আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১,আমার বন্ধু/স্ত্রী কারো সাথে দেখা করে আমার কাছে ফিরে এসেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি তাকে কেমন দেখলেে? এর উত্তরে আমার বন্ধু/স্ত্রী  তাদের মধ্যকার সমস্ত কথা বলল, যা যা আলাপ হল বা কি কি ঘটল। এছাড়াও বলল যে অই ব্যক্তির বক্তব্য থেকে তাকে কি নেতিবাচক মনে হল বা উমুক ব্যক্তির কি খারাপ লাগল। আমি উত্তরে বললাম,ওহো এসব ত ঠিক না। আল্লাহ এসব খারাপ নিষেধ করেেেছেন। এসব কি তাহলে গীবাত হবে? Bcz আমরা ব্যক্তিকে দোষারোপ করছি না, দোোোষ চর্চাও করছি না বরং আলোচনা করছিলাম যে আমার স্ত্রী/বন্ধু তার সাথে কথা বলে কেমন অনুুুভব করেছে বা তার সাথে কি কথা হয়েেছে। এবং এর উত্তরে আমি বলেছিি এটি কী হওয়া উচিত।

২,কোনো স্বামী যদি পরকিয়ায় লিপ্ত হয় এবং বা অন্য নারীর দিকে তাকায় তাহলে কি সে স্ত্রীর হক্ব নষ্ট করল?, একইভাবে স্ত্রী যদি সেম কাজ করে স্বামীর হক্ব নষ্ট হবে?

৩, আমার স্ত্রী ডাক্তারি পড়ে। সবসুময় পর্দা মেন্টেন করে আলহামদুলিল্লাহ। ইন্টারভিউতে মাঝে মধ্যে কান খোলায়। এবং তারা এতে জোর করে,ইন্টারভিউতে কোনো মেয়ে টিচার থাকে না অনেক সময়।এমতাবস্থায়। ইন্টারভিউ এ পাশ না করলে পরের বছর প্রমোট হতে পারবেনা।এমতাবস্থায় তার কি পড়াশোনা ছেড়ে দেয়া উচিত? নাকি কান দেখালে গুনাহ হবে?

4,কাউকে কাউকে মনে নিন্দা/গালি দিলে কি গীবত/পাপ হউ?

৬, ফিত্নার আশংকা না থাকলে বিনা কারণে একজন নারীর দিকে তাকানো মাকরুহ,আর অজর থাকলে জায়েজ।আমি একটি কোচিং এ পড়ায়,সেখানে বেপর্দা মেয়েরা আছে এখানে পড়ানোটা কি ওজরের মধ্যে পড়বে তাকানোর ক্ষেত্রে?

৭,কোনো মেয়ে পরিপূর্ন পর্দায় থাকলে তার দিকে তাকানো যাবে কি? কারন টা এমন যে,রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে।আমি তাকাচ্ছি এজন্য যে তারা কয়জন সাথে বাচ্চা আছে কিনা এসব দেখার জন্য

8, রুকুতে পিঠ ঘাড়,নিতম্ব সমান্তরাল রাখা কি ওয়াজিব? আর হাটুর গোল হাড়ে হাত না রেখে তার উপরের থাই/উরুতে  রাখলে কি নামাজ হবে?

আমার পরিপূর্ন সমান্তরাল হয়না আবার অনেক সময় হাত উরুতে থাকে।স৯বসময় মনে থাকেনা। মনে পড়লে সাহু সিজদা দেই

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে,
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ " . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ " إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ " .
 রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কী জিনিস? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, (গীবাত হলো) তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে বাস্তবিকই থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা যদি তার মধ্যে প্রকৃতই থেকে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। (সহীহ মুসলিম-৬৩৫৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/58314


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো সম্পর্তে নেতিবাচক কিছু বললে সেটা অবশ্যই গীবত হবে। তবে নেতিবাচক কিছু না বললে সেটা গীবত হবে না। প্রশ্নের বিবরণমতে গীবত হয় নাই।

