আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
252 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
edited by
ক) খোলাফায়ে রাশিদিন বাংলা কি

খ) কেন প্রথম চারজনকেই খোলাফায়ে রাশিদিন বলি?
গ) রাসূল সা. তাঁকে ও খোলাফায়ে রাশিদিনকে মানতে বলেছেন, এর দ্বারা কোন খোলাফায়ে রাশিদিনকে বুঝিয়েছেন তিনি?
ঘ) মুয়াবিয়া রা. কেন এর মাঝে নাই?
ঙ) উমার বিন আব্দুল আযীর রহ. কিভাবে ৫ম খলিফা হলেন? সেটা তো মুয়াবিয়া রা.  এর হওয়ার কথা

চ) কুরবানীর সময় আম্মুকে আমার টাকা দিয়ে দিলাম, যাতা আমার কুরবানী দেওয়া না লাগে। কুরবানির পরে আবার নিয়ে নিলাম। এই শর্তেই টাকা দিয়েছিলাম। এইটা কি জায়েয?
ছ) আইএসআইএস বা জেএমবি কি হক পন্থীদল?  জেএমবিতে নাকি দেওবন্দ এর মুফতি ছিলেন একজন। তাও কি এইটা বাতিল?
জ) জিকির জোরে করবো নাকি আস্তে? জোরে সবাই মিল যিকির করার দলিল কি একটু দেওয়া যাবে? আর জোরে একা একা যিকির করতেন এক সাহাবী, ঐ ঘটনা কি সত্য? তাহলে তো জোরে একা যিকির করা যাবে সাহাবা যেহেতু করেছেন?
ঝ) বাচ্চা জন্মালে সে ঘরে প্রবেশের আগে মোমবাতির আগুনে হাত দিয়ে ঢুকা কি শরিয়তসম্মত? বিসমিল্লাহ বলে ঢুকলেই তো হয় মনে হয়

ঞ) উমার রা. যেভাবে ২০ রাকাত তারাবীহ শুরু করে বলেছিলেন, ' কি সুন্দর বিদাত'। এভাবে কি সুন্দর বিদাত হিসেবে মিলাদ কিয়াম করা যায় কিনা?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(ক)
খোলাফায়ে রাশেদীন (আরবি: الخلفاء الراشدون, প্রতিবর্ণী. আল-খুলাফাʾ আল-রাশিদুন, অনুবাদ 'সঠিকভাবে পথনির্দেশপ্রাপ্ত খলিফা'), সাধারণভাবে খোলাফায়ে রাশেদীন বলতে ইসলামের প্রথম চারজন খলিফাকে বোঝায়।

(খ,গ)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ، أَوْ مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ

সাফিনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নাবুওয়াতি পন্থায় খিলাফাত ত্রিশ বছর পরিচালিত হবে। অতঃপর যাকে ইচ্ছা আল্লাহ রাজত্ব বা তাঁর রাজত্ব দান করবেন।
(আবু দাউদ ৪৬৪৭)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَشْرَجُ بْنُ نُبَاتَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَفِينَةُ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْخِلاَفَةُ فِي أُمَّتِي ثَلاَثُونَ سَنَةً ثُمَّ مُلْكٌ بَعْدَ ذَلِكَ " . ثُمَّ قَالَ لِي سَفِينَةُ أَمْسِكْ خِلاَفَةَ أَبِي بَكْرٍ وَخِلاَفَةَ عُمَرَ وَخِلاَفَةَ عُثْمَانَ . ثُمَّ قَالَ لِي أَمْسِكْ خِلاَفَةَ عَلِيٍّ . قَالَ فَوَجَدْنَاهَا ثَلاَثِينَ سَنَةً . قَالَ سَعِيدٌ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ بَنِي أُمَيَّةَ يَزْعُمُونَ أَنَّ الْخِلاَفَةَ فِيهِمْ . قَالَ كَذَبُوا بَنُو الزَّرْقَاءِ بَلْ هُمْ مُلُوكٌ مِنْ شَرِّ الْمُلُوكِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ قَالاَ لَمْ يَعْهَدِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْخِلاَفَةِ شَيْئًا

সাঈদ ইবনু জুহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সাফীনাহ (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের খিলাফাতের সময়কাল (শাসনকাল) হবে ত্ৰিশবছর, তারপর হবে রাজতন্ত্র।

সহীহ, সহীহাহ (৪৫৯, ১৫৩৪, ১৫৩৫)।

তারপর সাফীনাহ (রাঃ) আমাকে বললেন, তুমি আবূ বাকর (রাঃ)-এর খিলাফতকাল গণনা কর। তারপর বললেন, উমার ও উসমান (রাঃ)-এর খিলাফতকাল গণনা কর। তারপর বললেন, আলী (রাঃ)-এর খিলাফতকালও গণনা কর। আমরা গণনা করে এর সময়কাল ত্ৰিশবছরই পেলাম। সাঈদ (রহঃ) বললেন, আমি তাকে বললাম, বানু উমাইয়্যার জনগণও দাবি করে যে, তাদের মাঝেও খিলাফাত বিদ্যমান? তিনি বললেন, যারকার সন্তানেরা মিথ্যা বলছে, বরং তারা তো নিকৃষ্ট রাজতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত রাজতান্ত্রিক গোষ্ঠী।

