আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার কিছু  বিষয়ে প্রশ্ন ছিলোঃ-

১)যদি কেউ মদ খাওয়া হারাম কিনা তা না জেনে যদি কাউকে এমন বলে যে মদ খাওয়া জায়েজ নেই তবে হারাম কিনা তা জানি না  এরুপ কথা বললে কি ইমানের কোনো সমস্যা হবে?

২) ছোট বোন( বয়স-৩) সে আমাকে দিদি বলে ডাকে জানি না কোত্থেকে শিখেছে যদিও সে মাত্র কথা বলা শিখছে সম্পূর্নভাবে বলতে পারে না ভালোভাবে কথা এখন অনেক  সময় আমিও তার ডাক শুনে তাকে দিদি বলে ডাকে  ফেলি এতে কি আমার গুনাহ হবে? আমার কি উচিত আমার বোনকে আপু ডাক শেখানো?

৩)যদি কারো ইনকামের টাকায় হারাম হালালের টাকা মেশানো এবং সেই  টাকায় সে জমি কিনে বাড়ি বানায় তবে কি তার সেই বাড়ি থেকে পাওয়া বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাকি জীবন পরিচালনা করা/সংসার চালানো তার জন্য হালাল হবে?(এক্ষেত্রে সে যদি বাড়িটি বিক্রি করে দেয় তাহলে তার সংসার পরিচালনা অত্যন্ত কষ্টকর হবে তার বয়সও অনেক হয়েছে)এক্ষেত্রে করনীয় কি?

৪) আমি একবার অনেক বড় বিপদে পড়েছিলাম তখন মানত করেছিলাম নির্দিষ্ট পরিমান টাকা  দান করব আমার দোয়া কবুল হলে। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমার দোয়া কবুল করেছেন। এখন আমি যদি আমার কলেজে যাওয়া আসার রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে বা অন্যান্য টাকা যা আব্বু আমাকে খরচ করতে দেয় সেখান থেকে আমি যদি টাকা দান করে দেই তবে কি মান্নত পূরন হয়ে যাবে? (আমি একজন ছাত্রী আমার নিজের কোনো ইনকাম নেই)নাকি আমি নিজে কখোনো ইনকাম করলে তখন  টাকাটা দান করব?

৫) যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করতে করতে মনে আল্লাহ আছেন নেই নাউজুবিল্লাহ। এরুপ  চিন্তা এসে যায় তবে সাথে সাথে তাওবা পড়ে ফেলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয় তবে কি ইমানের কোনো সমস্যা হবে? পুনঃরায় ইমান আনতে হবে?

৬) ৫ নং প্রশ্ন করার ফলে কি আমার ইমানে কোনে সমস্যা হবে?

৭)সিজদা দেওয়ার সময় সামনে কোনো পোকামাকড় এসে গেলে আমার  মনে এরুপ ওয়াসওয়াসা আসে যে আমি সেই বস্তুকে সিজদা দিয়ে ফেলছি কিনা নাউজুবিল্লাহ তবে কি ইমান চলে যাবে?

৮)যদি সিজদা দেওয়ার সময় কোনো ব্যক্তির  মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে এতে কি ইমান চলে যাবে?
৯)নাপাক কাপড় পবিত্র করার জন্য কাপড় ধৌত করার প্রক্রিয়াটি কি?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)যদি কেউ মদ খাওয়া হারাম কিনা? তা না জেনে যদি কাউকে এমন বলে যে, মদ খাওয়া জায়েজ নেই, তবে হারাম কি না তা জানি না।  এরুপ কথা বললে ইমানের কোনো সমস্যা হবে না।

(২) ছোট বোন( বয়স-৩) সে আমাকে দিদি বলে ডাকে জানি না কোত্থেকে শিখেছে, যদিও সে মাত্র কথা বলা শিখছে, সম্পূর্নভাবে বলতে পারে না ভালোভাবে কথা, এখন অনেক  সময় আমিও তার ডাক শুনে তাকে দিদি বলে ডাকে ফেলি, 

এতে আপনার কোনো গুনাহ হবে না। তবে যেহেতু হিন্দুদের অধিকাংশই দিদি শবাদ প্রয়োগ করে, তাই মুসলিম হিসেবে আপনি আপনার বোনকে আপু ডাক শিখাবেন।

(৩)
হারাম মূল দ্বারা যদি কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনের তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/53560


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো ইনকামের টাকায় হারাম হালালের টাকা মেশানো এবং সেই  টাকায় সে জমি কিনে বাড়ি বানায় তবে তার সেই বাড়ি থেকে পাওয়া বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাকি জীবন পরিচালনা করা/সংসার চালানো তার জন্য হালাল হবে।তবে যেই পরিমাণ হারাম ইনকাম তার ঐ বাড়িতে লেগেছে, সেই হারাম ট্কা সদকাহ করা তার উপর ওয়াজিব।

(৪) 
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/375


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে মান্নত আদায় করেন বা নিজে ইনকাম করে আদায় করেন, উভয়টাই হবে।তবে তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়াই উত্তম হবে।

(৫) সাথে সাথে তাওবা করে নিলে বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলে ইমানে আর কোনো সমস্যা হবে না। পুনঃরায় ইমান নবায়ন করে নেয়া সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। 

(৬) ৫ নং প্রশ্ন করার ফলে আপনার ইমানে কোনে সমস্যা হবে না।

(৭)সিজদা দেওয়ার সময় সামনে কোনো পোকামাকড় এসে গেলে আমার  মনে এরুপ ওয়াসওয়াসা আসে যে আমি সেই বস্তুকে সিজদা দিয়ে ফেলছি কি না?নাউজুবিল্লাহ। 

এরূপ চিন্তা আসার কারণে ইমানে কোনো সমস্যা হবে না। 


(৮)যদি সিজদা দেওয়ার সময় কোনো ব্যক্তির  মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে এতেও ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৯)নাপাকি দৃশ্যমান হলে নাপাকিকে দূর করতে হবে।আর অদৃশ্যমান হলে তিনবার ধৌত করতে হবে।প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...