জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
অন্য ভালো পানি পাওয়া গেলে সেটা দিয়েই অযু করা ভালো।
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে বিড়াল পোষা জায়েজ আছে। তবে তাদের সার্বিক দেখাশোনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাকি এমনিতে অধিক অর্থ ব্যয় করে বিড়াল ক্রয় করা অনর্থক খরচ। যা মাকরূহ।
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ – قَالَ: أَحْسِبُهُ – فَطِيمًا، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ: «يَا أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ» نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ، فَرُبَّمَا حَضَرَ الصَّلاَةَ وَهُوَ فِي بَيْتِنَا، فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ وَيُنْضَحُ، ثُمَّ يَقُومُ وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাঃ সবার চেয়ে বেশি সদাচারী ছিলেন। আমার একজন ভাই ছিল। তাকে আবু উমায়ের ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ে দুধ খেতো না। যখনি সে তার নিকট আসতো, তিনি বলতেন, হে আবু উমায়ের! তোমার নুগায়ের কি করছে? সে নুগায়ের পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন নামাযের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তার নিচে যে বিছানা থাকতো, সামান্য পানি ছিটিয়ে ঝেরে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি নামাযের জন্য দাড়াতেন। এবং আমরাও তার পেছনে দাড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে নামায আদায় করতেন। {বুখারী, হাদীস নং-৬২০৩}
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কেরাম রাঃ রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেন-
قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ لَنَا فِي البَهَائِمِ أَجْرًا؟ قَالَ: «فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ
হে আল্লাহর রাসূল! জীব জন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার আছে। {বুখারী, হাদীস নং-২৩৬৩}
(০৩)
শরয়ী কারন ব্যাতিত কুকুর পালা,পোষা জায়েজ নেই।
হাদীসে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ঘরে কুকুর বা জীব জন্তুর ছবি থাকে সে ঘরে রহমাতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। যেমন-
عَنْ أَبِي طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْمَلَكُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلَا صُورَةٌ»
হযরত আবু তালহা আনসারী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ঐ ঘরে [রহমাতের] ফেরেশতা প্রবেশ করে না, যাতে কুকুর বা [জীব জন্তুর] ছবি থাকে। {মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৪৩৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮১৫, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৩২২, ৩১৪৪}
★★বাড়ি প্রহরা বা হালাল বস্তু শিকার করার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষিত কুকুর পোষা জায়েজ আছে। তবে এদের আপন ঘরে প্রবেশ করতে দিবে না। সেই সাথে কাপড় চোপড় আসবাব পত্রে যেন মুখ না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরী।
عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا عَلَّمْتَ مِنْ كَلْبٍ أَوْ بَازٍ ثُمَّ أَرْسَلْتَهُ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكَ عَلَيْكَ “
হযরত আদী বিন হাতিম রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, যে কুকুর বা বাজ পাখিকে প্রশিক্ষিত করা হয়, তারপর তাকে প্রেরণ করা হয় বিসমিল্লাহ বলে তাহলে তারা যা শিকার করে তা খাও। {সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৮৮৮৫}
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: ” نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ، إِلَّا الْكَلْبَ الْمُعَلَّمَ
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কুকুরের মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন তবে প্রশিক্ষিত কুকুরের বিষয়টি ভিন্ন। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৪১১, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৪৬৬৮}