জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো, শুধু মনে মনে কুফরি চিন্তা আসার দরুন কাহারো ঈমান চলে যায়না।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)
অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি ঐ সময় সালামকে নিয়ে মনে মনে অবজ্ঞা করেও থাকেন (নাউজুবিল্লাহ) কিংবা সর্বোচ্চ পর্যায়ের কুফুরি চিন্তা করে থাকেন, তাহলে সেই ম্যাসেজ গুলো ডিলিট করে দিতে হবেনা।
কিংবা তাদেরকে আনফ্রেন্ড করে দিতে হবেনা।
তবে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে ফ্রেন্ড বানানো প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।
উক্ত ম্যাসেজ কাটা কিংবা আনফ্রেন্ড করা না করার মাধ্যমে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
এই প্রশ্ন করার মাধ্যমে ঈমান চলে যায়নি।
এই প্রশ্ন যতদিন থাকবে ততদিন ঈমান আসবে না - এমন ভয় সহীহ নয়।
এহেন ভয় মন থেকে দূর করে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজ করুন।
ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবেনা।