বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ক,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا قَعَدَ يَدْعُو وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ وَوَضَعَ إِبْهَامَهُ عَلَى إِصْبَعِهِ الْوُسْطَى وَيُلْقِمُ كَفَّهُ الْيُسْرَى رُكْبَتَهُ
হযরত আমের আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূল সাঃ যখন তাশাহুদ পড়ার জন্য বসতেন, তখন ডান হাতখানা ডান উরুর উপর এবং বাঁ হাতখানা বাঁ উরুর উপর রাখতেন। আর শাহাদত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন। এ সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলিকে মধ্যমার সাথে সংযুক্ত করতেন এবং বাঁ হাতের তালু [বাঁ] হাঁটুর রাখতেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৩৩৬, সহীহ ইবনে হিব্বান-৫/২৭০}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ إِذَا جَلَسَ فِى الصَّلاَةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَرَفَعَ إِصْبَعَهُ الْيُمْنَى الَّتِى تَلِى الإِبْهَامَ فَدَعَا بِهَا وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى بَاسِطُهَا عَلَيْهَا
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ নামায পড়ার সময় যখন বসতেন বৈঠক করতেন] তখন হাত দুইখানা দ্ইু হাঁটুর উপর রাখতেন। আর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির পার্শ্ববতী [শাহাদাত] আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করতেন এবং বাঁ হাত বাঁ হাঁটুর উপর ছড়িয়ে রাখতেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৩৩৭}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ إِذَا قَعَدَ فِى التَّشَهُّدِ وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى وَعَقَدَ ثَلاَثَةً وَخَمْسِينَ وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন তাশাহুদের জন্য বসতেন, তখন বাম হাতকে রাখতেন বাম হাঁটুর উপর এবং ডান হাতখানা ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। আর [হাতের তালু ও আঙ্গুলসমূহ গুটিয়ে আরবী] তিপ্পান্ন সংখ্যার মত করে শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন। {সহীহ মুসলিম,হাদীস নং-১৩৩৮}
عن عبد الله بن الزبير أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يشير بأصبعه إذا دعا ولا يحركها
হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন তাশাহুদ পড়তেন, তখন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন, কিন্তু আঙ্গুল নাড়াতেই থাকতেন না। {সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৯৩, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৯৮৯, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১৫৯৪}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উপরোক্ত হাদীস গুলির কারনে তাশাহুদের মধ্যে শাহাদতের বাক্য বলার সময় আমরা আঙ্গুল তুলি।
আরো জানুনঃ-
খ,
কিছু ক্ষেত্রে এটি সত্য হতে পারে।
উপমহাদেশে কিছু হানাফিদের মাঝে কিছু অতিরিক্ত কাজ থাকায় কেউ কেউ এমন কথা বলে থাকেন।
গ,
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
ঘ,
পুরুষদের জন্য নিরেট লাল পোশাক পড়ার নিষেধাজ্ঞা হাদীস শরীফে এসেছে।
তাই লাল পাগড়ি পড়া যাবেনা।
উপরোক্ত কথার সত্যতা পাইনি।
ঙ,
এতে গুনাহ মাফ হয়না।
গুনাহ মাফের বিষয় সম্পূর্ণ মহান আল্লাহর ইখতিয়ারধীন।
তবে এতে ঈসালে ছওয়াব হবে।
চ,
বিনা ওযরেও তাকবিরে ছুটে গেলে গুনাহ নেই।
তবে বিনা ওযরে জামাআত ছুটে গেলে গুনাহ হবে।
ছ,
প্রশ্নটি কমেন্ট বক্সে আরো স্পষ্ট করার পরামর্শ রইলো।
জ,
আপনি আঁকা বাঁকা দিয়ে আসলে সেভাবে পথের দূরত্ব হিসাব করতে পারবেন।
মোটকথা যেভাবে যাতায়াত করবেন,সেভাবেই দূরত্ব হিসাব করবেন।
ঝ,
সেটি কবিরা গুনাহ নয়।
মুল মাসয়ালা হলো,
তিন মসজিদ ছাড়া ইবাদতের উদ্দেশ্যে অন্য স্থানে সফর করা বৈধ নয়। উক্ত তিনটি মসজিদ হচ্ছে, মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী এবং মসজিদে আকছা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِى هَذَا وَمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الأَقْصَى»
“তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো স্থানে ইবাদতের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না। আমার এই মসজিদ (মসজিদে নববী), মসজিদে হারাম এবং মসজিদে আক্বছা”।
(বুখারী ১১৯৭, মুসলিম ৮২৭, তিরমিযী ৩২৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৬১৭, ইরওয়া ৭৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৭৩৩২।)
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ আল্ জুওয়াইনী রহঃ বলেন, হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী অন্য স্থানে সাওয়াবের উদ্দেশে সফর করা হারাম।
হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী সাধারণভাবে এটা প্রমাণিত হয় যে, এ তিন মাসজিদ ব্যতীত কোন স্থানে বারাকাত পাওয়া ও সালাত আদায়ের উদ্দেশে সফর করা বৈধ নয়। আর ব্যবসা, জ্ঞান অন্বেষণ বা অন্য কোন উদ্দেশে কোন স্থানে সফর করা বৈধ অন্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যা স্বতন্ত্র বিষয়।
শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রহঃ ‘হুজ্জাতুল্লাহ’ কিতাবে বলেনঃ জাহিলী যুগের লোকেরা তীর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ বিশ্বাস নিয়ে সফর করতো যে, সেখানে বারাকাত পাওয়া যাবে। এ চিন্তা-চেতনাকে বন্ধ করার জন্যে যাতে আল্লাহ ছাড়া আর কারো ‘ইবাদাতের পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেজন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বুযুর্গদের কবর, মাজার যিয়ারিতের বিধান জানুনঃ-
ঞ,
সেখানকার উপস্থিত সকলেই জানে এবং আমরাও জাননি যে এটি যুক্তিতর্কে বিজয়ী হওয়ার জন্য ধরে নেয়ার অর্থে বলা হয়েছে।
সকলেই বিষয়টি এমন ভাবেই বুঝেছে।
তাই সেই প্রেক্ষাপট,স্থান,কাল,পাত্র, হিসেবে গবেষণা করলে এটিকে সরাসরি "মিথ্যা" বলা যায়না।