জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
গোসল খানায়, গোসলের সময় উলঙ্গ অবস্থায় থাকলে কেবলা মুখি হওয়া বেয়াদবি।
যদি শরীরে কাপড় থাকে,তাহলে কেবলামুখি হতে কোনো সমস্যা নেই।
قال العلامۃ الحصکفی رحمہ اللہ تعالی:" (وسننه) كسنن الوضوء سوى الترتيب. وآدابه كآدابه سوى استقبال القبلة؛ لأنه يكون غالبا مع كشف عورة."
وقال العلامۃ ابن عابدین رحمہ اللہ تعالی:" قوله:( مع كشف عورة): فلو كان متزرا فلا بأس به كما في شرح المنية والإمداد." (الدر المختار مع رد المحتار:1/156،دار الفکر،بیروت)
যার সারমর্ম হলো শরীরে কোনো কাপড় থাকলে গোসলরত অবস্থায় কিবলামুখি হলে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
তাহিয়্যাতুল অযু নিয়ে হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ اللَّيْثِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُثْمَانَ دَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ "
আহমদ ইবনু আমর (রহঃ) ও হারিস ইবনু মিসকীন ... হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উসমান (রাঃ) উযূর পানি আনতে বলেন। প্রথমে তিনি তিনবার উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত ধৌত করেন। পরে কুলি করেন ও নাকে পানি দেন। তারপর তিনবার মুখমন্ডল ধৌত করেন। এরপর তিনি তিন-তিনবার ডান ও বাম হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করেন। এরপর মাথা মসেহ করেন এবং তিন-তিনবার ডান ও বাম পা গোড়ালী পর্যন্ত ধৌত করেন। পরে বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখেছি। তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার এই উযূর ন্যায় উযূ করবে এবং দাঁড়িয়ে দু’রাকাত সালাত (তাহিয়্যাতুল উযূ) একাগ্রচিত্তে আদায় করবে, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
(নাসায়ী ১১৬)
,
★অজু করার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে বলা হয়েছে যে,অজুর পানি শুকানোর পূর্বে তাহিয়্যাতুল অজু পড়ে নিতে।তথা নিজে নিজে পানি শুকানোর পূর্বে নামায পড়ে নিতে।সুতরাং কেউ যদি তোয়ালে ইত্যাদি দ্বারা পানিকে মুছে নেয়,তাহলে সেও তাহিয়্যাতুল অজু পড়তে পারবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
হ্যাঁ যদি সেই অযু আল্লাহর কাছে কবুল হয়,তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেইসব অঙ্গের গুনাহ মাফ করে দেন।
তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এর দ্বারা ছগীরাহ গুনাহ মাফ হবে।
কবিরা গুনাহ তওবা ছাড়া মাফ হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوْ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَه خَرَجَ مِنْ وَجْهِه كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ اۤخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ اۤخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مَشَّتْهَا رِجْلَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ اۤخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنْ الذُّنُوبِ.
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন মুসলিম অথবা মু’মিন বান্দা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে এবং তার চেহারা ধুয়ে নেয়, তখন তার চেহারা হতে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে তার চোখের দ্বারা কৃত সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে চোখ দিয়ে দেখেছে। যখন সে তার দুই হাত ধোয় তখন তার দুই হাত দিয়ে করা গুনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায় যা তার দু’ হাত দিয়ে ধরার কারণে সংঘটিত হয়েছে। অনুরূপভাবে সে যখন তার দুই পা ধোয়, তার পা দ্বারা কৃত গুনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায় যে পাপের জন্যে তার দু’ পা হাঁটছে। ফলে সে (উযূ (ওযু/ওজু/অজু) র জায়গা হতে উঠার সময়) সকল গুনাহ হতে পাক-পবিত্র হয়ে যায়।
(মুসলিম শরীফ ২৪৪)
,
(০৪)
হ্যাঁ, এটা দরুদ।
,
(০৫)
সরকারী ব্যাংকের বিভিন্ন বিল সেক্টরে চাকুরী করার ক্ষেত্রে যদি তার বেতন সূদের টাকা থেকে দেওয়া হয়,তাহলে এমন চাকুরী নাজায়েজ।
আর যদি সরকারি হালাল ফান্ড থেকে বেতন দেওয়া হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
,
তার বাসায় দাওয়াত খাওয়া বা হাদিয়া গ্রহন সম্পর্কে,,,,
যদি তার অধিকাংশ সম্পদ হালাল হয়,তাহলে জায়েজ আছে।
আর যদি অধিকাংশই হারাম হয়,তাহলে দাওয়াত বা হাদিয়া গ্রহন নাজায়েজ।
★সরকারী এবং প্রাইভেট সূদি ব্যাংকের আইটি সেক্টরে চাকরি করা জায়েজ নেই।
,
★কেহ যদি মনে করে যে কোনো ব্যাংকই সূদ ছাড়া নেই,তাহলে তার এমন মন্তব্য করায় কোনো সমস্যা নেই।
সে কাফের হবেনা।
,
★শিরক করা আর মুশরিক হওয়া এক নয়।
সে তওবা করতেও তো পারে।
না জেনেও তো করতে পারে।
শিরকটা ছোট শিরকও তো হতে পারে।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “এবং তারা আল্লাহ্র সাথে কোন উপাস্যকে ডাকে না। আর আল্লাহ্ যাকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না। আর তারা ব্যভিচার করে না; যে ব্যক্তি এগুলো করবে, সে শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তার শাস্তি বর্ধিতভাবে প্রদান করা হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায়। তবে যে তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, ফলে আল্লাহ্ তার গুনাহসমূহ নেক দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন। আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[সূরা ফুরকান, আয়াত: ৬৮-৭০]
★ মুসলিম হয়ে মুশরিক হয়না,মুশরিক হয়ে মুসলিম হয়না।
যখন মুসলিম তখন শুধু মুসলিমই।
,
★রাজনীতি করা নীতি আদর্শ ঠিক থাকলে জায়েজ আছে।
আরো জানুনঃ
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★কেউ অজ্ঞতাবশত হালাল কে হারাম বা হারাম কে হালাল ভাবে তাহলে সে কি কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে গুনাহগার হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★""পাকিস্তানের মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কাদীয়ানী ছিলো""
মর্মে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাইনি।
তার ব্যাপারে শিয়া হওয়ার কথা আছে।
তবে কেহ কেহ বলেছেন যে জীবনের শেষ দিকে তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।