জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামে নাম রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে উম্মতকে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। ভালো নাম চিহ্নিত করার পাশাপাশি মন্দ ও অসুন্দর নাম রাখা থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক করেছেন।
,
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। -মুসনাদে বাযযার (আলবাহরুয যাখখার), হাদীস ৮৫৪০
হযরত আবুদ দারদা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ.
কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের ও তোমাদের বাবার নাম নিয়ে (অর্থাৎ এভাবে ডাকা হবে- অমুকের ছেলে অমুক)। তাই তোমরা নিজেদের জন্য সুন্দর নাম রাখ। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৪৮
★হুযাইফা নাম অনেক ভালো এবং পছন্দনীয় নাম।
ছাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কয়েকজন পুরুষ ছাহাবার নাম হুযাইফা ছিলো।
রাসুল সাঃ অনেকের নাম পরিবর্তন করে দিলেও তাদের নাম পরিবর্তন করে দেননি।
বরং তা আপন অবস্থায় বহাল রেখেছেন।
সুতরাং এটি একটি ভালো নাম।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,এই নামটি মেয়ে বাচ্চার ক্ষেত্রে রাখলে কোনো গুনাহ নেই।
তবে যেহেতু এটি ছেলেদের নাম হিসেবেই প্রসিদ্ধ, তাই সন্তান যখন বড় হয়ে অন্যদের সামনে তার নাম বলবে,বা যখন অন্য কেউ তার নাম বলবে,তখন বিড়ম্বনার শিকার হতে পারে।
,
তাই এই নাম না রেখে তার সুবিধার্থে মহিলাদের নাম রাখা উচিত।