আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in পবিত্রতা (Purity) by (38 points)
১.ওষুধ গ্রহণ করার কারণে এক মাসের অধিক আমার হায়েজ বন্ধ। আমার কিছু সমস্যা আছে  যার কারণে আমার প্রতিদিনই সাদা স্রাব নিগত হয় যা কিছুটা দুর্গন্ধ যুক্ত । গত বুধবার  ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার পর  একবার হলুদ স্রাব দেখা যায় এরপর আবার ৩ ফেব্রুয়ারি  শুক্রবারে একবার দেখা যায় যার মধ্যবর্তী সময় ছিল তিন দিনের কম। এরপরে  দিনগুলো যখন স্রাব নির্গত হয় তার মাঝে হঠাৎ একাধিকবার মনে হয়েছে হয়তো আমার স্রাবটা হালকা হলুদ বর্ণের আবার মনে হচ্ছে যে না এটা ঘন সাদা স্রাব।এরপর আবার ১১ ফেব্রুয়ারি  ৭.৩০ এর পর আবারো হলুদ এবং লাল যুক্তস্রাব দেখা যাচ্ছে যা এখনো চলমান। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে হায়েজ এর দিন  আমি এক ফেব্রুয়ারি থেকে ধরবো নাকি হচ্ছে কালকে রাত থেকে ধরবো।

২।হায়েজের সর্বনিম্ন সময় হচ্ছে তিন  দিন তিন রাত। এখানে তিন দিন তিন রাত বলতে কি বুঝাচ্ছে যে তিন দিন তিনবার ধারাবাহিকভাবে রক্তপাত হতে হবে। যদি এমন হয় প্রথম একদিন রক্ত  দেখা গেল এরপর বন্ধ আবার পঞ্চম  দিন একবার   রক্ত দেখা গেল  আবার বন্ধ। এবং নবম দিন আবারও একবার রক্ত দেখা গেল এরপর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ আর রক্তপাত হয়নি। এটাকে কি হায়েজ ধরবো।

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে ১১ ফেব্রুয়ারি  ৭.৩০ এর পর যে হলুদ এবং লাল যুক্তস্রাব নির্গত হয়েছে,এটিকে হায়েজ ধরবেন।

সুতরাং এ সময় থেকে আপনার হায়েজ শুরু হয়েছে ধরে নামাজ বন্ধ রাখবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তিন দিন তিনরাত ধারাবাহিকভাবে রক্তপাত হতে হবে।

তবে অসুস্থ মহিলাদের ক্ষেত্রে এমনটি নাও হতে পারে,সেক্ষেত্রে  যদি আগের মাসের হায়েজ হওয়ার কমপক্ষে পনেরো দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন পর 
একদিন রক্ত দেখা যাওয়ার পর ৫ম দিনে রক্ত দেখা দিলে এই ৫ দিন হায়েজ ধরতে হবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা একদিন রক্ত  দেখা গেল এরপর বন্ধ আবার পঞ্চম  দিন একবার   রক্ত দেখা গেল  আবার বন্ধ। এবং নবম দিন আবারও একবার রক্ত দেখা গেল এরপর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ আর রক্তপাত হয়নি। এটাকে হায়েজ ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 158 views
0 votes
1 answer 184 views
0 votes
1 answer 226 views
...