বা তুমার ইচ্ছা হইলে বা মন চাইলে তুমি ছাইড়া দিও।
আপনি বলেছেন এতে সাময়িক বা স্থায়ী উভয় টাই বুজা জাই।
ক।হাসবেন্ড  কে জিজ্ঞেস  করাই সে বলসে আমি অধিকার দিব কেন।আমি তালাক দিব না তাই অই কথা বলছি।আসলে সে জানেই না অইভাবে বললে অধিকার দেওয়া বুজাই। আর যদি জাইনাও থাকে সে কোন  নিয়তে বলে নাই।তাইলে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে
খ।সে বলসে অই সময়  রাগ কইরা অই কথা বলসি।।আমি জানি তুমিও দিবা না।তাইলে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে
গ।তুমার যখন ইচ্ছা ছাইড়া  দিও একথা বলসে নাকি আমি কসম করে বলতে পারব না।তার ও মনে নাই।কারণ  অনেক দিন আগের ঘটনা। কিভাবে কথা গুলো  বলছিল ২ জনের কারও সঠিক  মনে নাই।তাইলে কি এতে অধিকার দেওয়া বুজাবে?
ঘ।হাসবেন্ড জা বলে তাই বিশাস করা উচিত  তাই ত।যেহেতু আমার সব বিষয়  এই সন্দেহ  হই।এখন সে যদি  মিথ্যা বলে তার জন্য সে দায়ি থাকবে। আমি যে তালাক বইলা ফেলসি এগুলা হাসবেন্ড  জানে না।।তাকে কি আমার এগুলা বলা উচিত?
ঙ।হাসবেন্ড যদিি নিয়ত নিয়ে সন্দিহান থাকে যে ঐ সময়  সে কোন নিয়তে বলেছিল।তাইলে কোন ধরনের অধিকার দেওয়া বুজাব??
২। জানার জন্য জিজ্ঞেস করতেছি। যদি স্থায়ী অধিকার দেওয়া বুজাই।তাইলে যদি বউ তালাক নেওয়ার আগে ৩ এর অধিক বার হাসবেন্ড  নিয়ত ছাড়া  অধিকার দেওয়ার মত কথা বলে তাইলে কই তালাক এর অধিকার পাবে।? আসলে মনেও নাই কয় বার বলসে।অনেক আগের কথা।আর তখন আমি কিছু  বলতাম না।তাই মনে নাই ভালো  ভাবে

৩।বউ মুখে উচ্চারণ করে তালাক বলছে  নাকি যদি এ নিয়ে  বিন্দু মাত্র সন্দেহ  থাকে তাইলে কি তালাক  হবে?কারন আমি ওয়াস ওয়াসা গ্রস্থ।এই মনে হই মুখে বলসি এই মনে হই হইত বলি নাই।বল্লেও তালাক নেওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না।ওয়াস ওয়াসা থেকে মনের সাথে না পাইরা বলসি আবার সাথে সাথে আস্তাগফিরুল্লাহ পরসি।আবার তালাক নিলাম বলার পর বলসি না।মানে খুভ প্রেসার  গেসে তখন।মনে এখন পরযন্ত  অইসব কথা আসে।আমি খুব ই পেরেশানি তে আসি হুজুর।

৪.অনেক তালাকের সন্দেহ হলে সেক্ষেত্রে কি করনিয়।

৫।আমি ত সংসার করতে পারব তাইনা হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

ঘুম থেকে উঠার পর কাপড় বা শরীরে স্বপ্নদোষের চিহ্ন পরিলক্ষিত হলে গোসল কি ফরয হবে?
সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11414

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু স্বামীর তালাকের অধিকার প্রদানের কোনো নিয়তই ছিল না, তাই স্ত্রী কখনো স্থায়ী তালাকের অধিকার পাবে না। হ্যা, অস্থায়ী অধিকার পাবে।সেটা মজলিস পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। আপনার সমস্ত পশ্ন পড়েছি,আপনার বিবরণমতে আপনাদের সাংসারিক জীবনে কোনো প্রকার সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...