আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
reshown by
১. সগীরা গুনাহকে গুনাহ মনে না করলে তার বিধান কি? সে কি কাফের হয়ে যাবে?

২. আজকে সেলুনে যাওয়ার আগে মনে মনে ভাবতাম ছিলাম দাড়ি ছোট  করবো না করলে অনেক গুনাহ হবে। তখন মনে মনে ভাবতে ভাবতে মুখে বলে ফেলেছি, " দাড়ি তো আর ছাইছা ফেলতেছি না" আসলে তেমন কিছু ভেবে বলি নাই এমনিই বলে ফেলেছি এর ফলে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?

৩.  একটা  ওয়াজে কুফরের বিষয়ে বলতে গিয়ে শুনেছিলাম, " এছা কারনেছে নিকাহ টুট যায়ে গা" এটা শুনে মনে মনে টুটি টুটি টুটি এভাবে অনেক বার বলতে থাকি, তখন মাথার মধ্যে আমার বিয়ে ভাঙ্গার চিন্তা চলে আসে, তখনো টুটি টুটি এভাবে বলতেছিলাম, কিন্তু সংসার ভেঙ্গে ফেলছি এইরকম নিয়ত নিয়ে বলি নাই, এর ফলে কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৪. একজন মুসলমান কে হিন্দু মনে করে আরেকজনকে বলেছলাম সে হিন্দু,  আরেকজন মুসলিম বললেও আমি বলি নাহ সে হিন্দু, (মনে হয়েছলো বিধায়) পরে জানতে পারি সে মুসলিম এর ফলে কি আমার গুনাহ বা ইমানে সমস্যা হবে?

৫. পিছনে ক্রুশের মতো একটা জিনিস দেখায় একজনকে বলি দ্বারা এটার একটা ছবি তুলি, তখন সে মজা করে বলে দাড়া খ্রিষৃটানের মতো এমন করি, করে তারা যেভাবে কাধে ক্রুশের চিন্হ দেখায় এমন দেখিয়ে বলে, এমন টা করবো?আমি তাকে ধমক দেই, বলি ধুর মিয়া। এর পরে আর কিঋু করেনাই, তার কি ইমানে সমস্যা হবে?

৬. চোখের সামনে কেও কুফরী করলে, আমি যদি তাকে না বলি যে তোমার এই কাজ কুফরী তুমি জলদি কালিমা পরো, তবে কি আমারো ইমানে সমস্যা হবে? অনেক সময় কাজটা কুফরি কিনা শিপর ও হওয়া যায় না, আবার সে কিভাবে সেটা ভেবে সরসরি বলাও যায়৷ না

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)সগীরা গুনাহকে গুনাহ মনে না করা কবিরা গোনাহ। তবে এজন্য ঈমান চলে যাবে না।

(২)  " দাড়ি তো আর ছাইছা ফেলতেছি না" প্রশ্নের বিবরণমতে একথা বলার দ্বারা আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩) " এছা কারনেছে নিকাহ টুট যায়ে গা" এটা বলার কারণে বিবাহতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) ভুল বশত কোনো মুসলমানকে হিন্দু মনে করলে এতেকরে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫) পিছনে ক্রুশের মতো একটা জিনিস দেখায় একজনকে বলি, দাড়া এটার একটা ছবি তুলি, তখন সে মজা করে বলে দাড়া! খৃষ্টানদের মত এমন করি, 
এভাবে বলার দ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।যদিও এমনটা করা কখনো উচিৎ হয়নি। ফটো তোলাও জায়েয হয়নি।

(৬) চোখের সামনে কেউ কুফরী করলো, আমি যদি তাকে না বলি যে, তোমার এই কাজ কুফরী, তুমি জলদি কালিমা পড়ো, তাহলে আমার ইমানে কোনো সমস্যা হবে না। হ্যা, ঈমান আনয়নের কথা আপনার বলা উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...