আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.আমি একটি নতুন কুরআন কিনি।সকালে সেটা হাতে নেওয়ার সময় কুরআন এর কাভার টা হাত থেকে পড়ে গিয়েছিল।কুরআন পড়ে নি,কুরআনের কাভার পড়েছে। কুরআনের কাভার টা একটা তাবলীগের বেডিং এর উপর পড়ে, সেই বেডিং টাতে বীর্য লেগেছিল অনেক আগে এবং ২ বার রোদে দিয়ে শুকানো হয়েছিল।এখন প্রশ্ন হচ্ছে কুরআনের কাভার টা কি নাপাক হয়েছে???সেই কাভার এর ভিতর  আবার কুরআন টা রেখেছিলাম।এখন সারাক্ষণ অস্থিরতায় ভুগছি যে কুরআনের কাভার টা নাপাক হলো কিনা সাথে কুরআন টাও নাপাক হলো কিনা।কুরআন নাপাক হলো কিনা এই সন্দেহে নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে,মন টা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।এই জন্য কুরআন তিলাওয়াত করেও শান্তি পাচ্ছি না, মনের ভেতর খচ খচ করছে।উস্তায আমি এখন কি করব??? এটা শয়তানের ওয়াস ওয়াসা কি???যদি নাপাক হয়ে থাকে এখন পাক করার উপায় কি???

২.আমার আগের কিছু এশার নামাজ কাজা ছিল।অনেক গুলো এশার ফরয চার রাকাত আদায় করেছি কিন্তু বিতর আদায় করি নি।সেই সময় জানতাম না যে বিতর আদায় করতে হবে।এখন কি সেই নামাজ গুলোর শুধু বিতর আদায় করা যাবে নাকি আবার নতুন করে চার রাকাত ফরয সহ বিতর আদায় করতে হবে???

1 Answer

0 votes
by (680,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হ্যাঁ, এটি ওয়াসওয়াসা। 

যেহেতু সেই বেডিং এ বীর্য লেগেছিল অনেক আগে এবং ২ বার রোদে দিয়ে শুকানো হয়েছিল।
সুতরাং সেই বেডিং এর উপর "কুরআনের কাভার" পড়ে যাওয়ার দরুন "কুরআনের কাভার" নাপাক হয়নি।

তাই সেটি পাক করতে হবেনা।
 
(০২)
হানাফি মাযহাব মতে বিতির নামাযকে কা'যা করা ওয়াজিব।যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

فى تنوير الأبصار- وكذا حكم الوتر

وقال ابن عابدين، لأنه فرض عملى عنده (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت-2/73، سعيد)

মসজিদের বা জনসম্মুখে বিতিরকে কা'যা করলে হাত উত্তোলন করে দোয়ায়ে কুনুত পড়া যাবে না।

যেমন রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে- 

أما في القضاء عند الناس فلا يرفع حتى لا يطلع أحد على تقصيره. اه

বিতিরের নামাযকে যদি মসজিদে বা জনসম্মুখে কা'যা করা হয়,তাহলে কুনুতের সময় তাকবীর অবশ্যই বলা যাবে, তবে হাত উত্তোলন করা যাবে না।

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,

، قالت أمّ المؤمنين عائشة -رضي الله عنها- أنّ النبيّ صلّى الله عليه وسلّم: (كان إذا غلبه نومٌ أو وجَعٌ عن قيامِ الليلِ صلَّى من النهارِ ثِنتي عشرةَ ركعةً)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যখন বেশ ঘুম চলে আসতো বা শারিরিক ক্লান্তি কারণে কিয়ামুল লাইল করতে পারতেন না তখন দিনে বার রা'কাত নামায পড়ে নিতেন।(সহীহ মুসলিম-৭৪৬)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এখন আপনাকে সেই নামাজ গুলোর শুধু বিতর আদায় করতে হবে।

নতুন করে চার রাকাত ফরয সহ বিতর আদায় করতে হবেনা।
আপনার ফরজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে 

আপনি বিতির এর কাজা আদায়ের সময় তিন রাকাত আদায় করবেন।
জন সম্মুখে বিতির কাজা করলে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার আগে শুধু তকবির বলবেন,হাত উত্তোলন করবেননা। 
তবে একাকী কোনো জায়গায় নামাজ পড়লে যেখানে (কোনো মানুষ নেই) হাত উত্তোলন করবেন।
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 88 views
...