আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
368 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম।

মুহতারাম, আমার ফযর ও যোহর কাযা থাকা অবস্থায় যদি আসরের ওয়াক্তে উপনীত হয় তাহলে কি আগে কাযা সালাতদ্বয় আদায় করা প্রয়োজন নাকি ওয়াক্তের সালাত?

১. যদি ওয়াক্তের সালাত আদায় করার মতো সময়ই শুধু হাতে থাকে আর আশঙ্কা হয় কাযা করতে গেলে এই ওয়াক্তও কাযা হয়ে যাবে তাহলে করণীয় কি?

সহিহ সুন্নাহ ও সালাফদের আমল থেকে জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
5512 নং ফাতাওয়ায় আমরা বর্ণনা করেছি যে,বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তাহলে আপনি প্রথমে ফজর ও জোহরের নামায আদায় করবেন।যদি আসরের সময় সংকির্ণ থাকে,তার পরও আপনি প্রথমে ফজর জোহর পড়বেন।তারপর আপনি আসর পরবেন।যদি আসরের সময় যৎসামান্য বাকী থাকে,তাহলেও আপনি প্রথমে ফজর-জোহর আদায় করে,তারপর আপনি আসর পড়বেন,যদি আসরকে ওয়াক্তে পড়তে না পারেন,তাহলে আসরকেও মাগরিবে  পূর্বে কাযা করে নিবেন।যদি আপরি সাহেবে তারতীব না হন,তাহলে প্রথমে আসর পড়বেন,তারপর পর ফজর জোহড়কে কাযা করবেন।যদি আসরের যথেষ্ট ওয়াক্ত বাকী থাকে,তাহলে আসরের পূর্বে ফজর জোহর পড়ে নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,272 views
...