জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অযুর ফরজ চারটি।
এ চারটি আদায় করলেই অযু হয়ে যাবে।
ওযুর ফরয ৪টিঃ
১. মুখমণ্ডল ধৌত করা ও অর্থাৎ কপালের চুলের গােড়া হতে থুতনীর নিচ পর্যন্ত ও ডান কানের লতি থেকে বাম কানের লতি পর্যন্ত ভাল করে ধােয়া।
২. উভয় হাত ধৌত করা ও অর্থাৎ দু হাতের আঙ্গুলির মাথা থেকে কনুই পর্যন্ত ধৌত করা। প্রথমে ডান হাত পরে বাম হাত।
৩. মাথা মাসেহ করা ও অর্থাৎ মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা।
৪. উভয় পায়ের গিরা পর্যন্ত ধৌত করাও অর্থাৎ পায়ের আঙ্গুলিগুলাে মাথা থেকে গিরা পর্যন্ত এবং পায়ের আঙ্গুলির মাঝখানের খালি স্থান ভাল করে ধৌত করা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡہُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَہِّرَکُمۡ وَ لِیُتِمَّ نِعۡمَتَہٗ عَلَیۡکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۶﴾
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে, বা তোমরা স্ত্রীর সাথে সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। সুতরাং তা দ্বারা মুখমণ্ডলে ও হাতে মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা করতে চান না; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান এবং তোমাদের প্রতি তার নেয়ামত সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
(সুরা মায়েদা ০৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
ওযুর সময় কথা বললে বা মুখে কিছু উচ্চারণ করলে বা গজল গাইতে গাইতে ওযু করলে ওযু হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে শুধু নাকের ভিতর পানি দেয়া সুন্নাত।
গোসলের ন্যায় নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি দিতে পারেন।
সমস্যা নেই।
(০৩)
ওযুতে কেউ যদি গড়গড়া কুলি করে তার ওযু হবে।
এটিই উত্তম।
(০৪)
ওযু শেষের দিকে পা ধোয়ার সময় যদি বালতির পানিতে পা ডুবিয়ে দেয় তাহলে ওযু হবে।
তবে ঐ বালতির পানি দিয়ে পরবর্তীতে কেউ অযু/গোসল করতে পারবেনা।
(০৫)
ওযুতে পায়ে পানি ঢালার সময় বাম হাত ব্যাবহার করা যাবে।
(০৬)
ওযুতে মাথা মাসেহ, বা ঘাড় মাসেহ এর মাঝে হাতের বন্ধন যদি ছুটে যায় আর আবার হাতের বন্ধন লাগিয়ে যেই স্থান পর্যন্ত মাসেহ করেছেন, ওই স্থান থেকে মাসেহ শুরু করে শেষ করলে ওযু হবে।
(০৭)
এতে সমস্যা নেই।
পুনরায় কান মাসাহ করতে পারেন।
(০৮)
হ্যাঁ, সে নাউযুবিল্লাহ বলতে পারবে।
(০৯)
ঐ লোকটি যেসব পাপ থেকে বিরত থাকে আর যেসব আমল করে সেগুলোর ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়া বা অফলাইনে মানুষকে দাওয়াত দিতে পারবে।
(১০)
না।
তবে এখানে কোন ধরনের শব্দ করা হয়েছে,সেটি কি অর্থবোধক? তাহা কমেন্ট বক্সে আশা করি স্পষ্ট করবেন।
(১১)
এটি ঠিক আছে।
এটি হলো তাকবিরে তাহরিমা।
নিয়ত তো আপনি মনে মনেই করেছেন।
(১২)
এমনটিও করা যায়।