আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
498 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
recategorized by
অন্য বিশুদ্ধ পানি থাকার ছুরতে বিড়াল মুখ দেওয়া পানি দ্বারা অযু গোসল ভালো হবে নাকি বিশুদ্ধ পানি দ্বারা অযু গোসল করা ভালো হবে।
বিড়াল পালনের জন্য ইসলামিক শরীয়া কি বলে?

এবং কুকুর পালা কি জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
অন্য ভালো পানি পাওয়া গেলে সেটা দিয়েই অযু করা ভালো।

(০২)
শরীয়তের বিধান মতে বিড়াল পোষা জায়েজ আছে। তবে তাদের সার্বিক দেখাশোনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাকি এমনিতে অধিক অর্থ ব্যয় করে বিড়াল ক্রয় করা অনর্থক খরচ। যা মাকরূহ।

عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ – قَالَ: أَحْسِبُهُ – فَطِيمًا، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ: «يَا أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ» نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ، فَرُبَّمَا حَضَرَ الصَّلاَةَ وَهُوَ فِي بَيْتِنَا، فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ وَيُنْضَحُ، ثُمَّ يَقُومُ وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাঃ সবার চেয়ে বেশি সদাচারী ছিলেন। আমার একজন  ভাই ছিল। তাকে আবু উমায়ের ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ে দুধ খেতো না। যখনি সে তার নিকট আসতো, তিনি বলতেন, হে আবু উমায়ের! তোমার নুগায়ের কি করছে? সে নুগায়ের পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন নামাযের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তার নিচে যে বিছানা থাকতো, সামান্য পানি ছিটিয়ে ঝেরে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি নামাযের জন্য দাড়াতেন। এবং আমরাও তার পেছনে দাড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে নামায আদায় করতেন। {বুখারী, হাদীস নং-৬২০৩}

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কেরাম রাঃ রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেন-

قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ لَنَا فِي البَهَائِمِ أَجْرًا؟ قَالَ: «فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ

হে আল্লাহর রাসূল! জীব জন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার আছে। {বুখারী, হাদীস নং-২৩৬৩}

(০৩)
শরয়ী কারন ব্যাতিত কুকুর পালা,পোষা জায়েজ নেই।

হাদীসে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ঘরে কুকুর বা জীব জন্তুর ছবি থাকে সে ঘরে রহমাতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। যেমন-

عَنْ أَبِي طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْمَلَكُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلَا صُورَةٌ»

হযরত আবু তালহা আনসারী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ঐ ঘরে [রহমাতের] ফেরেশতা প্রবেশ করে না, যাতে কুকুর বা [জীব জন্তুর] ছবি থাকে। {মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৪৩৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮১৫, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৩২২, ৩১৪৪}

★★বাড়ি প্রহরা বা হালাল বস্তু শিকার করার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষিত কুকুর পোষা জায়েজ আছে। তবে এদের আপন ঘরে প্রবেশ করতে দিবে না। সেই সাথে কাপড় চোপড় আসবাব পত্রে যেন মুখ না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরী।

عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا عَلَّمْتَ مِنْ كَلْبٍ أَوْ بَازٍ ثُمَّ أَرْسَلْتَهُ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكَ عَلَيْكَ “

হযরত আদী বিন হাতিম রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, যে কুকুর বা বাজ পাখিকে প্রশিক্ষিত করা হয়, তারপর তাকে প্রেরণ করা হয় বিসমিল্লাহ বলে তাহলে তারা যা শিকার করে তা খাও। {সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৮৮৮৫}

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: ” نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ، إِلَّا الْكَلْبَ الْمُعَلَّمَ

হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কুকুরের মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন তবে প্রশিক্ষিত কুকুরের বিষয়টি ভিন্ন। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৪১১, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৪৬৬৮}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...