ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)যদি কেউ মদ খাওয়া হারাম কিনা? তা না জেনে যদি কাউকে এমন বলে যে, মদ খাওয়া জায়েজ নেই, তবে হারাম কি না তা জানি না। এরুপ কথা বললে ইমানের কোনো সমস্যা হবে না।
(২) ছোট বোন( বয়স-৩) সে আমাকে দিদি বলে ডাকে জানি না কোত্থেকে শিখেছে, যদিও সে মাত্র কথা বলা শিখছে, সম্পূর্নভাবে বলতে পারে না ভালোভাবে কথা, এখন অনেক সময় আমিও তার ডাক শুনে তাকে দিদি বলে ডাকে ফেলি,
এতে আপনার কোনো গুনাহ হবে না। তবে যেহেতু হিন্দুদের অধিকাংশই দিদি শবাদ প্রয়োগ করে, তাই মুসলিম হিসেবে আপনি আপনার বোনকে আপু ডাক শিখাবেন।
(৩)
হারাম মূল দ্বারা যদি কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনের তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/53560
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো ইনকামের টাকায় হারাম হালালের টাকা মেশানো এবং সেই টাকায় সে জমি কিনে বাড়ি বানায় তবে তার সেই বাড়ি থেকে পাওয়া বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাকি জীবন পরিচালনা করা/সংসার চালানো তার জন্য হালাল হবে।তবে যেই পরিমাণ হারাম ইনকাম তার ঐ বাড়িতে লেগেছে, সেই হারাম ট্কা সদকাহ করা তার উপর ওয়াজিব।
(৪)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/375
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে মান্নত আদায় করেন বা নিজে ইনকাম করে আদায় করেন, উভয়টাই হবে।তবে তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়াই উত্তম হবে।
(৫) সাথে সাথে তাওবা করে নিলে বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলে ইমানে আর কোনো সমস্যা হবে না। পুনঃরায় ইমান নবায়ন করে নেয়া সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
(৬) ৫ নং প্রশ্ন করার ফলে আপনার ইমানে কোনে সমস্যা হবে না।
(৭)সিজদা দেওয়ার সময় সামনে কোনো পোকামাকড় এসে গেলে আমার মনে এরুপ ওয়াসওয়াসা আসে যে আমি সেই বস্তুকে সিজদা দিয়ে ফেলছি কি না?নাউজুবিল্লাহ।
এরূপ চিন্তা আসার কারণে ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৮)যদি সিজদা দেওয়ার সময় কোনো ব্যক্তির মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে এতেও ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৯)নাপাকি দৃশ্যমান হলে নাপাকিকে দূর করতে হবে।আর অদৃশ্যমান হলে তিনবার ধৌত করতে হবে।প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।