ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ وَلَدٍ بَارٍّ يَنْظُرُ نَظْرَةَ رَحْمَةٍ إِلَّا كَتَبَ اللهُ بِكُلِّ نَظْرَةٍ حَجَّةً مَبْرُورَةً “، قَالُوا: وَإِنْ نَظَرَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ؟ قَالَ: ” نَعَمْ، اللهُ أَكْبَرُ وَأَطْيَبُ “
তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন কোন পিতা মাতার ভক্ত সন্তান নিজের পিতা মাতার প্রতি অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বদৌলতে তার জন্য [আমলনামায়] একটি হজ্জ্বে মাবরূর [কবুল হজ্ব] এর সওয়াব দান করেন। সাহাবারা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি দৈনিক একশবার দৃষ্টি করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তারও। আল্লাহ মহান ও পবিত্র। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৭৪৭২, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৪৫৫৩৫, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৯৪৪}
জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহঃ বলেন, হাদীসটি জঈফ। {আলজামেউস সাগীর-৮০৪৩}।
শায়েখ আলবানী রহঃ বলেন, এটি জঈফ। {জঈফুল জামে-৫১৮০}
হাদিস যঈফ। তবে আ'মলের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসের উপর আমল করা যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে সরাসরি শুধুমাত্র দেখা নয়, বরং অনুগ্রহ এবং স্নেহ ও মমতার সাথে দৃষ্টি দেয়া উদ্দেশ্য। সুতরাং স্নেহ ও মমতার সাথে নিজ সন্তানের দিকে দৃষ্টি দিলে সরাসরি হোক বা মুবাইলের মাধ্যমে হোক, অবশ্যই সওয়াব পাওয়া যাবে। যদিও হাদীসে সরাসরি দৃষ্টির কথাই আলোচনা হয়েছে, তবে যে হেকমতের উল্লেখ করা হয়েছে,সেই হেকমত ভিডিও দ্বারাও অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।