আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
(১) আমি প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করি। গতকাল ৪র্থ শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়ার সময় বাংলা বিষয়ে পাঠদানের সময় ১টি কবিতা " মজিব মানে মুক্তি " যা দেখে আমার মনে হয় এটি ইসলাম বহির্ভূত কথা। তাই পাঠদানের আগে শিক্ষার্থীদের বলি এটি একটি কাল্পনিক কবিতা যার উপর আকিদা বা বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক কথা বলা হয় যা আমার পুরোপুরি মনে পরতাছে না। যতদূর মনে পরে তা হল - "আমাদের বইয়ের পাঠের উপর বিশ্বাস স্থাপন না করা।" কিন্তু আমাদের পাঠের বিষয়ে ভালো কিছু ও আছে যেমন বাংলা বইয়ে হযরত ওমর রাঃ এর জীবনী, ইসলাম ধর্ম ইত্যাদি। কিন্তু এসব কিছু চিন্তা না করেই হটাত ভুল করে " আমাদের বইয়ের পাঠের উপর বিশ্বাস স্থাপন না করা।" এই কথা বলেছি। এতে করে কি ইমানে কোন সমস্যা হবে? আসলে আমি চেয়েছি ইসলাম বহির্ভূত কোন পাঠে বিশ্বাস না করার জন্যই এই কথা বলেছি।
আর বিষয়টি ভালো করে মনে করতে পারছি না বিধায় লেখায় কোন ভুল ত্রটি হলে কি কোন সমস্যা হবে?আর আমি বিবাহিত এতে কি কোন সমস্যা হবে?
(২) হুজুর, এখন বিবির সাথে কথা বলতে ভয় হয়।  আমি শুনেছি,  আউজুবিল্লাহ হি মিনাশ শাইতানির রাজিম বললে ওয়াস্বাসা দূর হয়ে যায়। কিন্তু এটি বলার সময় বিবির কথা মনে করতে চাই না। কিন্তু বারবার মনে হয়। এতে কি কোন বৈবাহিক সমস্যা হবে?
(৩) গত এশার নামাজের সময় হটাত মনে হল বায়ু বের হল কিনা? এতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছি। একবার মনে হয় বের হয়েছে আবার মনে হয় বের হয় নাই। এই সন্দেহ নিয়েই বাকি নামাজ পরে নিলাম। এখন মনে কেমন যেন অস্থির লাগছে। এতে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এতে করে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহিত জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
এতে কোন বৈবাহিক সমস্যা হবেনা।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত এটি যদি শুধু আপনার মনের ধারনা হয় মাত্র,আপনি এ সম্পর্কে নিশ্চিত  না হোন,বায়ু বের হওয়ার আওয়াজ,বা গন্ধ না পান,বা আপনার এই রকম বায়ু বের হওয়ার অন্যান্য সময় অভ্যাসও না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
,
নতুবা সতর্কতার খাতিরে পুনরায় আদায় করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...