আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
শায়খ,,,ফরয গোসলে তো চুল ভিজানো লাগে,,

# মেয়েরা ফরয গোসলের সময় চুলের গোড়া ভিজলেই কি গোসল আদায় হয়ে যাবে?  নাকি সমস্ত চুল মানে গোড়া থেকে চুলের আগা পর্যন্ত ও ভিজানো লাগবে?
#যাদের ঠান্ডায় সমস্যা হয়,,, তারা কি শুধু চুলের গোড়া ভিজালেই গোসল আদায় হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে আবু ওমর [রহ.] হজরত উম্মে সালামা থেকে বর্ণনা করেছেন । 
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أَشُدُّ ضَفْرَ رَأْسِي أَفَأَنْقُضُهُ لِغُسْلِ الْجَنَابَةِ قَالَ " لاَ إِنَّمَا يَكْفِيكِ أَنْ تَحْثِينَ عَلَى رَأْسِكِ ثَلاَثَ حَثَيَاتٍ مِنْ مَاءٍ ثُمَّ تُفِيضِينَ عَلَى سَائِرِ جَسَدِكِ الْمَاءَ فَتَطْهُرِينَ " . أَوْ قَالَ " فَإِذَا أَنْتِ قَدْ تَطَهَّرْتِ "
তিনি বলেন, আমি রাসুলকে [সা.] একদিন জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আমার চুলের বেণী তো খুব শক্ত করে বাঁধি। ফরজ গোসলের সময় বেণী কি খুলে ফেলতে হবে? রাসুল [সা.] বললেন, না । তোমার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট হবে যে, মাথায় তিনি আঁজলা পানি ঢেলে দেবে । তারপর সারা শরীরে পানি প্রবাহিত করবে । ব্যস, তাহলেই তুমি পবিত্র হয়ে যাবে । [তিরমিজি, হাদিস-১০৫] ইমাম তিরমিজি [রহ.] বলেন, হাদিসটি সহিহ ।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরয গোসল করার সময় মহিলাদের চুল যদি খুলা থাকে,তাহলে গোড়া সহ সমস্ত চুল ধৌত করা ফরয। আর যদি চলে বেনি পড়া থাকে,অথবা চুল কোকড়া ও ঝট বাধা থাকে, তাহলে তখন চুলকে খুলা বা উন্মোক্ত করা জরুরী নয়,শুধুমাত্র গোড়ায় পানি পৌছিয়ে দিলেই হবে।হ্যা, যদি বেনি খুলা ব্যতিত চুলের গোড়ায় পানি পৌছানো সম্ভব না হয়, তাহলে তখন বেনি খুলে সমস্ত চুলকে ধৌত করা জরুরী হয়ে যাবে।

البحر الرائق شرح كنز الدقائق (ج:1، ص:54، ط:دار الكتاب الإسلامي):
’’(قوله: ولاتنقض ضفيرة إن بل أصلها) أي و لايجب على المرأة أن تنقض ضفيرتها إن بلت في الاغتسال أصل شعرها والضفيرة بالضاد المعجمة الذؤابة من الضفر، وهو فتل الشعر وإدخال بعضه في بعض ولا يقال بالظاء والأصل فيه ما رواه مسلم وغيره عن أم سلمة «قالت: قلت: يا رسول الله إني امرأة أشد ضفر رأسي أفأنقضه لغسل الجنابة فقال: لا إنما يكفيك أن تحثي على رأسك ثلاث حثيات ثم تفيضين عليك الماء فتطهرين وفي رواية أفأنقضه للحيض والجنابة» وفي حديث عائشة بنحو معناه قال في فتح القدير: ومقتضى هذا الحديث عدم وجوب الإيصال إلى الأصول لكن قال في المبسوط، وإنما شرط تبليغ الماء أصول الشعر لحديث حذيفة، فإنه كان يجلس إلى جنب امرأته إذا اغتسلت ويقول يا هذه أبلغي الماء أصول شعرك وشؤون رأسك وهو مجمع عظام الرأس، ذكره القاضي عياض.‘‘

الفتاوى الهندية (ج:1، ص:13، ط:دار الفكر):
’’وليس على المرأة أن تنقض ضفائرها في الغسل إذا بلغ الماء أصول الشعر وليس عليها بل ذوائبها هو الصحيح. كذا في الهداية. ولو كان شعر المرأة منقوضًا يجب إيصال الماء إلى أثنائه.‘‘

قال الحصکفی (وَکَفَی، بَلْ أَصْلُ ضَفِیرَتِہَا) أَیْ شَعْرُ الْمَرْأَةِ الْمَضْفُورِ لِلْحَرَجِ، أَمَّا الْمَنْقُوضُ فَیُفْرَضُ غَسْلُ کُلِّہِ اتِّفَاقًا۔( الدر المختار مع رد المحتار : ۱۵۳/۱، ط: دار الفکر، بیروت )


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 361 views
...