ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির জন্য আপনার প্রতি কিছু পরামর্শঃ-
আপনি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা,ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা না দিয়ে আমল চালিয়ে যাবেন।
যেই সমস্ত বিষয়ে আপনি ওয়াসওয়াসায় আছেন,সে সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না। মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না।
আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন।
ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)
★ইয্য ইবনে আব্দুস সালাম রহ. বলেন, ওয়াসওয়াসার প্রতিষেধক হচ্ছে- ব্যক্তি এ বিশ্বাস করা যে, এটি শয়তানী কুমন্ত্রণা। ইবলিস এটি তার অন্তরে আরোপ করছে এবং তার সাথে লড়াই করছে। এতে করে সে ব্যক্তি জিহাদ করার সওয়াব পাবে। কেননা সে ব্যক্তি আল্লাহ্র শত্রুর সাথে লড়াই করছে। যদি কেউ এভাবে অনুভব করতে পারে তাহলে শয়তান তার থেকে পালিয়ে যাবে।
★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-–أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)
★আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করুন, তাঁর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরুন। তিনি অসীম দয়ালু। সুতরাং তিনি আপনাকে ক্ষমা করবেন ও মুক্তি দিবেন।
মূলত এই নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহরই। তিনি বলেন,
وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা হা-মীম-সিজদাহ ৩৬)
★ওয়াসওয়াসাকে গুরুত্ব না দিয়ে কোনো উপকারী কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।
★নিম্নোক্ত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করুন।
আনাস রাযি. বলেন, রাসুল ﷺ (উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য) সব সময় এই দোয়া করতেন, يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِىْ عَلىٰ دِيْنِكَ হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তর আপনার দীনের উপর দৃঢ় করে দিন।
আরো করনীয় জানুনঃ-
(০২)
পূর্বের এক প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছিলো যে প্রশ্নে উল্লেখিত কুরআনের কাভার নাপাক হয়নি,
,
তারপরেও আপনি প্রশান্তি লাভের উদ্দেশ্যে কুরআনের কাভার একবার পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন।
তাহলে আর মনের মধ্যে এটি নিয়ে কোনো টেনশন কাজ করবেনা।