আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
314 views
in সালাত(Prayer) by (64 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম,
১. কাজা নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নামজ পড়ার সময় যে যে জায়গায় উচ্চারণ করে পড়তে হয় ওইসব জায়গায় নীরবে পড়া যাবে?যেমন : সুরা তিলাওয়াত, রুকু-সিজদার সময়,সালাম ফিরানোর সময়।

২.অতীত অনেক নামাজ কাজা হয়ে গেলে সেই নামাজ আদায়ের নির্দেশ কী,কীভাবে এতো নামাজ আদায় করবো যার সংখ্যাও মনে নাই?


৩.একা একা নামাজ পড়লে ফরজ নামাজ নীরবে পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাম হাসক্বাফী হানাফি রাহ লিখেন,
(ويخافت) المنفرد (حتما) أي وجوبا (إن قضى) الجهرية في وقت المخافتة، كأن صلى العشاء بعد طلوع الشمس، كذا ذكره المصنف بعد عد الواجبات.
মুনফারিদ যদি জাহরি নামাযকে সির্রি সময়ে কাযা করে তাহলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে নিম্নস্বরে পড়বে।যেমন কেউ এশার নামাযকে সূর্যোদয়ের পর কা'যা করল,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হলো যে,সে এশার নামাযকে নিম্নস্বরে আদায় করবে।(ফাতাওয়ায়ে শামী-শামেলা-১/৫৩২)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যাখায় লিখেন,
مطلب في الكلام على الجهر والمخافتة
(قوله ويخافت المنفرد إلخ) أما الإمام فقد مر أنه يجهر أداء وقضاء (قوله في وقت المخافتة) قيد به لأنه إن قضى في وقت الجهر خير كما لا يخفى ح (قوله بعد طلوع الشمس) لأن ما قبلها وقت جهر فيخير فيه، لكن في بعض نسخ الهداية بعد طلوع الفجر (قوله كما في الهداية) قال فيها لأن الجهر مختص، إما بالجماعة حتما أو بالوقت في حق المنفرد على وجه التخيير ولم يوجد أحدهما
ভাবার্থ- জাহরি কা'যা নামাযকে সির্রি সময়ে জামাতের সাথে আদায় করলে ইমাম সাহেব তখন উচ্ছস্বরে ক্বেরাত পড়বেন।তবে মুনফারিদ সির্রি সময়ে জাহরি নামাযকে কা'যা করার ইচ্ছাপোষণ করলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে তখন ক্বেরাতকে নিম্নস্বরে পড়বেন।কেননা উচ্ছস্বরে কুরআন তেলাওয়াত হয়তো জামাতের সাথে সীমাবদ্ধ নতুবা জাহরি সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ। অবশ্য জাহরি সময়ে মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1725

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কাজা নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নামাজ পড়ার সময়, যে যে জায়গায় উচ্চাস্বরে পড়তে হয়, ঐসব জায়গায় অবশ্যই নীরবে পড়তেই হবে। নিরবে পড়া ওয়াজিব।
(২) অনুমান করে অতীতের সমস্ত নামাযকে কাযা করতে হবে।উমুরী কা’যার নামায সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/968

(৩)একা একা ফরয নামাজ পড়লে উচ্ছস্বরের নামায সমূহে মুসাল্লির এখতিয়ার থাকবে, চাইলে উচ্ছস্বরে আবার চাইলে নিম্নস্বরেও পড়া যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
আসসালামু 'আলাইকুম, 

আমি কাজা নামাজ উচ্চ স্বরে পড়েছি এতদিন।এখন আমার করণীয় কী?
by (589,140 points)
ভবিষ্যতে আর করবেন না।অতীতের অজ্ঞতার কারণে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...