আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/ মেহমান কেউ যদি স্লামালাইকুম বলে, এটা অশুদ্ধ যেহেতু এটার জবাব দেয়া আমার জন্য ওয়াজিব নয়। কিন্তু জবাব না দিলে দৃষ্টিকটু দেখায় জন্য যদি জবাব দিই, তবে কি এটা রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে?

২/ "তোরে আমার দরকার নেই, তুই চলে যা" এরকম বাক্য যদি ঠান্ডা বা গরম মাথায় স্বামী তার স্ত্রীকে একাধিকবার বলে তবে বৈবাহিক সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়বে কি?

৩/ মা যদি উপদেশ দেয় জীবনেও কখনো আল্লাহর নামে শপথ করবে না, আর ছেলে যদি কথা দেয় মাকে যে আল্লাহর নামে সে জীবনে কখনো শপথ করবে না, তবে পরে যদি কোন ইনসিটেন্ডে  ছেলেকে তার  সত্যবাদিতা প্রমাণে আল্লাহর নামে শপথ করা লাগে, তখন যদি আল্লাহর নামে শপথ করে, এতে কি মাকে দেয়া কথা না রাখার গুনাহ্ হবে?

৪/ ফরজ কাযা রোজা আদায় করছে কি করে নাই এই বিষয়ে সন্দেহ হলে আবার কি আদায় করবে?

৫/ পিরিয়ড অবস্থায় সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত ও সূরা মূলক আমল হিসেবে পড়া যাবে কী?

৬/ পিরিয়ড অবস্থায় হিফজ করা, পড়া দেয়া , পড়া নেয়া যাবে কী?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) মেহমান কেউ যদি স্লামালাইকুম বলে, এটা অশুদ্ধ,  এজন্য এটার জবাব দেয়া ওয়াজিব নয়। কিন্তু যদি কেউ জবাব দিয়ে দেয়, তবে তা রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে না।

(২) "তোরে আমার দরকার নেই, তুই চলে যা" এরকম বাক্য যদি ঠান্ডা বা গরম মাথায় স্বামী তার স্ত্রীকে একাধিকবার বলে, তবে বৈবাহিক সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়বে না।

(৩) মা যদি উপদেশ দেয় জীবনেও কখনো আল্লাহর নামে শপথ করবে না, আর ছেলে যদি কথা দেয় মাকে যে আল্লাহর নামে সে জীবনে কখনো শপথ করবে না, তবে পরে যদি কোন ইনসিটেন্ডে  ছেলেকে তার  সত্যবাদিতা প্রমাণে আল্লাহর নামে শপথ করা লাগে, তখন যদি আল্লাহর নামে শপথ করে, এতে মাকে দেয়া কথা না রাখার জন্য গুনাহ্ হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/663

(৪) ফরয কাযা রোজা আদায় করা হয়েছে কি না? এই বিষয়ে সন্দেহ হলে সতর্কতামূলক আবার আদায় করে নিতে হবে।

(৫) পিরিয়ড অবস্থায় সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত ও সূরা মূলক আমল হিসেবে পড়া যাবে না। তবে দু'আ হিসেবে পড়া যেতে পারে।

(৬) পিরিয়ড অবস্থায় হিফজ করা, পড়া দেয়া যাবে না, তবে পড়া নেয়া যাবে বা শুনা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...