(২)
কোনো স্বামী যদি পরকিয়ায় লিপ্ত হয় এবং বা অন্য নারীর দিকে তাকায় তাহলে সে গোনাহের কাজে লিপ্ত।হ্যা সে ঐ নারীকে বিয়ে করতে পারবে। তবে এখানে স্ত্রীর হক্ব নষ্ট করার প্রশ্ন না আসাই যুক্তি সংগত।কেননা একজন পুরুষের জন্য চারটি বিয়ে করার অনুমোদন রয়েছে। একথা সত্য যে, নিজ স্ত্রীকে ভালবাসা না দিয়ে পরনারীর সাথে ইষ্টিনষ্টি করা স্ত্রীর উপর জুলুম করা ও স্ত্রীর হক নষ্ট করার শামিল।
 হ্যা, স্ত্রী যদি সেইম কাজ করে,তাহলে এখানে স্বামীর হক্ব অবশ্যই নষ্ট হবে।

(৩)
জ্বী, জরুরতের কারণে কান দেখানো এখানে জায়েয হবে।

(৪)
রুকুতে পিঠ ঘাড়,নিতম্ব সমান্তরাল রাখা ওয়াজিব।হাটুর গোল হাড়ে হাত না রেখে তার উপরের থাই/উরুতে  রাখলে সুন্নত আদায় হবেনা, তবে নামায হয়ে যাবে।

الدر المختار مع رد المحتار: (464/1)
"(ولها واجبات) سد بتركها وتعاد وجوبا في العمد والسهو إن لم يسجد له....(وتعديل الأركان) أي تسكين الجوارح قدر تسبيحة في الركوع والسجود، وكذا في الرفع منهما على ما اختاره الكمال، لكن المشهور أن مكمل الفرض واجب ومكمل الواجب سنة، وعند الثاني الأربعة فرض".
"والحاصل أن الأصح رواية ودراية وجوب تعديل الأركان، وأما القومة والجلسة وتعديلهما فالمشهور في المذهب السنية، وروي وجوبها، وهو الموافق للأدلة، وعليه الكمال ومن بعده من المتأخرين وقد علمت قول تلميذه إنه الصواب. وقال أبو يوسف بفرضية الكل واختاره في المجمع والعيني ورواه الطحاوي عن أئمتنا الثلاثة. وقال في الفيض إنه الأحوط اه".

بدائع الصنائع: (144/2)
"ثم الطمأنينة في الركوع واجبة عند أبي حنيفة ومحمد ، كذا ذكره الكرخي حتى لو تركها ساهياً يلزمه سجود السهو، وذكر أبو عبد الله الجرجاني أنها سنة، حتى لايجب سجود السهو بتركها ساهياً، وكذا القومة التي بين الركوع والسجود والقعدة التي بين السجدتين، والصحيح ما ذكره الكرخي؛ لأن الطمأنينة من باب إكمال الركن، وإكمال الركن واجب كإكمال القراءة بالفاتحة، ألا ترى أن النبي صلى الله عليه وسلم ألحق صلاة الأعرابي بالعدم؟ والصلاة إنما يقضى عليها بالعدم إما لانعدامها أصلاً بترك الركن، أو بانتقاصها بترك الواجب، فتصير عدما من وجه فأما ترك السنة فلايلتحق بالعدم؛ لأنه لايوجب نقصاناً فاحشاً، ولهذا يكره تركها أشد الكراهة، حتى روي عن أبي حنيفة أنه قال: أخشى أن لاتجوز صلاته".

حاشیة الطحطاوی علی مراقی الفلاح: (ص: 135)
"ویجب الاطمئنان وہو التعدیل فی الأرکان بتسکین الجوارح فی الرکوع والسجود حتی تطمئن مفاصلہ فی الصحیح".
"ویستقر کل عضو فی محلہ بقدر تسبیحۃ کما فی القہستانی ہٰذا قول أبی حنیفۃؒ ومحمدؒ علی تخریج الکرخی".


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...