জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছেলে সন্তানের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব।
আর মেয়ে সন্তানকে বিবাহ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব।
কিন্তু ছেলে সন্তান বালেগ হওয়ার পরেও যদি কেহ অসুস্থতা,পাগল, ইলমে দ্বীন শিক্ষায় লিপ্ত থাকা ইত্যাদি কারনে যদি সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলেও তার ভরনপোষণ দেওয়াও পিতার উপর ওয়াজিব বা জরুরি।
(নাজমুল ফাতওয়া ৫/২১৫)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
لما فی الھندیۃ(۵۶۳/۱):طلبة العلم إذا كانوا عاجزين عن الكسب لا يهتدون إليه لا تسقط نفقتهم عن آبائهم إذا كانوا مشتغلين بالعلوم الشرعية لا بالخلافيات الركيكة وهذيان الفلاسفة ولهم رشد وإلا لا تجب كذا في الوجيز للكردري ونفقة الإناث واجبة مطلقا على الآباء ما لم يتزوجن إذا لم يكن لهن مال كذا في الخلاصة ولا يجب على الأب نفقة الذكور الكبار إلا أن الولد يكون عاجزا عن الكسب لزمانة أو مرض ومن يقدر على العمل لكن لا يحسن العمل فهو بمنزلة العاجز كذا في فتاوى قاضي خان
যার সারমর্ম হলো তালেবে ইলেম যখন শতীয়তের জ্ঞান অর্জনে লিপ্ত থাকে,সে যদি সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলে তার ভরনপোষণ দেওয়া পিতার উপর ওয়াজিব।
,,, বালেগ সন্তানের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব নয়, কিন্তু সে যদি অসুস্থতা, কাজ করতে অক্ষম ইত্যাদি কারনে সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলে তার ভরনপোষণ দেওয়া পিতার উপর জরুরী।
باب وُجُوبِ النَّفَقَةِ عَلَى الأَهْلِ وَالْعِيَالِ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ مَا تَرَكَ غِنًى، وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ ". تَقُولُ الْمَرْأَةُ إِمَّا أَنْ تُطْعِمَنِي وَإِمَّا أَنْ تُطَلِّقَنِي. وَيَقُولُ الْعَبْدُ أَطْعِمْنِي وَاسْتَعْمِلْنِي. وَيَقُولُ الاِبْنُ أَطْعِمْنِي، إِلَى مَنْ تَدَعُنِي فَقَالُوا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. قَالَ لاَ هَذَا مِنْ كِيسِ أَبِي هُرَيْرَةَ.
পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করা ওয়াজিব
৪৯৬৪। উমর ইবনু হাফস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম সাদাকা হল যা দান করার পরেও মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে। উপরের হাত নীচের হাতের চাইতে শ্রেষ্ঠ। যাদের ভরন-পোষণ তোমার যিম্মায় তাদের আগে দাও। (কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নতুবা তালাক দাও। গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও। ছেলে বলবে, আমাকে খাবার দাও, আমাকে তুমি কার কাছে রেখে যাচ্ছ? লোকেরা জিজ্ঞাসা করলঃ হে আবূ হুরায়রা আপনি কি এ হাদীস রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ এটি আবূ হুরায়রা জামবিলের নয় (বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে)।
(বুখারী ৪৯৬৪)
,
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الأَنْصَارِيَّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، فَقُلْتُ عَنِ النَّبِيِّ فَقَالَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَنْفَقَ الْمُسْلِمُ نَفَقَةً عَلَى أَهْلِهِ وَهْوَ يَحْتَسِبُهَا، كَانَتْ لَهُ صَدَقَةً ".
৪৯৬০। আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাবী বলেনঃ আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ এ কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে? তিনি বললেন, (হাঁ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সাওয়াবের আশায় কোন মুসলমান যখন তার পরিববার-পরিজনের জন্য খরচ করে, তা তার সাদাকায় পরিগণিত হয়।
(বুখারী ৪৯৬০)
,
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে।’ (মুসলিম : হাদিস ৯৯৪)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সাবালক ছেলেকে অবশ্যই নিজের খরচ এর জন্য কোনো ইনকাম করা উচিত।
এই ছুরতে পিতার উপর তার ভরনপোষণ ওয়াজিব নয়।
তিনি নিজ ইচ্ছায় খরচ দিলে সেটা অনুগ্রহ হবে।
না দিলে কোনো গুনাহ নেই।
,
(০২)
সাবালেগ মেয়ে সন্তানের যদি নিজের খরচ চালানোর সামর্থ্য থাকে, তার পরেও বিবাহের আগ পর্যন্ত বাবার উপর তার ভরনপোষণ এর খরচ দেওয়া ওয়াজিব থাকবে।
,
(০৩)
বাবা তার সাবালেগ ছেলে সন্তান, মেয়ে সন্তানকে নিজের টাকায় বানানো ঘর থেকে বের করে দেবার অধিকার রাখেনা। তাদের কে ত্যাজ্য করারও অধিকার রাখেনা।
এটি জায়েজ নেই।
,
হ্যাঁ যদি এমন গরিব হয় যে কোনোরকমেই থাকার জায়গা না থাকার কারনে পিতা তাদেরকে বাড়িতে রাখতে না পারে,কোনোভাবেই যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে সাবালক ছেলের থাকার ব্যবস্থা পিতার উপর ওয়াজিব নয়।
তবে মেয়ে সন্তানকে অবশ্যই বিবাহের আগ পর্যন্ত রাখতেই হবে।