আবূ ঈসা বলেন, উমার ও আলী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। তারা বলেন, খিলাফাত প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন অঙ্গীকার করে যাননি।
(তিরমিজি ২২২৬)

وَعَن سفينة قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْخِلَافَةُ ثَلَاثُونَ سَنَةً ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا» . ثُمَّ يَقُولُ سَفِينَةُ: أَمْسِكْ: خِلَافَةَ أَبِي بَكْرٍ سَنَتَيْنِ وَخِلَافَةَ عُمَرَ عَشْرَةً وَعُثْمَانَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ وَعَلِيٍّ سِتَّةً.

সাফীনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সা.) -কে বলতে শুনেছি। [রাসূল (সা.) এ বলেছেন] খিলাফত ত্রিশ বছর অবশিষ্ট থাকবে। অতঃপর তা রাজতন্ত্রে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। বর্ণনাকারী সাফীনাহ (রাঃ) বলেন, তা এরূপে বর্ণনা করে নাও- আবূ বা সিদ্দীক (রাঃ)-এর খিলাফতকাল দু বছর, ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকাল দশ বছর, উসমান (রাঃ)-এর বারো বছর এবং ‘আলী (রাঃ)-এর ছয় বছর।
(মুসনাদে আহমাদ ১৮৪৩০, আবূ দাউদ ৪৬৪৬, তিরমিযী ২২২৬, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৪৫৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ৮১৫৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৯৪৩. মিশকাত ৫৩৯৫)

উপরোক্ত  হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও নুবুওয়্যাতের পর খিলাফত কতদিন স্থায়ী হবে তার একটি মেয়াদ উল্লেখ করেছেন। তৎপরবর্তী সময়ে মুসলিম বিশ্বে রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধরণ কিরূপ হবে তা প্রিয়নবী (সা.) উপস্থাপন করেছেন।

খিলাফাতে রাশিদার মেয়াদকাল ছিল ৩০ বছর। আবূ বাকর (রাঃ) ২ বছর ৩ মাস ১০ দিন, ‘উমার (রাঃ)- ১০ বছর ৬ মাস ৮ দিন, ‘উসমান (রাঃ) ১১ বছর ১১ মাস ৯ দিন, ‘আলী (রাঃ) ৪ বছর ৯ মাস ৭ দিন, হাসান (রাঃ) ৭ মাস।

মুসনাদে আহমাদে সাফীনাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এসেছে, আমার উম্মতের খিলাফতকাল হবে ৩০ বছর। অতঃপর রাজা-বাদশাহদের রাজত্ব কায়িম হবে। ইমাম বায়হাক্বী তদীয় ‘আল মাদখাল’ গ্রন্থে সাফীনাহ্ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখিত আছে- প্রথম রাজত্ব ছিল মু'আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর অধীন। শারহুস্ সুন্নাহ গ্রন্থে রয়েছে, যারা খিলাফাতে রাশিদার আদলে সুন্নাতে রাসূল (সা.) -কে আঁকড়ে ধরে শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন তারাই খলীফাহ্। পক্ষান্তরে যারা খিলাফাতে রাশিদার পরিপন্থী কাজ করেছেন তারা নিজেদেরকে খলীফাহ্ দাবী করলেও সেই দাবী যথার্থ নয়। বরং তারা রাজা হিসেবে গণ্য হবেন।

ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) তদীয় ‘তারীখ’ গ্রন্থে এবং ইমাম হাকিম তার মুসতাদরাক গ্রন্থে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, খিলাফত হবে মদীনায় এবং রাজতন্ত্র হবে শাম দেশে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

حدثنی سفینة قال:خطبنا رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم فقال:"الخلافة فی امتی ثلاثون سنة ثم یکون ملک"ثم قال لی سفینة:امسک خلافة ابی بکر وخلافة عمر اثنتی عشرة سنة وستة اشہر،وخلافة عثمان اثنتی عشرة سنة،وخلافة علی رضی اللہ عنہ تکملة الثلاثین قلت:معاویة؟قال:کان اول الملوک وتابعہ حماد بن سلمة عن سعید بن جمہان(المدخل الی سنن الکبری للبیہقی:باب اقاویل الصحابة رضی اللہ عنہم:ج ۱/ص ۱۱۶)
সারমর্মঃ-
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,আমার উম্মতের মধ্যে খেলাফত ৩০ বছর হবে,তারপর রাজত্ব বা রাজতন্ত্র।,,,,

