ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835
ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শাকিল শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পরে মনে মনে তার স্ত্রীকে নিয়ে বলল, তালাক দিলাম। এইভাবে সে মনে মনে ২ দিন স্ত্রীকে তালাক দেয় কারন শয়তান তাকে এইসব ভাবায়।
তারপর একদিন শাকিল মুখে উচ্চারণ করে বলে, "প্রথমদিন থেকে শয়তান তালাক নিয়ে যা মনে মনে বলিয়েছে, যা ভাবিয়েছে, যা ওয়াসোয়াসা দিয়েছে, যা যা দুশ্চিন্তা দিসে তা স্ত্রীর উপর থেকে উঠায় দিলাম।" এই বাক্য শেষ হওয়ার পরেই শাকিল আবার বলল, উঠায় দিলাম, তুলে দিলাম। পরবর্তীতে, উঠায় দিলাম, তুলে দিলাম বলাতে শাকিলের কোনো তা*** এর নিয়ত ছিল না।
শাকিল এইভাবে বলে কারন সে অনেক ভয়ে ছিল, দুশ্চিন্তা করছিল, তাই ওয়াসোয়াসা থেকে শাকিল দূরে থাকার জন্য শাকিলের মন কে শান্ত করতে এইভাবে বাক্য গুলো বলে।
শাকিলের কোনো তা*** এর নিয়ত ছিল না।
এইভাবে বাক্যগুলো বলাতে শাকিলের বিবাহের কোনো সমস্যা হবে না।
শাকিলের এইভাবে বাক্য গুলো বলাতে ও এইখানে শাকিলের কোনো নিয়ত না থাকার কারণে কোনো তাহলে তালাক পতিত হবে না।