আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

১.ওযুর সময় কথা বললে বা মুখে কিছু উচ্চারণ করলে বা গজল গাইতে গাইতে ওযু করলে কি ওযু হবে?

২.ওযুতে পানি কি নাকের ভিতরে নিতে হবে (ফরজ গোসলের মত)?

৩.ওযুতে কেউ যদি গড়গড়া কুলি করে তার কি ওযু হবে?

৪.ওযু শেষের দিকে পা ধোয়ার সময় যদি বালতির পানিতে পা ডুবিয়ে দেয় তাহলে কি ওযু হবে?

৫.ওযুতে পায়ে পানি ঢালার সময় বাম হাত ব্যাবহার করা যাবে কি?

৬.ওযুতে মাথা মাসেহ, বা ঘাড় মাসেহ এর মাঝে হাতের বন্ধন যদি ছুটে যায় আর আবার হাতের বন্ধন লাগিয়ে যেই স্থান পর্যন্ত মাসেহ করেছি ওই স্থান থেকে মাসেহ শুরু করে শেষ করলে কি ওযু হবে?

৭.ওযুতে কান মাসেহের সময় কানের থেকে হাত যদি ভুল করে সড়ে যায় তাহলে করণীয় কি?

৮.ধরুন একজন লোক দ্বীনের পথে আসতে চায়, তাই সে আস্তে আস্তে গুণাহ ছেড়ে দিচ্ছে।কিছু গুণাহ গুলো সে করে,ওগুলোও সে ছাড়ার চেষ্টায় ্  আছে । আর সে এই গুণাহ গুলো কে ঘৃণা করে।সে যদি যেকোন গুণাহের কাজ দেখে তাহলে সে কি নাউযুবিল্লাহ বলতে পারবে?(যদিও সে তওবা করেনি তবে গুণাহ ছাড়ার চেষ্টায় আছে)

৯.৮নং প্রশ্নের ওই লোকটি যেসব পাপ থেকে বিরত থাকে আর যেসব আমল করে সেগুলোর ব্যাপারে সোলার মিডিয়া বা অফলাইনে মানুষকে দাওয়াত দিতে পারবে?

১০.নামাজে মুখে ভুল করে শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে যদি একটু অক্ষর বলেই থেমে যায় তাহলে কি তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে?(উত্তর শুধু হ্যা বা না বললে ভালো হয়)

১১.নামাজে আমি নিয়মের সময় আল্লাহু  বলে হাত উঠাই আর আকবার বলে হাত বাধি। আমার নামাজ এর নিয়ত কি হচ্ছে?

১২.নামাজে ইমাম সাহেবদের দেখি প্রথমে হাত বেধে তারপর আল্লাহু আকবার বলে আবার রুকু-সিজদা ও রুকু থেকে উঠার সময়ও এরকম করে।এটা কি সঠিক নিয়ম?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


অযুর ফরজ চারটি।
এ চারটি আদায় করলেই অযু হয়ে যাবে।

ওযুর ফরয ৪টিঃ
১. মুখমণ্ডল ধৌত করা ও অর্থাৎ কপালের চুলের গােড়া হতে থুতনীর নিচ পর্যন্ত ও ডান কানের লতি থেকে বাম কানের লতি পর্যন্ত ভাল করে ধােয়া।
২. উভয় হাত ধৌত করা ও অর্থাৎ দু হাতের আঙ্গুলির মাথা থেকে কনুই পর্যন্ত ধৌত করা। প্রথমে ডান হাত পরে বাম হাত।
৩. মাথা মাসেহ করা ও অর্থাৎ মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা।
৪. উভয় পায়ের গিরা পর্যন্ত ধৌত করাও অর্থাৎ পায়ের আঙ্গুলিগুলাে মাথা থেকে গিরা পর্যন্ত এবং পায়ের আঙ্গুলির মাঝখানের খালি স্থান ভাল করে ধৌত করা।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡہُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَہِّرَکُمۡ وَ لِیُتِمَّ نِعۡمَتَہٗ عَلَیۡکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۶﴾ 

হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে, বা তোমরা স্ত্রীর সাথে সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। সুতরাং তা দ্বারা মুখমণ্ডলে ও হাতে মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা করতে চান না; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান এবং তোমাদের প্রতি তার নেয়ামত সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
(সুরা মায়েদা ০৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
ওযুর সময় কথা বললে বা মুখে কিছু উচ্চারণ করলে বা গজল গাইতে গাইতে ওযু করলে ওযু হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে শুধু নাকের ভিতর পানি দেয়া সুন্নাত। 
গোসলের ন্যায় নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি দিতে পারেন।
সমস্যা নেই।

(০৩)
ওযুতে কেউ যদি গড়গড়া কুলি করে তার ওযু হবে।
এটিই উত্তম।

(০৪)
ওযু শেষের দিকে পা ধোয়ার সময় যদি বালতির পানিতে পা ডুবিয়ে দেয় তাহলে ওযু হবে।

তবে ঐ বালতির পানি দিয়ে পরবর্তীতে কেউ অযু/গোসল করতে পারবেনা।

(০৫)
ওযুতে পায়ে পানি ঢালার সময় বাম হাত ব্যাবহার করা যাবে।

(০৬)
ওযুতে মাথা মাসেহ, বা ঘাড় মাসেহ এর মাঝে হাতের বন্ধন যদি ছুটে যায় আর আবার হাতের বন্ধন লাগিয়ে যেই স্থান পর্যন্ত মাসেহ করেছেন, ওই স্থান থেকে মাসেহ শুরু করে শেষ করলে ওযু হবে।

(০৭)
এতে সমস্যা নেই।
পুনরায় কান মাসাহ করতে পারেন।

(০৮)
হ্যাঁ, সে নাউযুবিল্লাহ বলতে পারবে।

(০৯)
ঐ লোকটি যেসব পাপ থেকে বিরত থাকে আর যেসব আমল করে সেগুলোর ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়া বা অফলাইনে মানুষকে দাওয়াত দিতে পারবে।

(১০)
না।

তবে এখানে কোন ধরনের শব্দ করা হয়েছে,সেটি কি অর্থবোধক? তাহা কমেন্ট বক্সে আশা করি স্পষ্ট করবেন।

(১১)
এটি ঠিক আছে।
এটি হলো তাকবিরে তাহরিমা।
নিয়ত তো আপনি মনে মনেই করেছেন।

(১২)
এমনটিও করা যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
প্রশ্ন নং ১০. কোন অর্থবোধক নয়।মনে করুন মনে মনে একটা শব্দ উচ্চারণ হচ্ছে নামাজের সময় তখন ভুল করে মুখে উচ্চারিত হয়ে যায় তখনই সাথে সাথে আটকে ফেলি।
by (574,050 points)
সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...