واخرجہ البیہقی فی المدخل عن سفینة ان اول الملوک معاویة رضی اللہ عنہ والمراد بخلافة النبوة ہی الخلافة الکاملة وہی منحصرة فی الخمسة فلا یعارض الحدیث لا یزال ہذا الدین قائما حتی یملک اثنی عشر خلیفة لان المراد بہ مطلق الخلافة واللہ اعلم(عون المعبود وحاشیة ابن القیم :باب فی الخلفاء/ ۲۱/ ۰۶۲)الحسن بن علی آخر الخلفاء بنصہ(ازالة الخفاء ص ۳۴۱ہو آخر الخلفاء الراشدین بنص جدہ صلی اللہ علیہ وسلم خلیفة حق وامام عدل وصدق تحقیقا لما اخبر لہ جدہ الصادق المصدق یقولہ الخلافة الخ منصوصا علیہا وقام علیہ اجماع من ذکر فلا مریة من حقیقتہا اہ(صواعق محرقہ:ص ۱۸)
সারমর্মঃ-
হাসান বিন আলি রাযিঃ শেষ খলিফা। 
মুয়াবিয়া রাঃ থেকে খেলাফত শেষ হয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো পূর্ণ খেলাফত আলা মিন হাযিন নাবুওয়্যাত শেষ হয়েছে। 

لما قال العلامة ملا علی القاری رحمہ اللہ: وخلافة النبوة ثلاثون سنة _منہا خلافة الصدیق سنتان وثلاثة اشہر وخلافة عمر عشر سنین ونصف وخلافة عثمان اثنتا عشرة سنة وخلافة علی اربع سنین وتسعة اشہر وخلافة ابنہ ستة اشہر واول ملوک المسلمین معاویة وہو افضلہم لکنہ انما صار اماما حقا لما فوض الیہ الحسن بن علی الخلافة فان الحسن بایعہ اہل العراق بعد موت ابیہ ثم بعد ستة اشہر فوض الامر الی معاویة والقصة مشہورة وفی الکتب المبسوط مستورہ(شرح الفقہ الاکبر ص ۸۶، ۹۶)
সারমর্মঃ-
খিলাফাতুন নবুওয়ত ত্রিশ বছর।
আবূ বাকর (রাঃ) ২ বছর ৩ মাস, ‘উমার (রাঃ)- ১০ বছর ৬ মাস, ‘উসমান (রাঃ) ১২ বছর, ‘আলী (রাঃ) ৪ বছর ৯ মাস, আলি রাঃ এর পুত্র হাসান (রাঃ) ৬ মাস।
ইসলামে প্রথম রাজত্ব এসেছে হযরত মুয়াবিয়া রাঃ থেকে।,,,

(ঘ)
খোলাফায়ে রাশেদীনের জন্য একটি শর্ত হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর মাঝে পাওয়া যায়নি,সেটা হলো হিজরত।

তাই তাকে খোলাফায়ে রাশেদীনের অন্তর্ভুক্ত বলে গন্য করা হয়না।

(ঙ)
অনেকে তাকে ৫ম খলিফা বললেও বাস্তবে
তিনিও খলিফা নন। 
খোলাফায়ে রাশেদীনের জন্য একটি শর্ত হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহঃ  এর মাঝে পাওয়া যায়নি,সেটা হলো তিনি সাহাবা নন।

(চ)
এটি হিলা।
এক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী আবশ্যক না হলেও শরীয়তে উদ্দেশ্য বানচাল লক্ষ্যে কৌশল অবলম্বন করায় আপনার গুনাহ হবে।
কাজটি নাজায়েজ।

(ছ)
এ সংগঠন সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সংগঠন। 
তাই তাদের ব্যাপারে কিছু জানতে হলে নিকটস্থ কোনো দারুল ইফতায় যাওয়ার পরামর্শ রইলো। 

(জ) 
উভয় পদ্ধতিতেই যিকির করা জায়েজ আছে।

নামায, কুরআন তিলাওয়াত বা কারো ঘুমের ক্ষতি না হলে জিকির জোরে করা জায়েজ। 

হাদীস শরীফে এসেছে-
عن أبي سعيد الخدري عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : أكثروا ذكر الله عز و جل حتى يقال إنه مجنون(مسند عبد بن حميد، من مسند أبي سعيد الخدري، رقم الحديث-925)

অনুবাদ-হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা অধিক পরিমাণ আল্লাহর জিকির কর যেন লোকেরা তোমাদের পাগল বলে। (মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৯২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৮১৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১১৬৫৩, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৫২৩}

পাগল বলবে তাকেই যে জোরে জোরে পাগলের মত সর্বদা জিকির করতেই থাকে। এ হাদীস দ্বারা একথাই স্পষ্ট প্রমাণ করছে যে, জিকির জোরে করতে হবে ক্ষেত্র বিশেষে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(ঝ)
এগুলো কু প্রথা।
এগুলো শরীয়ত সম্মত নয়।

(ঞ)
তারাবিহ নামাজ তো রাসুলুল্লাহ সাঃ ও জামাতে পড়েছিলেন,সুতরাং ওমর রাঃ এর এই বাক্যটি পারিভাষিক অর্থে কোনো ভাবেই বিদআত হতে পারেনা।
এক্ষেত্রে আভিধানিক অর্থ উদ্দেশ্য। 
,
আর মিলাদ কিয়াম তো রাসুলুল্লাহ সাঃ, সাহাবা,তাবেয়ীন,তাবে তাবেয়ীন কোনো যুগেই পাওয়া যায়না।
সুতরাং এটি বিদআত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...